২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১০:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১০-২০২৫
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রতীকী ছবি


অন্তর্বর্তী সরকারের ২০২৪ সনের ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জুলাই আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা ও হত্যা মামলা দায়ের শুরু। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও ওইসব মামলার খুব একটা গতি নেই। বহু হত্যা মামলার আসামি ইতিমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। অনেকেই আবার আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে বিভিন্ন উপায় চেষ্টা সাধনা করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন পর সংশ্লিষ্টদের হুঁশ ফিরেছে কিছু একটা করার। এর পরিপেক্ষিতে সরকার এসব মামলার একটা সুরাহা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যদিও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে হত্যার অভিযোগে ৮৩৭ মামলার মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৫টির কাজ চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। বাকি মামলার মধ্যে চার্জশিট দাখিল হয়েছে মাত্র ১৯ হত্যা মামলার। বাকিগুলোর তেমন কোনো হদিস নেই। কবে সেসব মামলার চার্জশিট দাখিল হবে তা কেউ জানেও না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোনো তাগাদা দেওয়ারও কথা শোনা যায়নি। 

সম্প্রতি জুলাই আন্দোলনে সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ব্যতীত) বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এমন এক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রসিকিউশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ করবে একটি বিশেষ কমিটি।

গত রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. রেজাউল করিম। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে হত্যার অভিযোগে মোট ৮৩৭টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি মামলার বিচারকার্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন ফৌজদারি আদালতে পুলিশ ইতোমধ্যে ১৯টি হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে। এসব হত্যা মামলা ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০০’-এর ১০ ধারার বিধান অনুযায়ী বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাগুলোর প্রসিকিউশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

কমিটির কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে

(ক) কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে দেশব্যাপী চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংগ্রহ করবে (মামলার বর্তমান পর্যায় উল্লেখসহ)। 

(খ) এরূপ মামলার মধ্যে যেসব মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে, সেসব মামলায় (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ব্যতীত) প্রসিকিউশনের কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করবে (যদি থাকে) এবং উক্ত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের কাছে প্রেরণ করবে।

(গ) কমিটি ইহার কার্যক্রম বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও দেশবাসীকে সময়ে সময়ে অবহিত করবে।

শেয়ার করুন