২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:০৪:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


১০ ডিসেম্বর নিয়ে উৎকণ্ঠায় ঢাকা
সোহরাওয়ার্দীতে ভয় বিএনপির, পল্টনে সরকারের
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১১-২০২২
সোহরাওয়ার্দীতে ভয় বিএনপির, পল্টনে সরকারের


অবিশ্বাস ও প্রতিহিংসা, ভয়, মাঠ দখল এসব নিয়ে ঢাকা ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ ঘিরে অনিশ্চয়তার দোলাচাল সর্বত্র। কী হবে, কী হতে যাচ্ছে এ নিয়ে ঢাকাবাসীর মধ্যেও বিরাজ করছে এক অজানা আতঙ্ক। শুধু ঢাকা কেন, পিরিস্থিতি এমন জটিলতার দিকে যাচ্ছে গোটা দেশই নয়, বিশ্বের অনেক দেশও এ ১০ ডিসেম্বরটা কঠিন মনিটরিং করছে। বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সংহিসতা বেড়ে যাওয়া ও পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে যে আগাম মন্তব্য করে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট গত আগস্টের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশ সফরে। সেদিনকার তার সে বার্তা এখন ক্রমশ সত্য হতে যাচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, এ জন্য বিরোধী মতদের নির্বাচনী প্রচারণায় সুযোগ দেয়া। কিন্তু সে প্রচার-প্রচারণায় বিরোধী মত কতটা ছাড় পাচ্ছে সেটাই এখন আলোচ্য বিষয়। ছাড় না পেলে সংঘর্ষ, সহিংসতা বাড়বে সেটাও তো বাস্তব। 

মিশেল ব্যাচেলেটের সেই মন্তব্যটাই এখন যথার্থ রূপ নিচ্ছে। বিএনপি তাদের বিভাগীয় সমাবেশ করতে যেয়ে যে পরিমাণ টেকনিক্যাল বাধার সম্মুখীন সেটা কারো অজানা নেই। বিএনপির কর্মীরা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাও যাচ্ছেন। কিন্তু বিএনপি এ জন্য হরতাল, বা কঠোর কোনো কর্মসূচি না দিয়ে মানুষকে বড় ভোগান্তি থেকে রক্ষা করে যাচ্ছেন। কারণ ইতিপূর্বে এমন হত্যাকা- বা রাজনৈতিক কর্মী হত্যার বা নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। লাশ নিয়ে মিছিল, ধর্মঘট হয়েছে। বিএনপি সেদিকে যাচ্ছে না। নিয়মতান্ত্রিকভাবে করে যাচ্ছে তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। 

ঢাকা সমাবেশ নিয়ে কেন উৎকণ্ঠা 

অন্যসব বিভাগে বিএনপি যে সমাবেশটা করেছে, ঢাকার সমাবেশ ঠিক তেমনই একটা। এখানে ব্যতিক্রম বলতে ছিল যেহেতু দেশের প্রতিটা বিভাগীয় অঞ্চলে সমাবেশ শেষ করে ঢাকার সমাবেশের মাধ্যমে ইতি ঘটাবে এ কর্মসূচির। তাইতো এ সমাবেশ বিগত সমাবেশগুলোর একটা বিশ্লেষণ ও নতুন পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণার একটা কথা জানানো হয়েছে। এটুকুই। স্বাভাবিকভাবেই ঢাকায় সমাবেশটা একটু বড় হওয়ার কথা। কেননা ঢাকায় অন্তত দেড় কোটির ওপরে মানুষ বসবাস করে। এর মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা এতে যোগ দিলে সেখানে কয়েক লাখ লোক এমনিতেই হয়ে যায়। এছাড়াও গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকাতে থেকেও তো এ সমাবেশে লোক জড়ো হবে এটাই স্বাভাবিক। এতে করেই জনসমুদ্র হয়ে যাবে এ সমাবেশ বিশেষ করে অন্যসব জনসমাবেশের চেয়ে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এটাকে ভয় পাচ্ছে। 

শাপলা চত্বরে হেফাজতের মতো যদি বিএনপি বসে পড়ে? এ ভয়টা পেয়ে বসেছে। তাছাড়া সম্ভাব্য বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে বিদেশিরাও বিএনপির জনসমর্থনটা স্বচক্ষেই দেখবেন। এটাই দুশ্চিন্তার কারণ। কিন্তু এটাতে বাধাদানেরও উপায় নেই। ফলে টেকনিক্যাললি এটা হ্যান্ডেল কীভাবে করা যায় সে চেষ্টা। ইতিমধ্যে বিএনপি অভিযোগ করেছে ঢাকার অনেক এলাকাতে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিচ্ছে। মামলা হচ্ছে। তবে তাদের আশা এগুলো অন্যসব সমাবেশেও ছিল এ দিয়ে ঢাকার জনস্রোত আটকানো যাবে না। 

কোথায় হবে সমাবেশ?

বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের এ সমাবেশস্থল নিয়ে নতুন করে ঝামেলা তৈরি হয়ে গেছে। এটা ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে। আওয়ামী লীগ ইতিপূর্বে কখনই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিতে রাজি হয়নি। এবার নিজ থেকেই তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছেড়ে দিচ্ছে। বিএনপি শুরু থেকেই চেয়ে আসছে পল্টস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায়। বিএনপি এ স্থানে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন সমাবেশ করে আসছে। যেমনটা গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিউনিউতে করে আওয়ামী লীগ। যেহেতু ডিএমপি হচ্ছে অনুমতি দাতা। কিন্তু তারাই বলছে মূলত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার জন্য। কিন্তু বিএনপির চাই না সোহরাওয়ার্দী। কিন্তু কেন? 

বিএনপি কেন চায় না সোহরাওয়ার্দী 

এক সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সমাবেশের জন্য পাওয়া ছিল প্রেস্টিজিয়াস ও কিছুটা ভাগ্যেরও ব্যাপার। এখন সে সোহরাওয়ার্দীই চায় না বিএনপি। কিন্তু কেন? এটা নিয়ে নানা জনে নানা মত। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের এ ব্যাপারে অতি মানবীয় ও ভদ্রতার সঙ্গে অ্যাপ্রোচটাই বিশ্বাস করতে পারছে না বিএনপি। কারণ এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী একাধিকবার বলেছেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যা বলে, তা করে না, প্লান তাদের উল্টা। পুরোনো ওই কথার হিসাব-নিকাশ কষছে বিএনপি। বিশেষ করে বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ থেকে এগিয়ে ৬ ডিসেম্বর করাটা ভালো ঠেকছে না তাদের। বিএনপি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে এ সম্মেলনে প্রচ- বাধা দেবে আওয়ামী লীগ ও তার ওই অঙ্গসংগঠন। তাছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঢুকতে গেট ব্যবহার করতে হয়। যেখান সেখান দিয়ে উদ্যানে ঢোকার অবস্থা এখন আর নেই। ফলে এ সমাবেশ বিএনপি কিছুটা অনিরাপদ মনে করছে। 

কেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অনিরাপদ মনে করা বিএনপির 

গত ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের রুদ্ধদ্বার সভায় বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা এক বার্তা দেন। এবং এ নিয়ে পরের দিন বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে বাধা দেয়া হবে না। তবে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে যেভাবে দমন করা হয়েছিল, বিএনপিকেও সেভাবে দমন করা হবে। সে সময় তিনি আরো বলেন, ২০১৪ ও ’১৫ সালে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির সময় জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনা সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচার করতে হবে। বিএনপি সহিংসতা করলে শক্ত জবাব দেয়া হবে। অশান্তি করলে ছাড় দেয়া হবে না। বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এ তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্য নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়। বিশেষ করে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছে, ২০১৩ সনের ৫ই মে শাপলা চত্বরে যে হেফাজতকে কঠোরহস্তে দমন করা হয়েছিল সেটা এতোদিন পর তারা নিজেরাই স্বীকার করে নিলেন। 

প্রশ্নটা সেখানে নয়। বিএনপির ভয় এখানেও। কারণ মির্জা ফখরুল সর্বশেষ কুমিল্লাতেও বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিজেরা জ্বালাও-পোড়াও করে সে দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে আসছে। চৌদ্দগ্রামের রেফারেন্সও তিনি সেখানে টেনে আনেন। বিএনপি বিভিন্ন সময়ে ২০১৩ সনের সে জ্বালাও-পোড়াও সরকারই করেছিল বলে উল্টা দোষ চাপিয়ে আসছে সরকারের ওপর। ফলে সে দিকটা মনে করে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য যে সমাদর দেখাচ্ছে এখন আওয়ামী লীগ এবং এ জন্য ছাত্রলীগের সম্মেলন ৬ ডিসেম্বর নিয়ে আসা হয়েছে- সেটা নিয়ে সন্দিহান। ঢাকাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যোগ দিতে আসা মানুষকে যদি নানা অজুহাতে কঠিনভাবে মার দেয়া হয়। ভয় ঢুকিয়ে দেয়া হয়। তাহলে পরবর্তী আন্দোলনে সাধারণ মানুষদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। সব দিক বিবেচনা করে বিএনপি এখন ওপেন স্পেসে সমাবেশ করতে আগ্রহী এবং নয়াপল্টনেই তারা যে কোনো মূল্যে সমাবেশ করবেন, সোহরাওয়ার্দীতে নয়। সেটা বারবার জানান দিচ্ছে দলটির বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। কারণ আওয়ামী লীগকে তারা বিশ্বাস করতে পারছে না। এর আগেও চায়ের দাওয়াতের পর ভোলাতে কী হয়েছিল সেটা তারা রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করছেন।  

ওবায়দুল কাদের 

ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ ডিসেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর নিয়ে এসেছেন। দলীয় সভাপতির বার্তা আমি ছাত্রলীগকে পৌঁছে দিয়েছি। শুধুমাত্র বিএনপি একটা অজুহাত দেখাচ্ছে যে, ৮ তারিখে ছাত্রলীগের সম্মেলন, কী করে তারা ১০ তারিখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সম্মেলন ৬ তারিখে নিয়ে এসেছেন। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকার কথা আছে। আমরা বাধা দিচ্ছি না, আমরা বাধা দেবো না। কিন্তু আগুন নিয়ে যদি খেলতে চান, যদি লাঠি নিয়ে খেলতে চান তার সমুচিত জবাব দেবো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে।’ 

গত ২৮ নভেম্বর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিকী সম্মেলনে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে তৈরি আছেন তো? ডিসেম্বরে খেলা হবে। নির্বাচনে খেলা হবে। আন্দোলনে খেলা হবে। ১০ ডিসেম্বর খেলা হবে। মারামারি, পাল্টাপাল্টি, কোনো বাধা নয়। বিএনপি মিটিং করুক শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এটা আমরা চাই। আগুন আর লাঠি নিয়ে আসলে খেলা হবে। বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা আগুন আর লাঠি নিয়ে খেলা করবেন আর আমাদের নেতারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ চুষবে- এটা হবে না। আমরা প্রস্তুত আছি। 

তাহলে কী হতে চলেছে 

বিএনপি তরফ থেকে বলা হচ্ছে তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কখনই চায়নি। সেখানে তারা সমাবেশ করবে না। পল্টনে ইতিপূর্বে সমাবেশ করেছে সেখানেই করবে। পুলিশের তরফ থেকে যে আপত্তির তোলা হয়েছে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ। এর জবাবে বিএনপি বলেছে, শনিবার। সরকারি ছুটির দিন। এদিন কাকরাইল পল্টনের ওই এলাকায় তেমন কোনো মুভমেন্ট থাকে না। ফলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। তাছাড়া বিকল্প অনেক রাস্তাই রয়েছে। 

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম বলেছেন, ‘নাগরিকরা যেখানেই দাঁড়াবেন সেখানেই সমাবেশ। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের মালিক জনগণ, জনগণের ইচ্ছানুযায়ীই হতে হবে সবকিছু।’ এছাড়াও বিএনপির একাধিক নেতা নয়াপল্টনেই সমাবেশ হবে বলে দৃঢ়তা দেখাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ যে পরামর্শ দিচ্ছেন সেটা নিয়েও তারা বলছে এতে তাদের দুরভিসন্ধি কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। 

উল্লেখ্য, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং অব্যবস্থাপনা, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি, ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ।

শেয়ার করুন