০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:৪৮:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


অর্থ সংকটের কারণে আটককৃত অভিবাসীদের ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০২-২০২৪
অর্থ সংকটের কারণে আটককৃত অভিবাসীদের ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা


ইউএস ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টকে জরুরি ভিত্তিতে কংগ্রেস তহবিল অনুমোদন না দেয়ার কারণে সীমান্তে কর্মরত ইমিগ্রেশন এজেন্সির কর্মক্ষমতা কমিয়ে আনার চিন্তা ভাবন করা হচ্ছে। যার ফলে সীমান্ত আরো অরক্ষিত হয়ে যেতে পারে, বিনা বাধায় অবৈধ অভিবাসীরা আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারে। বাজেট ঘাটতির কারণে সেই সঙ্গে আটককৃত হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ছেড়ে দেয়ার কথা বাইডেন প্রশাসন বিবেচনা করছে। বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসকে বারবার অনুরোধ করার পরও কংগ্রেস এখন পর্যন্ত বাজেট ঘাটতির বিষয়টির সমাধান করেনি। বরং তারা আস্বীকার করছেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউএস ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা দেশকে বলেছেন, পর্যাপ্ত তহবিল ছাড়া ইউএস ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট কর্মকর্তারা দীর্ঘমেয়াদী অভিবাসন কেন্দ্রে আটক ৪,০০০ থেকে ৬,০০০ অভিবাসীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। 

ইউএস ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট কর্তৃপক্ষ অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে সারা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে কাউন্টি জেল এবং ভাড়া করা জেলে আটকিয়ে রাখে। এর মধ্যে যারা অবৈধভাবে দক্ষিণ সীমান্ত অতিক্রম করে বা বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হয় তাদের ডিপোর্টেশনের জন্য ইউএস ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিতে স্থানান্তরিত করা হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারির মাস পর্যন্ত আইসিই ৩৮,০০০ এরও বেশি অভিবাসীকে আটক করেছে, যাদের বেশিরভাগই সাম্প্রতি ইউএস-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করেছে।

বাইডেন প্রশাসন গত বছরের শেষের দিকে কংগ্রেসকে জরুরি তহবিলের জন্য অনুরোধ করে। ডিপোর্টেশন, গ্রেপ্তার, ডিটেনশন সেন্টারে আটক এবং অভিবাসী ট্র্যাকিং প্রযুক্তিসহ আইসিই অপারেশনের জন্য বিলিয়ন ডলারের অনুরোধ করেছিলেন। হোয়াইট হাউস, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টির সিনেটরদের একটি ছোট গ্রুপ দ্বিদলীয় সীমান্ত নীতি চুক্তি তৈরি করেছিলেন। সেই চুক্তি সিনেটে পাস হলেও হাউসে পাশ হয়নি।

গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন আইসিই প্রধান প্যাট্রিক লেচলিটনার বলেন, যদি আমরা আরও সম্পূরক তহবিল না পাই তাহলে আমাদের আগামীতে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এক বিবৃতিতে ডিএইচএসের মুখপাত্র ইরিন হিটার সতর্ক করেছেন যে, অর্থ না পেলে আইসিই অপারেশন হ্রাস করা সীমান্ত নিরাপত্তা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং জন নিরাপত্তার উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করবে। হিটার বলেন, ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রয়োজনে তার বাজেটের পুনঃপ্রোগ্রাম করবে বা অন্যান্য জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে। ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি আইসিই তত্ত্বাবধান করে, এখনও বাজেট ঘাটতি মেটাতে ইউএস কোস্টগার্ডের মতো অন্যান্য উপ-এজেন্সি থেকে অর্থ সরিয়ে নেয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, তার ডিপার্টমেন্ট বারবার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে ডিএইচএসের গুরুত্বপূর্ণ মিশনের জন্য অতিরিক্ত সংস্থানগুলির জন্য অনুরোধ করেছে এবং কংগ্রেস দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাদের অর্থায়ন করেছে। সম্প্রতি কংগ্রেস দ্বিদলীয় জাতীয় নিরাপত্তা বিলটি প্রত্যাখ্যান করেছে যা ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-এর বর্তমান অপসারণ কার্যক্রমকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। বাজেট ঘাটতি কর্মীদের উপর আরও চাপ সৃষ্টি হবে এবং অরক্ষিত হবে। ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি গত বছরের শেষের দিকে আইসিই, ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন এবং ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস এর জন্য এক বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত তহবিল চেয়েছিল। 

ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির একটি প্রোগ্রামে ডিএইচএসের হেফাজত থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত অভিবাসীদের বাসস্থান এবং খাওয়ার জন্য বিভিন্ন শহর এবং সংস্থাগুলিকে অর্থ সরবরাহ করে। গত বছর সেই তহবিল শেষ হয়ে গেছে। অনেক রিপাবলিকান দ্বিপক্ষীয় সীমান্ত চুক্তিতে এই প্রোগ্রামের জন্য আরও অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেছে যে এটি অবৈধ অভিবাসনকে উৎসাহিত করবে।

শেয়ার করুন