০২ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৮:১২ অপরাহ্ন


পাশে চাইলো রাজনৈতিক নেতাদের
ভীষণ অস্বস্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৯-২০২৫
ভীষণ অস্বস্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস


ভীষণ অস্বস্তিতে আছে অন্তর্বর্তী সরকার ও এর সাথে সম্পৃক্তরা। দেশের ভেতরে তারা নানান ধরনের প্রটোকল নিয়ে স্বচ্ছন্দে চললেও বিদেশের মাটিতে দফায় দফায় নানান ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার মুখে পড়ছেন সংশ্লিস্টরা। সরকারের সাথে সম্পৃক্তরা হেন অপদস্থতা নেই যে যার শিকার হচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য না করলেও বাস্তবে তারা চলতে- ফিরতে যে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে তা স্পস্ট হয়ে উঠছে। 

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর একবছর না যেতে মাত্র দেড়মাসের মাথায় বিদেশের মাটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে সম্পৃক্তদের প্রভাবশালী ভীষণভাবে নাজেহাল হন। সুইজারল্যান্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের হাতে হেনন্তার শিকার হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল খবরে বলা উপদেষ্টার গাড়ি জেনেভা বিমানবন্দরে নামার পর একদল লোক সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর বেশ কয়েক মিনিট উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত আসিফ নজরুলকে বিরক্ত করেছেন হেনস্তাকারী।

এরপরে আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন-এর স্কুল অব আফ্রিকান অ‍্যান্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ (সোয়াস) ক্যাম্পাসে আয়োজিত একটি সেমিনার থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। অবশ্য লন্ডনে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলা চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্কে সরকারি কাজে থাকাকালীন মাহফুজ আলমের ওপর হামলার পর এবার লন্ডনেও এ ঘটনা ঘটল। বলা হয় অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। তবে জানা গেছে, এই ঘটনাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে সংশ্লিস্টদের। বিদেশের মাটিতে পা রাখলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘিরে ধরা বা অপদস্থ করার ব্যাপারটি এখন সরকারকে বেশ ভাবাচ্ছে, তাদের ইমেজে বড়ো ধরনের ধাক্কা দিচ্ছে। 

সরকার সর্তক সাথে নিলো বিএনপি-জামায়াতকে

এদিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে এখন নিউইয়র্ক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এবার আকস্মিকভাবে একটা বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। তা ছিল এবারে ড. ইউসুস কিন্তু তার ব্যক্তিগত ও আন্তর্জাতিক ইমেজের ওপর ভরসা রাখেননি। সাথে নিয়েছেন সফরসঙ্গী হিসেবে ৫ জন রাজনৈতিক নেতা। এরা হলেন দেশের বৃহত্তম বড় দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে। আর নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন জামায়াত নেতা মোহাম্মদ নকিবুর রহমান।

কিন্তু কেনো?

কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এত্তোসব বাঘা বাঘা নেতাদের কেনো এবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস? এনিয়ে নানান ধরনের বক্তব্য আলোচনা-সমালোচনার খবরও আছে। তা হলো খোদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ধরে নিয়েছেন বা তার সাথে সংশ্লিস্টরা-ও বুঝতে পেরেছেন যে, এবারে নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তুলকালাম কান্ড করতে পারে। এমনভাবে তারা বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করবে যা কি-না আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য মারাত্মক ইমেজ সঙ্কটের সৃষ্টি করবে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই বিশ্বনেতাদের তালিকার অন্যতম অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য হবে অনেক অসম্মানের। কারো কারো কারো মতে, একারণে তিনি এবার নিউইয়র্কে বাঘা বাঘা নেতাদের নিয়ে হাজির করেছেন। যেনো এসব নেতাদের হাজার নেতাকর্মীও নিউইয়র্কে জমায়েত হয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বিশাল জমায়েত করে। আর এটা দেখিয়ে তিনি আমেরিকা প্রশাসনকে বুঝ দিতে পারছেন এই বলে যে তার-ও প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন আছে। 

এদিকে বাংলাদেশের ভেতরে-ও অনেক কিছুতেই সাধারণ জনগণ ফোসফাস করছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে ভিড় করছেন অনেেেক। বলা হচ্ছে অর্থনৈতিক এমন চাপ থেকে স্বল্প মানুষদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সরকার ভর্তুকি মূল্যে ট্রাকে পণ্য বিক্রি করে থাকে। কিন্তু চাহিদা সত্ত্বেও এক মাস বিক্রির পর এ মাসের ১৩ তারিখ ট্রাক সেল বন্ধ করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এগুলো নিয়ে অস্বস্থিতে আছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের একটি বিশাল গোষ্ঠী। এমনিতেই গণমাধ্যমের খবরে বেরিয়েছে যে, সামান্য কমলেও প্রায় তিন বছর ধরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের আশপাশে। দীর্ঘ এই মূল্যস্ফীতির চাপে পড়ে তিন বছরে দেশে দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ শতাংশ। আর উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাজারে খাবারের জোগান দিতে পরিবারের আয়ের প্রায় ৫৫ শতাংশ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।

বাড়ছে নির্বাচনের দাবি

এদিকে দেশের সাধারণ জনগণের সাথে একান্তে আলাপচারিতায় দেখা যে তারা একটি রাজনৈতিক সরকার চায়। তারা মনে করে, দেশে কার্যত কোনো কার্যকর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সরকার নেই। তারা মনে করছে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে দেশ ইতিবাচক পথে হাঁটবে। সম্প্রতি আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত- মত দিয়েছেন দেশের ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার। একই সঙ্গে ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন তারা ভোট দিতে আগ্রহী। এ-বিষয়গুলি এখন মামনে নিয়ে আসাকে কে সংশ্ষ্টিরা রাজনৈতিক মহলে বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করেন। 

ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন চায়, ভরসাস্থল

গত ২১ সেপ্টেম্বর রোববার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও অংশ নিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, তপন চৌধুরী, একে আজাদ, নাসিম মনজুর, কামরান টি রহমান, আহসান খান চৌধুরী, তাসকিন আহমেদ, এমএ হাতেম, ফজলে এশান শামীম, ডা. রশিদ আহমেদ হোসেনী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বিএনপি’র এমন বৈঠক রাজনৈতিকভাবে ইঙ্গিতপূর্ণ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক জটিলতায় পড়েছেন। যা শুধু তাদের-ই নয় দেশের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে যদি-না একটি রাজনৈতিক সরকার দ্রুত ক্ষমতায় না আসে। এর পাশাপাশি এরা স্পস্ট যে, শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা-ও এখন স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন না। জানা গেছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকটিতে এসময়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বোঝা যাচ্ছে শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা-ও দ্রুত একটি রাজনৈতিক সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। 

বাড়ছে ঝটিকা মিছিল..আরও উদ্বেগ সরকারে

এদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রায়ই ঝটিকা মিছিল বের করছেন। এতে আস্তে আস্তে দলটির নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি লক্ষ্যণীয় অনেক জায়গা দেখা যাচ্ছে যে, সাধারণ জনগণ এর বিরুদ্ধে তেমন উচ্চবাচ্য বা পাল্টা ধাওয়াও দিচ্ছে না। অথচ মাত্র কয়েকমাস আগে পরিস্থিতি অন্যরকম ছিলো, এমন মিছিল দেখলে ধাওয়া দিতো সাধারণ জনগণ-ও। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মিছিল ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো, টহল জোরদার ও গ্রেপ্তারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খুব যে কাজ হচ্ছে বলে মনে হয় না। এবিষয়গুলি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগ উৎকন্ঠা ভীষণ। এখন প্রশ্ন এধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি আরও বিগড়ে গেলে তা রুখে দিতে কি ওরা মাঠে ঐক্যবদ্ধ? একসময়ে ফ্যাসীবাদী শাসনের পতনে সম্পৃক্তরা দলমত নির্বিশেশে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফলে থাকা সে-ই তাদের কি এখন (অন্তর্বর্তী সরকারের) পাশে পাওয়া যাবে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অন্দরমহলে। 

তাই নির্বাচনের পথেই সরকার

একটি সূত্র জানায় জাতীয় আন্তর্জাতিক সব দিকে থেকে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে দ্রুত একটি নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারেই। এখন বোঝা যাচ্ছে যে, ড. ইউনুস সরকার-ও এখন চান একটি দ্রুত নির্বাচন দিয়ে তা নিজের পথে চলে যেতে। সর্বশেষ ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত এবং ভারতের জন্য মনোনীত রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোরের সঙ্গে বৈঠককালে অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কন্ঠে তা স্পস্ট হয়ে উঠেছে। তিনি সাফ বলে দিয়েছেন যে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে দিন দিন স্পস্ট হয়ে উঠেছে অন্তর্বর্তী সরকার এখন দ্রুত নির্বাচনের পথেই হাঁটছে...। 

মার্চ থেকে আর থাকতে চান না ইউনুস

এদিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ খবর হচ্ছে সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে ভারতের কলকাতার বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘এই সময়’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছু তথ্য দেন। সাক্ষাৎকারটি গত ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার প্রকাশিত হয়। এতে পত্রিকারটির সাংবাদিক জানতে চান, নির্বাচনের বিষয়ে ইউনূসের উপরে আপনি আস্থা রাখছেন? কিছু দিন আগেও তো তার বিরুদ্ধে এনসিপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন আপনারা। তিনি নির্বাচন করাতে চান না, এমন কথাও বলা হয়েছে- সাংবাদিকের এমব প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন পরিস্থিতি বদলেছে। দলের পক্ষে আমি তার সঙ্গে কথা বলি। দেখছি, এখন তিনি সর্বোচ্চ সিরিয়াস। আন্তরিকভাবেই চান ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হোক। আগস্টের ৫ তারিখে ড. ইউনূস নির্বাচনের দিন ঘোষণা করলেন। তার আগের দিন রাতে ইউনূস সাহেবের বাসভবনে তার ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজজামানের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আমার দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেনাপ্রধান বলেন, পুলিশ কম বলে এক বছর ধরে সেনাদের রাস্তায় ডিউটি করতে হচ্ছে, যা একেবারেই কাম্য নয়। তিনি ডিসেম্বরে ভোটের কথা বলেছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে আপত্তি নেই। সব রকম সহযোগিতা করবেন। তিনি চান, নির্বাচন করিয়ে বাহিনী এ বার ব্যারাকে ফিরে যাক। ইউনূসও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে অব্যাহতি চান তিনি। বলেছেন, আর চাপ নিতে পারছেন না। পত্রিকাটিতে দেওয়ার ওই সাক্ষাৎকারের আরেক জায়গায় সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল খানিক চুপ করে থাকার পরে জানান, ইউনূস আমাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। সে বার্তা সংক্ষিপ্ত, এক লাইনের। এক ধরনের ফাইনাল বেল বলতে পারেন। ইউনূস সে দিন আমাদের জানিয়ে দেন, ফেব্রুয়ারিতে ভোটের বাস ধরতে না পারলে তিনি মার্চ থেকে আর থাকবেন না। এমন পরিস্থিতি যেন না হয়, যাতে ভোটটাই করা গেল না।

শেয়ার করুন