০৫ মে ২০১২, রবিবার, ০২:৪৫:৩২ পূর্বাহ্ন


ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৪-২০২৪
ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত ইউরোপের একটি দেশের সুপার সপ/প্রতিকী ছবি


ভারতীয় পণ্যে তোলপাড় এবার ইউরোপ। ইউরোপীয় ফুড সেফটি অথরিটি বলেছে, ইউরোপে রপ্তানি করা ভারতীয় ৫২৭টি পণ্যে ক্ষতিকারক তথা ক্যান্সার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিক ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতি মিলেছে। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা এই রাসায়নিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সক্রিয় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

এর আগে ভারতীয় দুই কোম্পানির পণ্য হংকং এবং সিঙ্গাপুর নিষিদ্ধ করেছিল। সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) রপ্তানি করা ভারতের পাঁচ শতাধিক পণ্যের ব্যাপারে ইউরোপীয় ফুড সেফটি ওই তথ্য জানান দিল। 


বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেকান হেরাল্ড, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব মিডিয়া এ খবর ফলাও করে প্রচার করেছে। এমন ঘটনায় রীতিমত তোলপাড়।  এতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ভারতের সাথে সংশিলিষ্ট ৫২৭টি পণ্যে ইথিলিন অক্সাইড খুঁজে পেয়েছে। এসবের বেশিরভাগই বাদাম এবং তিল বীজ (৩১৩), ভেষজ ও মশলা (৬০), ডায়েট জাতীয় খাদ্য (৪৮) এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্য (৩৪)। ইউরোপে রপ্তানি করা ভারতীয় এসব পণ্যের ৮৭টি চালান ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকিপণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।


প্রতিবেদন যা বলছে


ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সুত্রে জানা গেছে, ওই প্রতিবেদনে বলা হয়- এসব পণ্যে এক ধরনের রঙহীন গ্যাস ইথিলিন অক্সাইড, যা ভারতীয় পণ্যগুলোতে কীটনাশক ও জীবাণুমুক্ত করার রাসায়নিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সাধারণত এই রাসায়নিক চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করার কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করা এই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে তা অন্যান্য ক্যান্সারের পাশাপাশি লিম্ফোমা এবং লিউকেমিয়ার ঝুঁকি তৈরি করে।


ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা র‌্যাপিড অ্যালার্ট সিস্টেম ফর ফুড অ্যান্ড ফিডের (আরএএসএফএফ) তথ্য অনুযায়ী, ৫২৫টি খাদ্যদ্রব্য ও দুটি ফিড পণ্যে রাসায়নিকটি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩৩২টি পণ্যের উৎস দেশ ভারত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাকি খাদ্যপণ্য অন্যান্য দেশ থেকে গেলেও সেগুলোতে ভারতের ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে।


ইউরোপে খাদ্যপণ্য পরীক্ষাকারী রামাইয়াহ অ্যাডভান্সড টেস্টিং ল্যাবের সিওও জুবিন জর্জ জোসেফ বলেছেন, সরাসরি ইথিলিন অক্সাইডের সংস্পর্শে আসা ছাড়াও খাদ্যপণ্যে মেলা আরও দুটি রাসায়নিক ভোক্তাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ইথিলিন গ্লাইকল। কিছুদিন আগে আফ্রিকায় কাশির সিরাপের মধ্যে এই রাসায়নিক পাওয়া যায়। আফ্রিকায় এই সিরাপ খেয়ে অনেক শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে।

শেয়ার করুন