০৪ মে ২০১২, শনিবার, ০৭:০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন


জলদস্যুর কবলে বাংলাদেশী জাহাজ, ২৩ নাবিক জিম্মি
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৩-২০২৪
জলদস্যুর কবলে বাংলাদেশী জাহাজ, ২৩ নাবিক জিম্মি বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এবং জলদস্যুরা


‘আমরা ডাকাতদের কবলে পড়েছি। প্রায় ৫০ জন ডাকাত। সবার হাতে অস্ত্র। আমাদেরকে বাঁচান। মিডিয়াকে জানান, স্যার।’ বাংলাদেশী নাবিকদের এমন করুণ আর্তনাত ভারত মহাসাগরে। এমন তথ্য পাঠানো হয়েছে জলদস্যুতের কবলে পড়া বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ পরিচালনার দ্বায়িত্বে থাকা নাবিকদের কাছ থেকে। ওই জাহাজে বাংলাদেশী ২৩ জন নাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্প গ্রুপ কবির স্টিলস’র অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এই জাহাজটি নৌপথে পণ্য পরিবহন করে আসছে। গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কবির স্টিলস’র মিডিয়া সূত্রে সাংবাদিকদের এ তথ্য পরিবেশন করা হয়। তিনি বলেন, জাহাজটি এসআর শিপিংয়ের। এটি কয়লা নিয়ে আমিরাত যাচ্ছিলো। এরমধ্যে ভারত মহাসাগরে ডাকাতের কবলে পড়েছে। জিম্মিরা জাহাজের ২৩ জন নাবিককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেছে। গত ৪ মার্চ এটি কয়লা বোঝাই করে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয়। এরমধ্যে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে সাব্বির নামে জাহাজের এক নাবিকের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষের কাছে খুদে বার্তা পাঠানো হয়। 

সেই খুদে বার্তায় জাহাজ দস্যুদের কবলে পড়েছে বলে সাহায্য চাওয়া হয়। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেনি। 

জাহাজ থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় নাবিক সাব্বির লেখেন, ‘আমরা ডাকাতদের কবলে পড়েছি। প্রায় ৫০ জন ডাকাত। সবার হাতে অস্ত্র। আমাদেরকে বাঁচান। মিডিয়াকে জানান, স্যার। আমাদের মধ্যে ৭ জন সাবেক বিএমএ ক্যাডেটও আছেন।’ এসআর শিপিংয়ের সিইও মোহাম্মদ মেহেরুল করিম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে জাহাজ ডাকাতের কবলে পড়ার বিষয়টি জানানো হয়। আমাদের নাবিকরা আটকা পড়েছে। তারা কী অবস্থায় আছে তা এখনো বলতে পারছি না। এর আগে ২০১০ সালের ‘জাহান মণি’ নামে একটি বাংলাদেশি জাহাজ আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। দস্যুরা জাহাজের ২৫ জন নাবিকসহ মোট ২৬ জনকে জিম্মি করে। প্রায় ৩ মাস পর তারা দস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পান।

শেয়ার করুন