১১ ডিসেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ত্রোয়েদশ জাতীয় নির্বাচন ও গনভোট ফ্যাক্টচেকিং ও কনটেন্ট মডারেশন কর্মীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ৮ ডিসেম্বর থেকে এফ ও এম সাবওয়ে লাইন সপ্তাহের দিনে রুট পরিবর্তন উইন রোজারিওর খুনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে লেটিকেয়ার অস্বীকৃতিতে জাপানের প্রথম রাজধানী নারা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া পদত্যাগ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘোষণা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বয়কট নিষিদ্ধ করে অ্যাডামসের বিতর্কিত আদেশ হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারির ভাতিজার মাকে মুক্তির নির্দেশ বিশ্বকাপ ফাইনালে টিকেটের দাম ৬ হাজার ডলার


বেশিরভাগ দরিদ্র মানুষ সীমান্তে হত্যার শিকার
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-১২-২০২৫
বেশিরভাগ দরিদ্র মানুষ সীমান্তে হত্যার শিকার প্রতীকী ছবি


গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ সংবাদপত্রে দেওয়া এক বিবৃতিতে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক অব্যাহতভাবে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, সীমান্তে হত্যার শিকার বেশিরভাগই সীমান্তবর্তী এলাকার দরিদ্র মানুষ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বার বার দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা শুণ্যে নামানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও ভারতের বিএসএফ কর্তৃক অব্যাহতভাবে বাংলাদেশী নাগগরিকদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে গত ১৫ বছরে ছয়শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিককে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। গত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ২৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার লালমনিহাটের পাটগ্রামে সীমান্তের ৩০ গজ ভিতরে সবুজ ইসলাম এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সীমান্ত এলাকায় গরু চরানোর সময় সুকিরাম বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশেষজ্ঞদের মত হলো আান্তর্জাতিক আইনে কোন বাহিনীকে বিশ্বের কোথাও নিরস্ত্র- বেসামরিক নাগরিকদের গুলি করার অনুমতি দেয়না। সীমান্তে কোন লেথাল উইপেন (প্রাণঘাতি অস্ত্র) ব্যবহার করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও ভারতের বিএসএফ এর গুলিতে নিরীহ বাংলাদেশীরা প্রাণ হারাচ্ছে। বিএসএফ এর পক্ষ থেকে বার বার হত্যার শিকার বাংলাদেশীদেরকে গরু চোরাচালনকারী ও অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। কিন্তু যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেওয়া হয় যে তারা চোরাচালানকারী বা অনুপ্রবেশকারী তাহলেই কি ভারত বা বিশ্বের কোন দেশের আইনে আছে তাদের গুলি করে হত্যা করা যাবে? অপরাধী হলে তাদের গ্রেপ্তার করে প্রচলিত আইনে বিচার করতে পারে। তা না করে ক্রমাগত বিএসএফ বাংলাদেশীদের হত্যা করে চলেছে যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারের চরম লংঘন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সীমান্তে হত্যার শিকার বেশিরভাগই সীমান্তবর্তী এলাকার দরিদ্র মানুষ। অনেকে কৃষি কাজ করতে গিয়ে ভুলবশত জিরো লাইনের কাছে চলে গেলে গুলি বর্ষণের শিকার হয়। ফেলানীর লাশ সীমান্তে কাঁটাতারে ঝুলে থাকার ঘটনা বাংলাদেশীরা কোনদিন ভুলতে পারবে না।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে না পারাকে বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনৈতিক ব্যর্থতাকে দায়ী করে বলেন, অবিলম্বে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহার এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করে দ্বিপাক্ষিক এমনকি আন্তর্জাতিক ফোরামে তোলার জোর দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে বাংলাদেশের সর্বস্তরের নাগরিকদেরকে ভারতীয় সরকারের সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহার করার দাবিতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ ক্কাফী রতন, বাংলাদেশ জাসদ-এর সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদাক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।

শেয়ার করুন