১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ০৭:২২:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘সহিংসতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার একমাত্র উত্তর ভালোবাসা’ বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে- ড. ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ৩-দিনব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব’ সুন্দরবন দিবসের বিষয়ে তরুণ প্রজন্ম কিছুই জানে না! ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন দুবাই পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে- ড. ইউনূস মানবাধিকার লঙ্ঘনে শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত- ভলকার টার্ক হজযাত্রীদের সঙ্গে শিশুদের নিতে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞা


বাংলাদেশ সোসাইটির যৌথসভা
ব্যাংক লেনদেনে গরমিলের অভিযোগ, অস্বীকার সাবেক কমিটির
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০১-২০২৫
ব্যাংক লেনদেনে গরমিলের অভিযোগ, অস্বীকার সাবেক কমিটির বিশেষ দোয়া মাহফিল


বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি কমিটি ও বোর্ড অব ট্রাস্টির যৌথ সভা গত ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় সভায় অন‍্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টির অন্যতম সদস্য মো. আক্তার হোসেন, আজিমুর রহমান বোরহান, মো. এমদাদুল হক কামাল, আব্দুল হাসিম হাসনু, ওয়াসি চৌধুরী, মো. শাহজাহান সিরাজী ও মো. আতোয়ারুল আলম এবং কার্যকরি কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডিউক খান, জনসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জামিল আনসারী, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক আশ্রাব আলী খান লিটন, স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান (জিলানী), কার্যকরি সদস্য জাহাঙ্গীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মোহাম্মদ সিদ্দিক পাটোয়ারী, মুনসুর আহমদ ও হাছান খান।

সভা শুরু হয় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে। তেলাওয়াত করেন সমাজকল্যাণ সম্পাদক জামিল আনসারী। এ সময় সোসাইটির প্রয়াত সব কর্মকর্তা ও প্রয়াত প্রবাসীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।

যৌথ সভার শুরুতেই কার্যকরি কমিটির উপস্থিত কর্মকর্তাদের বোর্ড অব ট্রাস্টির উপস্থিত সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। তারপর উপস্থিত বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যদের কার্যকরি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সংগঠনের সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। এ সময় একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হন এবং সবাই সবার সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কুশল বিনিময় করেন।

পরিচয় পর্ব শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। এ সময় তিনি বলেন, আজকের এই যৌথসভার মূল উদ্দেশ্য হলো নবনির্বাচিত কার্যকরি পরিষদের সঙ্গে বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। তিনি আরো বলেন, আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি অল্প দিন হলো। বিদায়ী কমিটির কাছ থেকে কি পেলাম এবং বর্তমান পরিস্থিতি কি এর সবকিছু বোর্ড অব ট্রাস্টিকে অবহিত করা।

সভাপতির বক্তব্যের পর পর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান ছাড়াও কার্যকরি পরিষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন বিদায়ী কমিটির (২০২৩-২০২৪) নানা কর্মকাণ্ডে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নানা গরমিল পাওয়া গেছে। বিশেষ করে বিদায় কমিটির কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণের সময় অনেক কিছু সঠিকভাবে বুঝে পাননি বলে তারা সবাইকে অবহিত করেন। একই সঙ্গে নানা অসংগতির কথাও জানান উপস্থিত সবাইকে। কবর এবং ব্যাংক খাতে লেনদনে অনেক গরমিল রয়েছে বলেও সভাকে অবহিত করেন তারা। এ সময় উল্লেখ করেন গত ১৬ ডিসেম্বর নবনির্বাচিত কার্যকরি পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ নওশাদ হোসেন তার দেওয়া বক্তব্যে সবাইকে অবহিত করেন ৩ লাখ ৮৪ হাজার ডলার সংগঠনের ফান্ডে রেখে যাচ্ছেন। তবে নতুন কোষাধ্যক্ষের কাছে ব্যাংক ট্রান্সফার ও হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার সময় টাকার পরিমাণে ব্যাপক গরমিল পাওয়া যায়। বিশেষ করে গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে বিদায়ী কমিটির কর্মকর্তারা অভিষেকের দিন ১৬ ডিসেম্বর ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার ব্যয় করে ৩৬০টি কবর কেনেন, যা এখন পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী নয়।

এ সময় তারা বলেন, সোসাইটির বিগত দিনের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। বর্তমান কমিটি যে গরমিল পেয়েছে তা তার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হলে বিদায় কমিটি কাছ থেকে জানতে হবে।

পরবর্তীতে বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যরা এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য ও মতামত তুলে ধরেন। এ সময় তারা বলেন, সোসাইটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বড় ধরনের কোন অর্থ খরচ করতে হলে অবশ্যই বোর্ড অব ট্রাস্টির মতামত এবং অনুমতি নিতে হয়। কবর ক্রয়ের বিষয়ে সে ধরনের কোনো কিছুই বিগত কমিটি করেনি। তারা বলেন, সোসাইটিকে জবাবদিহিতামূলক সংগঠন করতে হলে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

পরবর্তীতে সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়, যে কমিটি আগামী ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে বিদায়ী কমিটির কাছ থেকে এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানতে চাইবে একই সঙ্গে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে। কমিটির সদস্যরা হলেন বোর্ড অব ট্রাস্টির অন্যতম সদস্য মো. আক্তার হোসেন ও আজিমুর রহমান বোরহান এবং কার্যকরি কমিটির কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন দেওয়ান, আবুল কালাম ভুঁইয়া, মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া রুমি, রিজু মোহাম্মদ এবং পদাধিকার বলে সংগঠনের সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এ কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন।

এ ব্যাপারে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী বলেন, আমরা কোন অমিল বা গরমিল করিনি। সব কিছুর স্বচ্ছতা রয়েছে। আমরা সব সময় সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ করেছি এবং ৩৬০টি কবরও ক্রয় করেছি যৌথ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। তারপরেও তাদের যদি কোনো জিজ্ঞাসা থাকে, তাহলে আমরা তাদের জানাবো। তিনি বলেন, এই অভিযোগগুলো স্ট্যান্ডবাজি ছাড়া অন্য কিছু নয়। তাদের সব কিছুই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে এটি সৌহার্দ্য সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না।

শেয়ার করুন