গত ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিটের সময় কলম্বাস অ্যাভিনিউ এবং ৬০তম স্ট্রিটের উত্তর-পশ্চিম কোনায় ফোর্ডহাম ইউনিভার্সিটি ম্যানহাটন ক্যাম্পাসের বাইরে হালাল ফুড কার্টে কাজ করার সময় আয়মান মোস্তফা নামে একজন ফুড কার্ট মালিক ছুরিকাঘাতের শিকার হন।
সেই রাত আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোর্ডহামের লিংকন সেন্টার ক্যাম্পাসের বাইরে হালাল কার্টে কর্মরত আয়মান মোস্তাফাকে ছুরিকাঘাত করেন। আক্রমণকারী হালাল কার্টের পেছন দিক থেকে এসে বিদ্বেষমূলক গালাগালি করে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেন। মোস্তাফা তাকে ঢুকতে নিষেধ করেন, কিন্তু আক্রমণকারী একটি ছুরি বের করেন। যখন আক্রমণকারী কার্টে ঢোকার চেষ্টা করেন, তখন তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় আক্রমণকারী মোস্তাফার কনুইয়ের ওপর ছুরিকাঘাত করেন এবং তারপর পালিয়ে যান। মোস্তাফা পুলিশ রিপোর্ট দায়ের করেন এবং তার আঘাতের জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
মোস্তাফা বলেন, সে কার্টে ঢোকার চেষ্টা করেছিল, আমি তাকে বলেছিলাম ‘দয়া করে পিছিয়ে যান, দয়া করে ঢুকবেন না’। সে তার পকেট থেকে ছুরি বের করে আমাকে ছুরিকাঘাত করে। সে আমার পেটে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমি তাকে ধাক্কা দিলে, সে আমার হাতে ছুরি মারে। মোস্তাফা বলেন, আক্রমণকারী সম্ভবত চুরি করার চেষ্টা করছিল, তবে তিনি দাবি করেন যে আক্রমণকারী কোনো খাবারের অর্ডার দেয়নি।
ঘটনার পর মোস্তাফা পুলিশকে ফোন করেন। ফোর্ডহাম পাবলিক সেফটির তথ্য অনুযায়ী, আক্রমণকারী দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যায়, এর পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে দুই এনওয়াইপিডি অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে মোস্তাফা পুলিশ রিপোর্ট দায়ের করেন এবং একটি অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
এই ঘটনার ফলে হালাল কার্ট কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। হিউমান রাইটস অ্যাটর্নি আফাফ নাসের বলেন, আমাদের রাস্তাগুলো সবার জন্য একটি নিরাপদ স্থান হতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে শ্রমশীল বিক্রেতা আয়মান মোস্তাফাও। আমরা এই ভয়াবহ আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি এবং আইন প্রয়োগকারীদের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা আশা করি এই বিষয়টি যথাযোগ্য গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে এবং অপরাধী দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।