১৮ জুন ২০১২, মঙ্গলবার, ০৭:৫৬:০৮ অপরাহ্ন


সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৬-২০২৪
সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত অনুষ্ঠানে অতিথি ও নেতৃবৃন্দ


সিরাজুল আলম খান স্মৃতি পরিষদ গত ৯ জুন রোববার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাজুল আলম খান স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক ডক্টর মহসিন পাটোয়ারী এবং সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব শাহাব উদ্দীন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলা সিডিপ্যাপ ও আলগ্রা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট ড. আবু জাফর মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. মুজিবুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক সাইদ তারেক, সিরাজুল আলম খানের সতীর্থ মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক বকুল, সিনিয়র সাংবাদিক মঈনুদ্দীন নাসের, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, প্রফেসর ইমাম চৌধুরী, লিগ্যাল কনসালটেন্ট মুজিবুর রহমান, মিথুন আহমেদ, এনামুল হায়দার, মোহাম্মদ জামান তপন, হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, আবুল কালাম আযাদ, মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, ইয়ামীন রশীদ, আলমগীর হোসেন, মন্টু চৌধুরী, মোহাম্মদ হেলিম রশিদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সিরাজুল আলম খান ছিলেন স্বাধীনতার সফল রূপকার, নিউক্লিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা। যার নেতৃত্বে ৬২ শিক্ষা আন্দোলন থেকে শুরু কওে ৬ দফা এবং ১১ দফার আন্দোলকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিব বাহিনী গঠন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে যার ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। তারা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্নই ওঠেনি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মুক্তিযোদ্ধের স্বাদ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও একটি বিপ্লবী সরকার গঠন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার মতবিরোধ দেখা দিলে ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর তার নেতৃত্বে জাসদের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় নানা বিতর্ক। কিন্তু সিরাজুল আলম খানের দেশপ্রেম, জাতির প্রতি আজীবন তার ত্যাগের ব্যাপারে কোন মানুষের প্রশ্ন বা বিতর্ক থাকার কথা নয়। বক্তারা আরো বলেন, সিরাজুল আলম খান সারা জীবন ত্যাগের রাজনীতি করেছেন, ভোগের রাজনীতি করেননি। তার চিন্তা ধারা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বইপুস্তক পঠিত হয়। আমাদের দেশেও তার প্রকাশনা নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করা উচিত। কারণ সিরাজুল আলম খানদের জন্যই বিশ্বের বুকে একটি দেশ ও মানচিত্র পেয়েছে। তারা বলেন, দল ও মতের ঊর্ধ্বে উঠে মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদানকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা উচিত। আমরা যদি ত্যাগী মানুষ ও বীরের মর্যাদা না দেই তবে ভালো মানুষ সৃষ্টি হবে না। বঙ্গবন্ধু মূল নেতা ছিলেন। কিন্তু জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী, সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমদ, তোফায়েল আহমেদ চার খলিফা (ছাত্রনেতা) তাদের অবদান অস্বীকার করলে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাসকেই অস্বীকার করা হবে। জাতীর স্বার্থে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন। তারাই নির্ধারণ করবে সঠিক ইতিহাস। 

তারা বলেন, দুর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়তে হবে। যা ছিল স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। সেই লক্ষ্যে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশপ্রেমিক সব বাংলাদেশির ঐক্যবদ্ধ হওয়া একান্ত জরুরি। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন