০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০:১৩:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


অন্তর্র্বতীকালীন জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল নতুন দৃষ্টান্ত
প্রতিহিংসার রাজনীতি উস্কে দিচ্ছে সরকার - আ স ম রব
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০১-২০২৩
প্রতিহিংসার রাজনীতি উস্কে দিচ্ছে সরকার -  আ স ম রব


নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করার ঘটনাকে প্রতিহিংসার এক নতুন দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে দ্রুত মুক্তির দাবিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন গণমাধ্যমে নিন্মোক্ত বিবৃতি প্রদান করেন।


সরকার ক্ষমতার দাম্ভিকতায় গোপন অভিসন্ধি পূরণে বিরোধী দলের রাজনীতিবিদদের সাথে যে ধরনের অন্যায় আচরণ করছে, প্রতিশোধ এবং জিঘাংসাকে রাজনৈতিক পরিসরে যেভাবে বন্টন করছে তা প্রজাতন্ত্রের জন্য খুবই কলঙ্কজনক। গ্রেফতারকৃত বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের জামিন প্রাপ্তির মৌলিক অধিকারকে বারবার অগ্রাহ্য করে আইনের শাসন ও সংবিধানকে অসহায় করার মাধ্যমে সরকার নিজেকে চরম কর্তৃত্ববাদী করে তুলছে।

রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা না করে, রাষ্ট্রীয় বল প্রয়োগ করা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বেরই বহিঃপ্রকাশ মাত্র।


ক্ষমতা ধরে রাখতে বিরোধীদের হত্যা করা, ষড়যন্ত্র করে গায়েবী মামলায় আসামি করা, পুলিশের উপর বর্বরোচিত হামলা, উস্কানি দাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা এবং, দীর্ঘদিন অন্তরীণরাখাসহ মধ্যযুগীয় নিপীড়ন-নির্যাতনের মাধ্যমে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রনে রাখার সরকারের ঘৃণ্য অপসংস্কৃতি দেশে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।  


অতীতের দলীয় স্বৈরাচার, সামরিক আইন জারির বিভীষিকা, কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সায় গণতন্ত্র এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হননের অনিবার্য পরিণতিতে শাসকদের রক্তাক্ত পতন থেকে কোন শাসক শিক্ষা লাভ করছে না।


এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করে গণশাসনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্রবিনির্মাণ করার রাজনীতি হাজির করাই আমাদের সকলের রাজনৈতিক কর্তব্য।


শেয়ার করুন