৩০ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০৭:২৯:৬ পূর্বাহ্ন


প্রবাসে প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক ভোটার তালিকায় যুক্ত
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১০-২০২৫
প্রবাসে প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক ভোটার তালিকায় যুক্ত


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ২০ হাজার ৬৭৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ভোটার তালিকায় যুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি কর্মকর্তা জানান, প্রবাসে বসে প্রবাসীদের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় প্রায় আড়াই বছর আগে। এ সময়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত সকল কার্যক্রম শেষ করে ২০ হাজার ৬৭৬ জনকে ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।

ইসির সবশেষে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এখন পর্যন্ত মোট আবেদন পড়েছে ৬১ হাজার ১১৯টি। দূতাবাস অফিসে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৯০ জনের। তদন্ত সম্পন্ন হয়ে আবেদন অনুমোদন হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ১১১ জনের। অপেক্ষমাণ আছে ১ হাজার ৩৬টি আবেদন। বাতিল হয়েছে ৫ হাজার ১৩৬ জনের আবেদন। তদন্ত অপেক্ষমাণ আছে ২৯ হাজার ২৪৭ জনের। 

এছাড়া ইসির সার্ভারে আপলোড হয়েছে ২০ হাজার ৬৭৬টি জনের তথ্য। এ পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাপানো হয়েছে ১৫ হাজার ৩১টি। যা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। 

ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও আবুধাবি, সৌদি আরবের রিয়াদ ও জেদ্দা, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ম্যানচেষ্টার ও বার্মিংহাম, ইতালির রোম ও মিলান, কুয়েতের কুয়েত সিটি, দোহারের দোহা, মালয়েশিয়ার কুয়ালামপুর, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা ও সিডনি, কানাডার অটোয়া ও টরোন্টো, জাপানের টোকিও, আমেরিকার নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, মায়ামি, লস অ্যাঞ্জেলেস-এই ১১টা দেশের ২১টি স্টেশনে এই কার্যক্রম চলছে।

প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান বিষয়ক আদর্শ পরিচালনা পদ্ধতিতে (এসওপি) যা উল্লেখ করা হয়েছে- 

(১) ভোটারযোগ্য (১৮ বা তদূর্ধ্ব বয়সী) প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা অবস্থানরত-বসবাসরত দেশে থেকেই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। (২) এছাড়া বাংলাদেশে বসবাসকারী নাগরিকদের ন্যায় প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া যাবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য নাগরিকের যেসব দলিলাদি প্রয়োজন-২

অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্র ফরম-২(ক)।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ‘বিশেষ এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৬টি উপজেলা/থানার জন্য অতিরিক্ত তথ্য সম্বলিত ‘বিশেষ তথ্য ফরম’ (বিশেষ এলাকার ভোটারদের জন্য জারিকৃত পরিপত্রে উল্লিখিত ক্যাটাগরির আবেদনকারীদের জন্য)।

মেয়াদ সংবলিত বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি/মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি/যে মিশন অফিসে নিবন্ধন করা হবে সে দেশের বিদেশি পাসপোর্টের কপি/সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসকারী তিনজন বাংলাদেশি এনআইডিধারী ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক মর্মে (নির্ধারিত ফরমে) প্রত্যয়নপত্র।

বাংলাদেশি জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি (অনলাইন ভেরিফাইড)।

পাসপোর্ট সাইজের এক কপি রঙিন ছবি।

আবেদনকারীর পিতামাতার এনআইডির কপি/বাংলাদেশি অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের কপি/বাংলাদেশি মৃত্যু সনদের কপি (মৃত হলে)/পাসপোর্টের কপি/ওয়ারিশ সনদের কপি/ বাংলাদেশের বাসিন্দা মর্মে নাগরিক সনদের কপি। দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

শিক্ষা সনদের কপি (এসএসসি/জেএসসি/ পিইসি) (যদি থাকে)।

ড্রাইভিং লাইসেন্স/টিআইএন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

নিকাহনামা এবং স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

আবেদনকারীর নাগরিকত্ব সনদ (কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান/মেয়র/সিইও/প্রশাসক কর্তৃক)।

সংশ্লিষ্ট ঠিকানা সম্বলিত ইউটিলিটি বিলের কপি/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ।

এসওপিতে আরো বলা হয়েছে, প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার (রেজিস্ট্রেশেন অফিসার) কর্তৃক আবশ্যিকভাবে সরেজমিন তদন্ত করা হবে। তারকা চিহ্নিত দলিলাদি আবশ্যিকভাবে দিতে হবে। 

কোনো দলিল/দলিলাদি জমা দেওয়া সম্ভব না হলে বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রতিনিধির মাধ্যমে সেই দলিল/দলিলাদি উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার (রেজিস্ট্রেশেন অফিসার)/তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে। অন্যান্য দলিলাদিও একই প্রক্রিয়ায় জমা দেওয়া যাবে।

শেয়ার করুন