১৮ জুন ২০১২, মঙ্গলবার, ০৭:৫৬:১২ অপরাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস পালন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৬-২০২৪
যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস পালন বক্তব্য রাখছেন ড. সিদ্দিকুর রহমান


গত ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলন সূচনার দিন। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্পষ্টত নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়। এর মধ্য দিয়ে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। ছয় দফাভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।

গত ৭ জুন শুক্রবার জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন পার্টি হলে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সামাদ আজাদ ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল হামিদের যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, এক মিনিট নীরবতা পালন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান তার স্বাগত বক্তব্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ছয় দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে ছয় দফাকে স্থান দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর অনুরোধ উপেক্ষা করে আয়োজকরা ছয় দফা প্রত্যাখ্যান করে। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ওই সম্মেলনে আর যোগ দেননি। তবে লাহোরে অবস্থানকালেই ছয় দফা উত্থাপন করেন তিনি।

এর মধ্য দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা আখ্যা দিয়ে সংবাদ ছাপানো হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরে ১৩ মার্চ ছয় দফা এবং দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি দলের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন। ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুরু হয় আওয়ামী লীগের আন্দোলন। হরতালও ডাকা হয়। হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহিদ হন। 

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি ডা. মাসুদুল হাসান, সামছুউদ্দীন আজাদ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দুরুদ মিয়া রলেন, তারিকুল হায়দার চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হামিদ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দীন, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক নাফিকুর রহমান তুরান, উপদফতর সম্পাদক আব্দুল মালেক, যুক্তরাষ্ট্র আওযামী লীগের কার্ষকরি সদস্য সাহানারা রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধো সিরাজ উদ্দীন সরকার, আবুল কাসেম, বদরুজ্জামান পান্না, সাইফুল আলম, এবাদুল হক, শাহ আল শফি আনসারী, মো. হারুন অর রশীদ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুদ হোসেন সিরাজী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক গনেশ কীর্তনিয়া, যুবলীগ নেতা সেবুল মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগ নেতা রায়হান মাহমুদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন