২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ৬:৫৭:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


অবৈধ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত বৈধ হবে কীভাবে: সাবেক তিন সভাপতির প্রশ্ন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৩
অবৈধ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত বৈধ হবে কীভাবে: সাবেক তিন সভাপতির প্রশ্ন আব্দুল বাছিত, এম এ কাইয়্যূম ও শওকত আলী


প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সংকট এখনো কাটেনি, বরং আরো জটিল আকার ধারণ করেছে। দুই পক্ষের বিভক্তির মধ্যেই সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে। এই সাধারণ সভা আগামী ১১ জুন উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে অনুষ্ঠিত হবে। জালালাবাদ ভবনকে কেন্দ্র করেই এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এই জটিলতা নিরসনে কার্যত কোনো কার্যকরি উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সাবেক কয়েকজন সাধারণ সম্পাদক দায়সারাভাবে একটি সমঝোতার উদ্যোগ নেন। কিন্তু তা-ও ভেস্তে যায়।

জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সংকট এবং অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক তিন সভাপতি-আব্দুল বাছিত, সৈয়দ শওকত আলী ও এম এ কাইয়্যূমকে ছয়টি প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই ছয়টি প্রশ্নের উত্তর তারা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদকে সাধারণ সভা ছাড়া বহিষ্কার করা যায় না। আবার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পদকের দায়িত্বও কাউকে দেওয়া যায় না। অগঠনতান্ত্রিভাবে নিয়োগকৃত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সভা ডাকতে পারেন না। তার ডাকা সাধারণ সভা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বৈধ হবে না। আবার অবৈধ সাধারণ সভার সিদ্ধান্তও বৈধতা পাবে না। সমঝোতার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, এই সংকটের সমাধানের পথ হচ্ছে সমঝোতা। আর এর জন্য সবাইকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। তিন সাবেক সভাপতির কাছে সেব প্রশ্ন করা হয়েছিল তা নিচে প্রশ্নোত্তর আকারে তুলে ধরা হলো-

প্রশ্ন : জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদককে কী বহিষ্কার করা যায়?

উত্তর : জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। সাধারণ সম্পাদককে সাধারণ সভা ছাড়া বহিষ্কার করা যায় না।

প্রশ্ন : গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কী সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ করা যায়?

উত্তর : সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী? গঠনতন্ত্রকে সাবার মানা উচিত। ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে বা কারো প্ররোচতায় সাধারণ সম্পাদকে সাধারণ সভা ছাড়া বহিষ্কার করা যায় না।

প্রশ্ন : গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিয়ে সাধারণ সভা আহ্বান করা যায়?

উত্তর : সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিয়ে সাধারণ সভা যায় না। যদি ডেকে থাকে সেই সাধারণ সভা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অবৈধ।

প্রশ্ন : যদি বৈধ না হয় সেই সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত কী বৈধ হবে?

উত্তর : অবৈধ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত কোনভাবেই বৈধ হতে পারে না। এর ফলে সংগঠনের মধ্যে আরো সংকট তৈরি হবে। যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

প্রশ্ন : আপনি কী ক্রয়কৃত জালালাবাদ ভবন চান?

উত্তর : দীর্ঘদিন থেকেই স্বপ্ন ছিল জালালাবাদ ভবনের। জালালাবাদের ভবন হয়েছে, আমরা ভবনের পক্ষে। যদি কোনো সমস্যা থাকে তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

প্রশ্ন : বর্তমান সংকটের সামাধান কীভাবে হতে পারে?

উত্তর : বর্তমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ হচ্ছে সমঝোতা। আর সমঝোতার জন্য প্রয়োজন উভয় পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা। সমঝোতা করতে হলে উভয় পক্ষকে নমনীয় এবং ছাড় দিতে হবে।

শেয়ার করুন