২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০১:৩১:৪০ অপরাহ্ন


পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) আজ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১০-২০২২
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) আজ


সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব হজরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (সঃ) এর জন্ম ও ওফাত আজ ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার। গোটা বিশ্বের মানব জাতির পদ প্রর্দশক হিসেবে  আর্বিভূত  এ মহামানবের আগমন ও ওফাত হয় একই দিনে।



মুসলিম জাতির এ স্মৃতিময় এ দিন ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) একটি বিশেষ মর্যদার দিন। বাংলাদেশ সহ গোটা বিশ্বের মুসলামনরা দিনটিকে অত্যন্ত মর্যদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলামনাগনও দিনটিকে বিশেষভাবে পালন করে। দিনটি সরকারী ছুটির দিনও বরাবরের মতই। 



সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীরের বিখ্যাত কুরাইশ বংশে নবীজি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে জন্মগ্রহন করেন। মানবতার দূত মহানবী রাসুলে আকরাম (সঃ) এর মাতার নাম আমিনা ও বাবার নাম আব্দুল্লাহ। জন্মের আগেই বাবা আব্দুল্লাহ মারা গিয়েছিলেন। এবং জন্মের ছয় বছর পর মা আমিনাকে হারান শিশু মুহাম্মাদ। 

সমগ্র আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতা  ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, সে সময়কে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগ। মহান রাব্বুল আলামীন, দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ তখন এক



আল্লাহ,সত্য,ন্যায়, কল্যান ও একত্ববাদের প্রতিষ্ঠায় তার প্রিয় বন্ধু মুহাম্মাদ (সঃ) কে দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন। Ôলাইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহÕ কলেমার বানী প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য যে কষ্ট নির্যাতন, ত্যাগ, ধর্যধারন করে কলেমার দাওয়াত নিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা ও প্রতিষ্ঠা করেছেনও। সে জন্য মহান রাব্বুল আলামীন তার পবিত্র গ্রন্থে ও তার প্রিয় বন্ধু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর উপর অবতীর্ন করা মহাগ্রন্থ কুরআনুল কারীমে হজরত মুহাম্মাদকে রাহমাতুল্লিল আলামীন হিসেবেও সম্মোধন করেছেন। 

মহান আল্লাহপাক বিনয়, সহিষ্ণুতা, দয়া, সহমর্মিতাসহ সব মানবিক সদ্গুণের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। শ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির অধিকারী হিসেবে তিনি সকল ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানবকুলের মধ্যে সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ট মহামানব হিসেবে স্বীকৃত।



ন্যায়পরায়ণতা ও সত্যবাদিতার জন্য শৈশবেই তিনি আল আমিন (সত্যবাদী)  উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। সব নবী ও রাসুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ- মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ ৪০ বছর বয়সে নবুওয়াত লাভ করেন। এরপর ২৩ বছর তিনি তৌহিদের বাণী প্রচার করেছেন। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে এবং সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। এরপর ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে তিনি ওফাত লাভ করেন। 


শেয়ার করুন