৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:৩৯:২৮ অপরাহ্ন


প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তাজুল ইসলাম
বসন্ত বিপ্লবের পর বসন্ত দেখতে পাবেন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১২-২০২৪
বসন্ত বিপ্লবের পর বসন্ত দেখতে পাবেন বক্তব্য রাখছেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম


বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার মাধ্যমে বসন্ত বিপ্লব হয়েছে। আপনারা আমাদের বা এই সরকারকে সহযোগিতা করুন, আপনাদের কথা দিচ্ছি আপনারা বসন্ত বিপ্লবের বসন্ত দেখতে পাবেন। সেই সঙ্গে অপরাধীদের শাস্তি। গত ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের মামাস পার্টি হলে প্রবাসী বাংলাদেশি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন কুইন্স ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিপার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, লেখিকা মিনা ফারহা, কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী কাজী ফৌজিয়া, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ডা. আবু হক ও জ্যাকব মিল্টন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, এখন সময়ের সম্পাদক কাজী শামসুল হক, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর এম আলম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার মাধ্যমে বসন্ত বিপ্লব হয়েছে। আপনারা আমাদের বা এই সরকারকে সহযোগিতা করুন, আপনাদের কথা দিচ্ছি আপনারা বসন্ত বিপ্লবের বসন্ত দেখতে পাবেন। তিনি আরো বলেন, পালিয়ে যাওয়া সরকারের কারণে আমাকেও আমার অফিস থেকে গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল, আমার ওপর নির্যাতনেরও চেষ্টা করা হয়েছিল। শুধু আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য। বিগত সরকার গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে মানুষ হত্যা, মানুষের ওপর যে অত্যাচার, নির্যাতন করেছে তার বিচার আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই মামলা চলবে এবং সবার শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিচার করা হবে। অভিযুক্তরা যে কোনো আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন। তিনি বলেন, আমার বিচার হবে স্বচ্ছ। তিনি আবারও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করেন এবং ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।

অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রত্যাশা থাকবে কোনো নিরপরাধী যেন শাস্তি না পায়।

অনুষ্ঠানে কাজী জহিরুল ইসলাম ও মুক্তি জহির সম্পাদিত ‘থার্টি সিক্স ডেজ অব জুলাই’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এই গ্রন্থে জুলাই বিপ্লবের ওপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ, ফিচার প্রকাশ হয়েছে সেগুলো সন্নিবেশিত হয়েছে। তাজুল ইসলাম বলেন, এই গ্রন্থটি আমাদের কাজে লাগবে।

কাজী জহিরুল ইসলাম রুয়ান্ডার দৃষ্টান্ত দিয়ে বাংলাদেশের সর্ব ধর্ম ও সর্ব মতের মানুষের ঐক্য গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি সমকালে একটি কলাম লিখেছি, সেখানে জাতীয় ঐক্যের রোডম্যাপ ব্যাখ্যা করেছি। ঐক্যের মূল স্লোগান হবে, সব মতের সমাবেশ, চেতনায় বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন