০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার, ৬:০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


স্মরণকালের প্রলয়ঙ্করী বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
খন্দকার সালেক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৮-২০২৪
স্মরণকালের প্রলয়ঙ্করী বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ বন্যার চিত্র


ভারত থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে স্মরণকালের প্রলয়ঙ্করী বন্যায় ভাসছে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ-চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আমার চাকরি জীবনের ৭৫ শতাংশ সময় কাটিয়েছি এ অঞ্চলের আনাচ-কানাচে গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ অবকাঠামো নির্মাণকাজে। নদীগুলোর সঙ্গেও নিবিড়ভাবে পরিচিত। প্রবাসে থাকলেও উপলব্ধি করতে পারছি কতটা অসহায় হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সাধারণ জনগণ। ছাত্র-জনতার গণবিস্ফোরণে সরকারের পতন হওয়ার পর স্থানীয় সরকার প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। জনগণ বিপুলভাবে বিপর্যস্ত মানুষের সহায়তায় সাড়া দিলেও সমন্বয় করে কার্যক্রম চালানোর নানা চ্যালেঞ্জ আছে। আশা করি সরকার, সেনাবাহিনী ও জনগণের যৌথ উদ্যোগে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে। আমি প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে আবেদন করছি, যে কোনোভাবে দুর্গত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার।

ভৌগোলিকভাবে আমরা ৩.৭৫ দিক থেকে ভারতবেষ্টিত। ৫৩ অভিন্ন নদনদী ভারত, নেপাল থেকে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। সীমান্তের ওপারে পাহাড়, বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত সমতল নিচু এলাকা। উঁচু এলাকায় প্রবল বর্ষণ হলেও অতিরিক্ত পানি বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টি করে। আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনেই ভারত অধিকাংশ নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফাভাবে পানি অপসারণ করছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে নদীগুলো পানিহীন হয়ে বিশাল অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বাঁধগুলো খুলে দেওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ। ফারাক্কায় পদ্মা ও তিস্তার বাঁধ প্রধান সমস্যা হলেও অন্য কয়েকটি সীমান্ত নদীর ক্ষেত্রেও সমস্যা একই রকম। যৌথ নদী কমিশন নামের একটি সংগঠন কার্যকর ভূমিকা রাখছে না।

 গত যুগে ভারত বাংলাদেশের কিছু সমস্যার সমাধান হলেও বাংলাদেশের বাঁচা-মরার সমস্যার সমাধান হয়নি। ন্যায্যতার ভিত্তিতে পানি বণ্টন নীতি নিয়ে কাজ স্থবির হয়ে আছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এ সমস্যার সমাধান হওয়ার সুযোগ সুদূর পরাহত। বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান। এখনই জল বণ্টন সমস্যা জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে নিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে তিস্তা ব্যারাজ এবং অন্যান্য নদী সুরক্ষা প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হাতে নিতে হবে।

আমি বাংলাদেশের বিপর্যস্ত জনগণের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি। সম্ভাব্য সবকিছু করার অঙ্গীকার পুনরায় ব্যক্ত করছি।

শেয়ার করুন