০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৫:০৬:১৫ অপরাহ্ন


শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে বক্তারা
শপথ হোক স্বৈরাচারের পতন ও খালেদার মুক্তি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৬-২০২২
শপথ হোক স্বৈরাচারের পতন ও খালেদার মুক্তি জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে বিএনপির নেতৃবৃন্দ


এক নত্রের পতন। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার ঘোষক এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং বিএনপির অঙ্গ সংগঠন। প্রতিষ্ঠবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের শপথ হোক স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারে পতন ঘটিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। সেই সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নেয়া। তারা আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি পেলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। মানুষের স্বাধীনতা ফিরে আসবে এবং ভারতের শৃঙ্খল থেকে দেশ মুক্তি পাবে। তারা আরো বলেন, শহিদ জিয়ার ঘোষণা মুক্তিযুদ্ধের সূচনা। জিয়া মানেই বাংলাদেশ, জিয়া মানেই স্বাধীনতার ঘোষণা, জিয়া মানে ধূমকেতুর মতো এক দেশপ্রেমিক নেতার আবির্ভাব। তারা বলেন, যে জিয়া জনতার সেই জিয়ার মৃত্যু নেই। 

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মূলধারার রাজনীতিবিদ গিয়াস আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শহিদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হেলাল খান। প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার। উপস্থিত সকল নেতাকে পরিচয় করিয়ে দেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন।

নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সাবেক সভাপতি মওলানা অলিউল্লাহ মো. আতিকুর রহমানের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান এক পর্যায়ে তীব্র প্রতিবাদ সমাবেশ রূপ ধারণ করে- অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সংগঠন ছাত্রলীগের গুন্ডা ও পালিত হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের নির্মম ও পৈশাচিক কায়দায় অতর্কিতে আক্রমণ করে ছাত্রদলের বহু নেতাকর্মীকে মারাত্মকভাবে আহত করার প্রতিবাদে। তারা তখন বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানে সেলাগানে পুরো এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। স্লোগানের ভাষা ছিলো সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, চোর চোর ভোট চোর, শেখ হাসিনা ভোট চোর, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, দিতে হবে। প্রতিবাদ সমাবেশ এবং খাদ্য বিতরণের অনুষ্ঠানটি গত ২৯ মে বিকেলে নিউইয়র্কের ব্যস্ততম এলাকা জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবর উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাখাওয়াত আজম, সৈয়দ এম রেজা, গোলাম ফারুক শাহিন, যুগ্ম সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা দলের সভানেত্রী সৈয়দা মাহমুদা শিরীন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সাবেক সভাপতি মওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুল হক আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান কাউসার, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহফুজুল মাওলা নান্নু, সাবেক সভাপতি আবুল বাশার, সিটি বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ হোসেন, রুহুল আমিন নাছির, মো. কামাল হাওলাদার, মারুফ আহমেদ, সিটি বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আরিফ রহমান চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সরোয়ার খান বাবু, যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, স›দ্বীপ জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ, লংআইল্যান্ড বিএনপির সভাপতি মিয়া আলম পাখি, উপদেষ্টা রিয়াজ মাহমুদ, শ্রমিক দলের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম দুলাল, শ্রমিক দলের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর এম. আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম, যুগ্ম সম্পাদক মো. রুহুল আমিন, জাসাস যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সায়েম, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, সালেহ আহমদ মানিক, জাসাসের সাবেক সভাপতি আবু তাহের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ, কোকো পরিষদের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রাজু, মোহাম্মদ সাদী মিন্টু, জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম এন হায়দার মুকুট, প্রধান উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম ডালিম, জিয়াউল হক মিলন, ইঞ্জিনিয়ার মাঈন উদ্দিনসহ আরো অনেকে।

হেলাল খান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

গিয়স আহমেদ বলেন, এখন সময় এসেছে আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী ভোট চোর শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নেয়া। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষা পাবে, স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব রক্ষা পাবে। সেই ভারতের শৃঙ্খল থেকে আমরা মুক্তি পাবো।

মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল অনুষ্ঠান সফল এবং সার্থক করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞা জানিয়ে বলেন, আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

শহিদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করা হয় এবং ৫ শতাধিক মানুষের মাঝে তবারক বিতরণ করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।


শেয়ার করুন