০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:৩৩:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


সিনেটর পদে বাংলাদেশি আমেরিকান কারিশ্মা মঞ্জুর
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১১-২০২৫
সিনেটর পদে বাংলাদেশি আমেরিকান কারিশ্মা মঞ্জুর কারিশ্মা মঞ্জুর


নিউইয়র্কে সিটিতে মেয়র হিসেবে জোহরান মামদানির ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্বক বিজয়ের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন বাংলাদেশি আমেরিকান ড. কারিশ্মা মঞ্জুর।

বাংলাদেশে জন্ম ও যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা করিশ্মা মঞ্জুর নিউ হ্যাম্পশায়ারের মার্কিন সিনেট আসনের দৌড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন, যা ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় সাড়া ফেলেছে। বর্তমান সিনেটর জিন শাহিন পুনরায় প্রার্থী না হওয়ায় আসনটি এখন পুরোপুরি উন্মুক্ত। ফলে এটি ২০২৬ নির্বাচনের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক ও নজরকাড়া সিনেট দৌড়ের একটি হয়ে উঠেছে।

করিশ্মা মঞ্জুর একজন পিএইচডি বিজ্ঞানী, নিঃস্বার্থ নেতা এবং শান্তি-অভিযান কর্মী হিসেবে সমাদৃত। তার প্রার্থিতা ইতিমধ্যেই ইতিহাস গড়েছে। নির্বাচিত হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বাংলাদেশি মুসলিম সিনেটর হবেন।

জয়ের বাস্তব সম্ভাবনা

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি দেশের অন্যতম ‘সবচেয়ে সম্ভাবনাময় আউটসাইডার’ প্রার্থীর দৌড়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ করিশ্মাকে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়েছে-

বিভক্ত ভোটারগোষ্ঠী : নিউ হ্যাম্পশায়ারের ৪০ শতাংশের বেশি ভোটার ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান-কোনো দলেই সংশ্লিষ্ট নন। তারা সাধারণত দল নয়, প্রার্থীকে দেখে ভোট দেন।

কম ভোটেই প্রাইমারি জয় : প্রাইমারি জিততে মাত্র ৮০ হাজার ভোট প্রয়োজন-একটি সুসংগঠিত ও তহবিলসমর্থিত প্রচারণা সহজেই গতি আনতে পারে।

দুর্বল প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী : তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস পাপ্পাস ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা অনুমোদন ও এআই প্যাকের মতো ইসরায়েলপন্থী গোষ্ঠী থেকে বড় অঙ্কের অনুদান নেওয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক মতের ভোটারদের বিরক্ত করেছেন। এতে যুদ্ধবিরোধী, প্রগতিশীল এবং স্বচ্ছ রাজনীতির দাবিদার ভোটারদের মধ্যে করিশ্মার প্রতি সমর্থন দ্রুত বাড়ছে।

সমর্থন ও তৃণমূল শক্তির ক্রমবর্ধমান গতি

বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি, শান্তিনীতির প্রতি অঙ্গীকার ও নৈতিক রাজনীতির প্ল্যাটফর্মের কারণে করিশ্মা ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমর্থন পেয়েছেন-পিস অ্যাকশন ও সিটিজেন্স অ্যাগেইনস্ট এআইপ্যাক করাপশন।

তার ক্যাম্পেইন টিম জানিয়েছে যে স্বেচ্ছাসেবক এবং ছোট অনুদানকারীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে পারলে করিশ্মা কার্যকরভাবে পুরো রাজ্যের ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন-ডিজিটাল প্রচারণা, রেডিও এবং স্থানীয় দূরদূরান্তের প্রচার কর্মসূচির মাধ্যমে।

ওয়াশিংটনের জন্য নতুন ধরনের নেতৃত্ব

সততা, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানবিক মূল্যবোধ-এ তিনের সমন্বয়ে গঠিত নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি করিশ্মার মধ্যে দেখা যায় বলে সমর্থকরা মনে করেন। ‘করিশ্মা এমন নেতৃত্বের উদাহরণ যা ওয়াশিংটনের দরকার-চিন্তাশীল, তথ্যনির্ভর এবং মানবিক মূল্যবোধে দৃঢ়’-বলেন এক তৃণমূল সংগঠক। ‘এ মুহূর্ত পরিবর্তনের, আর তিনি সঠিক সময়ে সঠিক প্রার্থী।’

নিউ হ্যাম্পশায়ারসহ যুক্তরাষ্ট্রজুয়ে বাংলাদেশি ও মুসলিম সম্প্রদায় ইতোমধ্যেই তার প্রার্থিতাকে ঘিরে সংগঠিত হতে শুরু করেছে।

একটি সম্ভাবনাময় ঐতিহাসিক মুহূর্ত

করিশ্মার প্রার্থিতা শুধু একটি নির্বাচন নয়-এটি প্রতিনিধিত্ব, অভিবাসী কমিউনিটির অগ্রগতি এবং ন্যায়ভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতির দাবি জানানোর আন্দোলনের একটি বহুমাত্রিক প্রতীক। তিনি ফিলিস্তিনে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নির্বাচনী প্রচারণার সামনে রেখেছেন। 

ক্যাম্পেইন টিমের পক্ষ থেকে সবাইকে শুরু থেকেই যুক্ত হয়ে এ ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশ হতে আহ্বান জানিয়েছে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় করতে শিগগিরই নিউইয়র্কে তার সফরের কথা রয়েছে।

শেয়ার করুন