০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:০৮:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


মনোবলকে চাঙ্গা রাখতে আ.লীগ নেতাদের জ্বালাময়ী বক্তৃতা..
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৯-২০২৩
মনোবলকে চাঙ্গা রাখতে আ.লীগ নেতাদের জ্বালাময়ী বক্তৃতা..


‘ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ শুরু যুক্তরাষ্ট্রের’ কিংবা ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে উত্থাপিত প্রস্তাব পাশ’-এসব বিষয়গুলি নিয়ে মুখে কিছু না বললেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড। সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের মনোবলকে চাঙ্গা রাখতেই আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড এখন জ্বালাময়ী বক্তব্য দিচ্ছে। তবে এর পাশাপাশি মাঠে বিএনপি’কে মোকাবেলায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে কোথাও নরম আবার জায়গা বুঝে শক্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ। এমন খবর মিলেছে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে কথা বলে।


কি কি ঘটে গেলো..

২০২১ সালের শেষের দিকে  মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলে চরম উত্তেজনা। টানা দু’বছর অনেক বাগাড়ম্ভর করেছে এনিয়ে। কিন্তু কারো ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে পারেনি ক্ষমতাসীস আওয়ামী লীগ সরকার। এবছরে মাত্র চারমাস আগে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র-এমন খবর বেরিয়েছিল। ভিসা নীতি ঘোষণার চার মাসের মাথায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করার অভিযোগে মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় পড়বে সরকারি ও বিরোধী দলের নেতাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেই সঙ্গে থাকবে ভিসা নীতি আরোপ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানান দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এই মধ্যে আরেক খবর বলা হয় বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ণে বাংলাদেশের নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী না হওয়ার আশঙ্কার কথা উঠে আসায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 কে কি বলছেন.. বাংলাদেশের মানুষও স্যাংশন দিয়ে দেবে

‘ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ শুরু যুক্তরাষ্ট্রের’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরসহ এধরনের আরো সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় দলের একেবারে শীর্ষ থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দেবে। এমন হুমকি দিয়ে সরকারের শীর্ষ থেকে বলা হয়,‘যারা স্যাংশনের (নিষেধাজ্ঞা) কথা বলছে যে, নির্বাচন বানচাল করলে তারা সেটাকে স্যাংশন দেবে। আমারও কথা হলো এই বানচাল করার চেষ্টা যেন দেশের বাইরে থেকেও না হয়। দেশের বাইরে থেকেও যদি বানচালের চেষ্টা হয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষও স্যাংশন দিয়ে দেবে। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। আমেরিকাও দেখতে থাকুক। কাজেই বাইরে থেকেও যেন নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা না করা হয়।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন- বাংলাদেশ মাথা ঘামাচ্ছে না

ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ মাথা ঘামাচ্ছে না।  কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক দেশ, তেমনি আমরাও।

হালকাভাবে নিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী?

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় বিরোধী দলগুলোর নামও থাকতে পারে। নিষেধাজ্ঞায় পড়াদের সংখ্যার বিষয়ে আমাদের এমন একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। তবে এটুকু বলতে পারি সেই সংখ্যাটা খুব বড় নয়, ছোট। কারণ র‌্যাবের স্যাংশনের পর নতুন করে কোনো ঘটনা ঘটেনি, যাতে নতুন করে স্যাংশন আসতে পারে। এ ব্যাপারে আমরা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।

সালমান এফ রহমান বললেন ভালো পদক্ষেপ

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপকে ‘খুবই ভালো’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

অন্যদি দিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পর্যবেক্ষক না পাঠালেও কিছুই যায়-আসে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োাগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ইইউ যদি পর্যবেক্ষক না পাঠায়, তাহলে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘মোটেও না। নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, আপনাদের এমন বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই। পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না, সেটা তো তাদের ব্যাপার। আমার ইলেকশন আমি সংবিধান অনুযায়ী করব।

ওবায়দুল কাদের -নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো ভিসা নীতি প্রয়োগ বা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি এর আগে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতেই রাজনীতির ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফির পরেই বিএনপির ঘুম হারাম। তিনি আরও বলেন, ভিসানীতি নিয়ে বর্তমান সরকার পরোয়া করে না। শান্তিপূর্ণ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। অবাধ শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন যারা চায়, তাদের ভিসানীতি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। 

শহীদুল হক- এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না

অনদিকে ভিসানীতির কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতির ব্যাপারে বিধিনিষিধের আওতায় থাকবেন-এটা বাহিনীর জন্য কতটা এমন প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের কিছু সদস্য ভিসানীতির আওতায় রয়েছেন এমন নয়। বিরোধী রাজনৈতিক সদস্যরাও আছেন। তবে ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় কারা রয়েছেন-এই তালিকা আমরা জানি না। ফলে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। 

হাসানুল হক ইনু- বিদেশিরা গণতন্ত্র তাদের স্বার্থ নয়

জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিদেশিরা নির্বাচন বা গণতন্ত্র তাদের স্বার্থ নয়। ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে তারা তাদের পছন্দের সরকার চায়। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এদের বিশ্বাস করে না। বিদেশিরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও জামায়াতের সঙ্গে, খুনিদের সঙ্গে মিটিং করে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল- কাউকে উদ্দেশ্য করে ভিসা নীতি ঘোষণা করেনি

ভিসা নীতি আমেরিকার নিজস্ব ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ভিসা কাকে দেবে বা না দেবে সেটি একান্তই সে দেশের সিদ্ধান্ত। আমেরিকা সরকার কাউকে উদ্দেশ্য করে ভিসা নীতি ঘোষণা করেনি। তারা বলেছে, আগামী নির্বাচনে যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করবে বা নির্বাচন ভন্ডুল করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে। 

ড. আব্দুর রাজ্জাক- রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ দেশের জন্য লজ্জাজনক। এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তিনি বলেন, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। এখানে সঠিক ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য আইন রয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সব পরিবেশ আছে। এর পর আর কীভাবে পরিবেশ তৈরি করা যাবে– প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হন্তক্ষেপের শামিল।’

শেষ কথা..

প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ কি স্যাংশন দিয়ে দেবে? কাকে দেবে এমন ঢালায় কথা বলে কি ঠাট্টা মসকরা কি-না তা হয়তো সময় বলে দেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতেই রাজনীতির ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফির পরেই বিএনপির ঘুম হারাম। ভিসানীতি নিয়ে বর্তমান সরকার পরোয়া করে না- এসব বক্তব্য অসার বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে কেনো রগ রগে বক্তব্য দিচ্ছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নেতারা? তাদের বক্তব্যের সারবর্তা হলো কিছুই হচ্ছে না বা  কিছুই করা যাবে না ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। কোনো ধরনের চাপও নেই। কিন্তু গত কয়েকদিনে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে সব খবর আসছে তাতে আওয়ামী লীগের তৃণমূলেই নয় দেশের সাধারণ জনগণও উদ্বিগ্ন। কিন্তু সেক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ কেনো এতো জোড় গলায় হাক ডাক দিচ্ছে? এমন প্রশ্ন সর্বত্র। সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন একটি গণমাধ্যমে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবেই একটি চাপ। পদক্ষেপটিকে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপের অংশ হিসেবেই আমাদের দেখতে হবে। নির্বাচনপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত থাকবেন, তাঁদের সবার ওপরই চাপটা পড়বে। 

আবার সেদিনই গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে যে, বিশ্বে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়ছে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত গত ১২ মাসে অধিকাংশ দেশেই রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান দ্য আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের (এসিএলইডি)। সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২২। এটাও নি:সন্দেহে বাংলাদেশের ইমেজের ওপর আরো একটি চপোটাঘাত। অন্যদিকে একটি দৈনিক পত্রিকায় খবরে বলা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের ভেতরে ব্যাপক আলোচনা চলছে। নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনের সম্পৃক্ততা বেশি থাকায় তাদের মধ্যে এক ধরনের উৎকণ্ঠাও কাজ করছে বলে পত্রিকায় রির্পোট বের হয়। বলা হয়, শীর্ষস্থনীয় যেসব কর্মকর্তার সন্তানও পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন, যারা গ্রিনকার্ডের জন্য চেষ্টা করছেন, তাদের বিষয়টিও আলোচিত হচ্ছে অন্যদের মুখে। কিন্তু  ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা কেনো এমন উচ্চবাচ্য করছে? কেনোইবা ভিসা নীতিকে পরোয়া করে না জোর গলায় বলছে?  বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গার পাশাপাশি দলের ঐক্য ধরে রাখতেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে এমন হাক ডাক দেয়া হচ্ছে। কেননা দলটির হাই কমান্ড মনে করে, মনেবাল চাঙ্গা রেখে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই সামনের দিনেই এখন আওয়ামী লীগের কঠিন চ্যালেঞ্জ।

শেয়ার করুন