২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৪:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন


উত্তরখান-দক্ষিনখান এলাকার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে
শাহকবির মাঝার রোডে স্থায়ী জলাবদ্ধতা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৬-২০২২
শাহকবির মাঝার রোডে স্থায়ী জলাবদ্ধতা শাহকবির মাঝার রোডে সিএনজি পাম্প এলাকার জলাবদ্ধতা প্রায় তিনমাস ধরে এই একই চিত্র এখানে /ছবি সংগৃহীত


শেষ পর্যন্ত যে শঙ্কা করা হয়েছিল,সেটাই হলো । ‘রাস্তায় উপচে পড়া ড্রেনের পানি স্থায়ী জলাবদ্ধতা যেন না হয়ে যায়’  এ কথা এখন রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তরখান,দক্ষিনখান থানার এলাকাবাসীর। ঘনবসতিপূর্ণ এ দুই থানার প্রায় ৯৫% লোক অর্থাৎ অন্তত ২ লাখ লোক প্রতিদিন যাতায়াত করার রাস্তা শাহ কবির মাঝার রোড-উত্তরা ৪ নাম্বার সংলগ্ন আজমপুর রেলগেট। এ রাস্তাই এখন নানা খানাখন্দে ভরা। একই সঙ্গে বেশকিছু অংশজুড়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় তিনমাস ধরে এ রাস্তার সিএনজি পাম্প এলাকার বেশ ক্ষানিকটা রাস্তায় ড্রেন ভেংগে রাস্তায় পয়োনিস্কাসন সহ ময়লাযুক্ত পানি এসে দাড়ায়। 

এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিয়ে ব্যার্থ হওয়ার পর মানুষ অতিষ্ট হয়ে মিডিয়ার শরনাপন্ন হলে টেলিভিশন,প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজে ব্যাপক প্রচারিত হয়। এরপর সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ বেশ কিছু দ্বায়িত্বশীল লোক এসে শান্তনা দিয়ে গেলেও ওই পর্যন্তই। পানি আর রাস্তা থেকে সরেনি। তখনও বর্ষা বা বৃষ্টির নামগন্ধও ছিলনা। দীর্ঘদিন ওই অবস্থায় থাকার পর এবার বর্ষা শুরু। প্রতিনিয়ত বৃষ্টি। শাহ কবির মাঝার রোডের ওই অঞ্চল এখনও আগের মতই ডুবে রয়েছে। 

প্রতিদিন লাখ লাখ লোক এ অঞ্চল দিয়ে যাতায়াত করে রিক্স নিয়ে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ সাধারন জনগন প্রচন্ডভাবে বিপর্যস্ত হন ওই পানিতে। কারন ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি শরীরে না লাগিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। মানুষের হেটে পার হওয়ার কোনো উপায় নেই। 

মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। একই সঙ্গে এ রোডে যাতায়াত করেন দুই থানার দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি অনেকেই। কিন্তু কারোরই এ নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। 

এলাকার ভূক্তভূগীরা জানায়, রাস্তার নীচ দিয়ে ড্রেন থাকার ফলে গত বছর চারেক আগে ২২ ফিট ঢালাইয়ের এ পাকা রাস্তা বিভিন্নস্থানে ভেংগে চুরমার। মানুষের চরম দুর্ভোগ। অথচ রেলগেট পার হয়ে আজমপুর পৌছালেই মেইন রোডের বাস্তব উন্নয়নের ছোয়া মানুষ দেখতে পায়। সেক্টরের মধ্যেও কোথাও এক ইঞ্চি রাস্তা যেখানে ভাঙ্গা দেখা যায়না। ড্রেনের পানি উপচিয়ে পরে না। সেখানে সামান্য ব্যাবধানে সিটি করপোরেশনেরই অর্ন্তগত একটি এলাকার মেইন রেডের কী বেহাল অবস্থা। সামান্য ড্রেন মেরামতের মাধ্যমে যার সমাধান সম্ভব সেটা না হওয়ার কী কারন হতে পারে এটা বোধগম্য নয়।    

 খোজ নিয়ে জানা গেছে এ এলাকার বেশীরভাগ রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনের অবস্থা নাজুক। মানুষ বর্ষা এলে অতংকগ্রস্থ হয়ে পরে। গত বর্ষাতেও ড্রেনের পানি ও  বৃষ্টির পানি জমে মানুষ নৌকা নিয়ে চলাফেরা করেছেন এক বাড়ী থেকে অণ্যবাড়ীতে যেতে। টিনসেট বাড়ীতে টয়লেট,রান্নাঘর পানিতে একাকার। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এবারও সে শঙ্কাই। কারন এর মধ্যে রাস্তাঘাট কিংবা ড্রেনেজ  ব্যাবস্থার উন্নতি নেই। 

শেয়ার করুন