২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:১৩:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


মানুষের ভবিষ্যত নিয়ে ‘জুয়া খেলছে’ ক্ষমতাসীনরা
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০১-২০২৪
মানুষের ভবিষ্যত নিয়ে ‘জুয়া খেলছে’ ক্ষমতাসীনরা বক্তব্য রাখছেন রুহিন হোসেন প্রিন্স


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা দক্ষিণ জেলা কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য বিক্ষোভ’ কর্মসূচিতে পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভৌগলিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি আজ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নের সাথে জড়িয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন সরকার অগণতান্ত্রিক পথে পুনরায় ক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষের ভবিষ্যত নিয়ে ‘জুয়া খেলায়’ মেতেছে। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের মধ্যদিয়ে সর্বাত্মক নিরব প্রতিবাদ জানাবে দেশের সাধারণ মানুষ।

একতরফা প্রহসনমূলক নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে গত ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য বিক্ষোভ’ শিরোনামে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সম্পাদকম-লীর সদস্য আক্তার হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাফি রতন, অনিরুদ্ধ দাস অঞ্জন, ফজলুর রহমান, নিমাই গাঙ্গুলী, হাসান তারিক চৌধুরী।

সমাবেশে জলি তালুকদার বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থা ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করে শেখ হাসিনা মুখে মুখে ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা সেজেছেন। চাঞ্চল্যকর বহু হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণের দাগী আসামী, ব্যাংক ডাকাতির হোতারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইন ও বিচার বিভাগকে অপব্যাবহার অতীতের সকল নজির অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন, মানুষের ভোটাধিকারের সমাধির ওপরে দাঁড়িয়ে নকল নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। কিন্তু শীঘ্রই শত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনতার সংগ্রাম বিজয়ী হবে। 

সমাবেশে সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কণ্ঠরোধ করতে সরকার রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ব্যবহার করে চরম ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ বন্দি দিয়ে সারাদেশের কারাগারগুলো পূর্ণ করা হয়েছে। দেশ এক ভীতি ও আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি চরম ঝুঁকির মুখে আছে। আমদানি বিল পরিশোধ ও রপ্তানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা, প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান এমনকি জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে যাচ্ছে। তবুও সরকার কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিরোধী দমন ও একটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের পুনর্বার ক্ষমতায় থাকার খেসারত যদি দেশের মানুষকে দিতে হয় তার পরিণতির দায়-দায়িত্বও শেখ হাসিনাকে নিতে হবে। 

সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, একচোখা হরিণের মতো দ্বিধাহীনভাবে সরকার যে ভুয়া নির্বাচন বাস্তবায়ন করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেই নির্বাচন ক্ষমতাসীনদের জন্য ‘কাল’ হবে। তাদের চড়ামূল্য পরিশোধ করতে হবে। তারা বলেন, দেশের মুক্তিকামী মানুষ বারবার বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও রুটি-রুজির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশের রাজনৈতিক এই ক্রান্তিকালেও তারা গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরাকারের পতন ঘটাবে। নেতৃবৃন্দ দেশের সকল গণতান্ত্রিক ব্যক্তি ও শক্তিকে রাজপথের লড়াইয়ে সামিল হয়ে মানুষের হারানো ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানান।

সমাবেশের পূর্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব, কদমফুল ফোয়ারা ঘুরে পল্টন মোড়, বিজয় নগর, পল্টন লাইন, বাইতুল মোকাররম উত্তর গেট হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

শেয়ার করুন