০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৪:১৭:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


সোহেল তাজকে ড. ইউনূসের ফোন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১১-২০২৪
সোহেল তাজকে ড. ইউনূসের ফোন মিডিয়ার সামনে কথা বলছেন সোহেল তাজ


সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজকে ফোন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে সোহেল তাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেন-

৩ দফা দাবি আপডেট

‘আপনারা সবাই শুনে আনন্দিত হবেন যে, আজকে সকালে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস আমাকে ফোন করেছিলেন এবং ওনার সঙ্গে আমার বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় ও আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদ এবং জাতীয় চার নেতার অবদানের কথা তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি পদক্ষেপ নেবেন যাতে নতুন প্রজন্ম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানতে পারে। 

আমার দাবি মহান স্বাধীনতা-সংগ্রামের যারা অবদান রেখেছে সবার অবদানকে পূর্ণাঙ্গভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জাতীয় চার নেতাসহ জিয়াউর রহমান, ওসমানী, মুক্তিযুদ্ধের ১১ জন সেক্টর কমান্ডারসহ সব বীর, হিরো, নায়ক, মহানায়কদের অবদান তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা অত্যাবশ্যক। তারা দেশের সম্পদ, তাদের সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। তাদের নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো রাজনীতি যেন না হয়।

বিঃ দ্রঃ

‘গতকাল (৩ নভেম্বর) আমাদের সঙ্গে দেখা করতে না পারায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন, এইটাই হলো একজন বড় মনের ও মানের মানুষের পরিচয়-ভদ্রতা ও আমি ওনার এবং এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করছি, আপনাদের ওপর বাংলাদেশের মানুষ অনেক আশা করে এই গুরু দায়িত্ব দিয়েছে একটি নতুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে, আপনাদের সফল হতে হবেই।’ 

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে তিন দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করতে গিয়েছিলেন সোহেল তাজ। 

সেখানে তিনি দাবি করেন, সেটা নিম্নে তুলে ধরা হলো- 

‘৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস ও দেখতে দেখতে ৪৯ বছর পার হয়ে গেল, অথচ এখন পর্যন্ত জাতির এই চার বীর, যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম, আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নাই, এটা মেনে নেওয়া যায় না !

আমার দাবি:

১. যেহেতু ১০ এপ্রিল ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্মলাভ করে তাই এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে ও

২. ৩ নভেম্বর' জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।

৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

আমি মনে করি, আমার এই তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের এবং বৈষম্যবিরোধী সকলের প্রাণের দাবিও।’ 

শেয়ার করুন