০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:৪৫:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


সকল বাহিনীকে উদ্ধারকাজে নিযুক্ত করার সুপারিশ গণসংহতি আন্দোলনের
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৬-২০২২
সকল বাহিনীকে উদ্ধারকাজে নিযুক্ত করার সুপারিশ  গণসংহতি আন্দোলনের দুর্গম এলাকার লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌছে দিচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী/ছবি সংগৃহীত


বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের দাবি গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। তারা নৌবাহিনী, সেনাবাহিনীসহ সকলবাহিনীকে উদ্ধারকাজে নিযুক্ত করানহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন। 

আজ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এদাবি জানান।
তারা সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কুড়িগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যার্তদের উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ কার্যক্রমে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান। নৌবাহিনী, সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনীকে যুক্ত করে দেশের মানুষের এ সংকটময় সময়ে জরুরি উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকেও এই বানভাসী মানুষের পাশে সর্বাত্মকভাবে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারকে জরুরিভিত্তিতে  বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজে নৌকাসহ প্রয়োজনীয় নৌযান, হেলিকপ্টার ব্যবহারসহ  বন্যার্তদের উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য জরুরি বাজেট বরাদ্দ, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রসহ মেডিকেল টিম প্রেরণ করা এবং  রাজনৈতিক-সামাজিক-গণসংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠসমূহের উদ্যোগে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

এর পাশাপাশি তারা বলেন, দুর্নীতি, সরকারের অপরিকল্পিত উন্নয়ননীতি ও প্রকল্পের কারণে একদিকে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে অন্যদিকে একই বাঁধ প্রতিবছর ভাঙছে। অভিন্ন নদীসমূহে বাঁধ দেয়া, পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ার কারণে নদীগুলোর নাব্যতা ধ্বংস হয়েছে। নানান প্রকল্প ও দখলের কারণে জলাধার ভরাট করায় বর্ষাকালে বৃষ্টি পানি ধারণের জন্য জায়গার অভাব।

ফলে প্রতিবছর বন্যায় জলাবদ্ধতা বাড়ছে। নষ্ট হচ্ছে কৃষি-ফসল, মরছে মানুষ, গবাদি পশু, ধ্বংস হচ্ছে বাস্তুসংস্থানসহ জীব ও উদ্ভিদ জগতের বহু প্রাণ। প্রতিবছর এই ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। প্রকৃতিবিরোধী প্রকল্প ও জনবিরোধী নীতির কারণেই দুর্যোগ বাড়ছে। সুতরাং এসবের সম্পূর্ণ দায় সরকারের।নেতৃবৃন্দ সারাদেশে গণসংহতি আন্দোলনের সকল নেতাকর্মী-সদস্যদেরকে বানভাসী মানুষের সহযোগিতায় বিশেষ তৎপরতা ও উদ্যোগী ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন