১৮ জুন ২০১২, মঙ্গলবার, ০৮:০৪:২৭ অপরাহ্ন


প্রথম ট্যাক্স ফাইল
সৌহার্দ্য সম্প্রীতিতে বিয়ানীবাজার সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৬-২০২৪
সৌহার্দ্য সম্প্রীতিতে বিয়ানীবাজার সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সমিতির সব কর্মকর্তা উপদেষ্টা ও সাবেক কর্মকর্তারা


অত্যন্ত সুন্দর পরিপাটি ব্যবস্থা, সৌহার্দ্য সম্প্রীতিতে প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন বিয়ানীবাজার সমিতির বর্তমান কার্যকরি কমিটির প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় সমিতির ভবন সমিতির নামে নিয়ে আসার জন্য তৎকালীন সভাপতি বুরহান উদ্দীন কপিল তার বক্তব্যে অবারিত সহযোগিতার কথার ভূয়সী প্রশংসা, সমিতির রর্তমান সেক্রেটারি রেজাউল আলম অপুর সাংগঠনিক দক্ষতা, আন্তরিকতার সঙ্গে সমিতির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া ও সাধারণ সভায় সম্পাদকীয় রিপোর্টের আলোচনায় সুন্দর সাবলীলভাবে উত্তর প্রদান করেন। কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান দুখু পেশাগত নিরীক্ষকের মতো পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব তুলে ধরে প্রশংসিত হন এবং সাধারণ সভায় কার্যকরি কমিটির সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান রুহুল ও কমিটির অন্য সদস্যরা আগতদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সভার সভাপতি আব্দুল মান্নানের কৃতজ্ঞতা ও সাধারণ সভায় সবাইকে সমিতির স্বার্থে নিজস্ব মতামত তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে সাধারণ সভা শুরু করার আহ্বান জানান। গত ৯ জুন ওজনপার্কের আব্দুল্লাহ ব্যাঙ্কুয়েট হলে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম অপু। মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন উপদেষ্টা গহর চৌধুরী কিনু, মোজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হারুন মিয়া, ফখরুল ইসলাম বেলাল, সাবেক সভাপতি মকবুল রহিম চুনই, বুরহান উদ্দীন কপিল, মাসুদুল হক ছানু।

সাধারণ সভায় সম্পাদকীয় রিপোর্ট ও কোষাধ্যক্ষের রিপোর্ট পেশ করেন যথাক্রমে-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম অপু ও কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান দুখু। সম্পাদকীয় রিপোর্টে বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে বিয়ানীবাজার সমিতি প্রথম ৫০১ সিভুক্ত ও প্রথম ২০২৩ আর্থিক বছরের ট্যাক্স ফাইল করার কথা উল্লেখ করা হয়। সম্পাদকীয় রিপোর্টের মধ্যে প্রবাসী বিয়ানীবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ৫০১ সি ও প্রথম ট্যাক্স ফাইলের বিষয়টি উল্লেখ করার সঙ্গে সঙ্গে হল ভর্তি সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং বর্তমান কমিটির সঙ্গে বিগত কমিটিকে অভিনন্দন জানান। সম্পাদকীয় রিপোর্টে উল্লেখ করা সমিতির বর্তমান ২০০ কবরের সঙ্গে আরো ১০০ কবর ক্রয়ের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। এছাড়া আগামী ৬ মাসের কার্যক্রমে বার্ষিক বনভোজন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, ফুটবল টুর্নামেন্ট, ব্যাক টু স্কুল প্রোগ্রাম, সাধারণ সভা, বিজয় দিবস, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সমিতির ক্যালেন্ডার (২০২৫), অফিস খরচ বাজেট ২৫০০০ (পঁচিশ হাজার ডলার ) প্রস্তাবে ৬০ পার্সেন্ট সমিতির তহবিল থেকে বাকি টাকা নিজেদের মধ্যে থেকে অথবা বিত্তশালী, স্পন্সর করা থেকে সংগৃহীত হবে। সম্পাদকীয় রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিয়ানীবাজার সমিতির ঘর ব্যক্তিমালিকানা থেকে সমিতির নামে আনার ব্যাপারে উল্লেখ হয় সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ যার নামে ঘর। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে। দেশ থেকে ফেরার পর দ্রুত আলোচনা করে ঘরের মালিকানার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। সমিতির নামে ঘর আনার জন্য সব দাফতরিক কাজ সম্পন্ন বলে সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। সম্পাদকীয় ও কোষাধ্যক্ষের রিপোর্টের ওপর আলোকপাত করেন আজীজুর রহমান পাখি, মকবুল রহিম চুনই, নজমুল হক মাহবুব, শায়কুল ইসলাম, মিছবাহ আহমদ, জামাল হোসেন, কাওছার আহমদ, নুরুল ইসলাম খান, আক্তার হোসেন, মুক্তা আহমদ, মোস্তফা বাবুল, মোহাম্মদ হাছান প্রমুখ। সভার সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ ও ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন