০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:০৬:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


মুদ্রাস্ফীতির কারণে কোভিডের সময় নেয়া ঋণ পরিশোধ নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নাভিশ্বাস
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১২-২০২২
মুদ্রাস্ফীতির কারণে কোভিডের সময় নেয়া ঋণ পরিশোধ নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নাভিশ্বাস


কোভিডের সময় যে ঋণ দেয়া হয়েছিল ক্ষুদ্রশিল্প ও ব্যবসা খাতে, তা পরিশোধের সময় এলেও ঋণগ্রহীতারা তা পরিশোধ করতে পারবে কি-না প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যারা ঋণ নিয়েছিল তারা এখনো তাদের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। যে হারে ঋণের টাকা উঠে আসবে ভেবেছিল তা আসেনি। 

অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা অতিমারীর ঋণ নিয়েছিল, তাদের এখন পরিশোধের সময়। অনেকে মনে করে যে ঋণ পরিশোধের সময় অত্যন্ত খারাপ। 

অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ডিসেম্বর মাস থেকেই তাদের ঋণ কিস্তি দেয়া শুরু করতে হয়েছে। অথচ ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানসমূহ এ ঋণের টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে। 

দুর্যোগের জন্য ঋণ দেয়া হয়েছিল অত্যন্ত খারাপ সময়ে ব্যবসা চালু করতে। কিন্তু এখন ব্যবসার গতি অত্যন্ত শ্লথ যা অতিমারীর সময় থেকে কম নয়। কাজেই এই সময়টা ঋণ পরিশোধের জন্য যথার্থ সময় নয় বলে অনেকে মনে করেন। 

ক্ষুদ্র ব্যবসা অ্যাসোসিয়েশন (এসবিএ) ৪০ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসা ও নন-প্রোফিট সংগঠনকে প্রায় ৩৯০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। ফেডারেল পে-চেক প্রোটেকশন প্রোগ্রাম (পিপিপি)-এর মাধ্যমে দেয়া ঋণ যেমন পরিশোধ করতে না হলেও এ দুর্যোগ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

এখন কয়েকদফা পিছিয়ে দেয়ার পর এই দুর্যোগ বিল পরিশোধের সময় এসেছে। ১২ লাখ কোভিড দুর্যোগ ঋণের প্রথম কিস্তি এই ডিসেম্বর মাসেই শুরু। আরো ১০ লাখ ঋণ জানুয়ারি মাসে পরিশোধের জন্য নির্ধারিত হবে। ঋণগ্রহীতারা ৪ লাখ ২৭ হাজার ঋণ গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে শুরু করেছে। 

ঋণসমূহের মধ্যে যা ৩০ বছর মেয়াদি ও ৩.৭৫ শতাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসা ও ২.৭৫ শতাংশ নন-প্রোফিটের জন্য সুদের হার নির্ধারিত তা সে সময় বিভিন্ন উদ্যোক্তা স্বাগত জানিয়েছিল। অনেকে সস্তা সুদে অর্থ নিয়ে নতুন করে ব্যবসাও করেছে। সবকিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু এখন মুদ্রাস্ফীতি, সাপ্লাই চেইন চ্যালেঞ্জ এবং টাইট লেবার মার্কেট আশানুরূপ ঋণ পরিশোধের পরিবেশ সৃষ্টি করেনি। অনেকের ব্যবসার উন্নয়ন ঘটলেও তা অতিমারীর পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়নি। অনেকে ঋণ নিয়ে ভাড়া দিয়েছে আর আজ অনেকে সেই ঋণের ভারে ব্যবসা চালু রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।

শেয়ার করুন