০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


মার্ক জেফের সাথে কনসাল জেনারেলের বৈঠক
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১০-২০২২
মার্ক জেফের সাথে কনসাল জেনারেলের বৈঠক নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সিইও মার্ক জেফের সাথে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম


গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সিইও মার্ক জেফের  সাথে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার কার্যালয়ে গত ১৪ অক্টোবর সাক্ষাৎ করেন। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে কোভিড-১৯ পরবর্তী অবস্থা ও রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতিতে উদ্ভূত অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে তাঁরা বিশদভাবে আলোচনা করেন। উভয়ই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্কে আরো গভীর ও সম্প্রসারিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন। আলোচনার সময় কনস্যুলেটের প্রথম সচিব ইসরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে ড. ইসলাম যোগ করেন বাংলাদেশের অর্থনীতি শুধু যে একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে তাই নয়, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আজ বিশ্বদরবারে স্বীকৃত। অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে অভিহিত করে কনসাল জেনারেল ড. ইসলাম প্রেসিডেন্ট জেফকে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি অবহিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের রফতানি বাড়ানোর পাশাপাশি তিনি রফতানি বাজারকে আরো সম্প্রসারিত করার ওপর জোর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিশেষভাবে ওষুধ ও আইটি প্রোডাক্টের কথা উল্লেখ করেন। 

ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান হারে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বলে কনসাল জেনারেল যোগ করেন। আঞ্চলিক দেশসমূহের সাথে ক্রমবর্ধমান কানেকটিভিটি, ভৌগোলিকভাবে কৌশলগত সুবিধাজনক অবস্থান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স ও ট্যাক্সবহির্ভূত সুবিধাসমূহ বিবৃত করে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য বলে আখ্যায়িত করেন। সরকার পরিকল্পিত বিকাশমান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের প্রাপ্ত সুবিধাসমূহের বর্ণনা দিয়ে ড. ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদের আরো আন্তরিকভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আমন্ত্রণ জানান। এক্ষেত্রে তিনি অন্যদের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণশিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতসমূহের কথা বিশেষভাবে চিহ্নিত  করেন। তিনি জনাব মার্ক জেফ কে গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের এক প্রতিনিধিদলসহ বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রসঙ্গক্রমে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মেধা, মনন, উদ্যম ও সৃজনশীলতা তুলে ধরে কনসাল জেনারেল বলেন যে, তারা শুধুমাত্রই দু’দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে না, দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে অবদান রাখছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কর্মদক্ষতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার কথা স্মরণ করে মার্ক জেফ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অবদানের কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সফলতা ও অর্জনের প্রশংসা করেন। তৈরি পোশাক, ওষুধ ও আইটির ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ককে আরো বিস্তৃত করার অপার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। জ্বালানিসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের  বিষয়ে তিনি তাঁর সহকর্মীদের উৎসাহিত করবে বলে তিনি কনসাল জেনারেলকে আশ্বাস প্রদান করেন। 

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স একসাথে কাজ করার প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে আলোচনার সমাপ্তি ঘটে।

শেয়ার করুন