১৫ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার, ৬:৪২:১৭ পূর্বাহ্ন


স্টেট বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-১১-২০২৫
স্টেট বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন বক্তব্য রাখছেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক


জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির আলোচনা সভায় বক্তারা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। তারা পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানে শহিদ সব সৈনিককেও শ্রদ্ধা জানান। বলেছেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। আজকে সেই বাংলাদেশকে নিয়ে পতিত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এবং স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো। আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী দেশবিরোধী শক্তি অন্যদিকে বিএনপি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

নিউইয়র্ক সিটির নবান্ন পার্টি হলে হোস্ট সংগঠনের সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি সাইদুর রহমান সাঈদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনটির কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ভিপি জসীম, স্টেট বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রইস উদ্দিন, সিটি বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সৈয়দা মাহমুদা শিরিন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-স্টেট বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক দেওয়ান কাউসার, কাজী আসাদুল্লাহ, অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা রাজ্জাক সেতু, আরিফুল হক চৌধুরী, হাসান মাহমুদ বাপ্পি, শাকিল মাহমুদ, দেওয়ান মেহরাব রাজা চৌধুরী, বশির আহমেদ, হাবিবুর রহমান, জিল্লুর রহমান, আবুল কালাম, জিয়াউর রহমান মিলন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। টানা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আর যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার সোয়া ৩ বছরের মাথায়ই গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, যারা নির্বাচন বানচাল করবার চক্রান্ত করছে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। 

গেস্ট অব অনার ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, বিএনপিই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে জাতির সকল দুর্যোগময় সময়ে ৭১-এর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। আজকে সেই বাংলাদেশকে নিয়ে পতিত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এবং স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামি ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তারা আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো। আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী দেশবিরোধী শক্তি অন্যদিকে বিএনপি স্বাধীনতার পক্ষে শক্তি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন বলেন, বিপ্লব ও সংহতি দিবসেই বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডটির পুনর্জন্ম ঘটেছে। 

বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার এমএ খালেক বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ এবং তারেক রহমানের সমন্বয়ে আমেরিকা প্রবাসীরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন, তার মূল্যায়ন হবে বলে আমরা আশা করছি।

শেয়ার করুন