২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার এদেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন আমরা হতে দিব না- আখতার হোসেন সাংবাদিকতা ব্যবস্থাকে সাংবাদিকবান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে- মাহফুজ আলম আমাদের যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে- তারেক রহমান প্যারিসে বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে পুরস্কার বিতরণ সংস্কার ও নির্বাচনকে যেভাবে মুখোমুখি করা হচ্ছে তা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক- তারেক রহমান আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই- প্রধান উপদেষ্টা আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবীতে মধ্যরাতে মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইলের কারণে ৫৫ হাজার মৃত্যু ট্রাম্পকে থামাতে আদালতকে ভূমিকা রাখতে হবে


তিন দিনব্যাপী ঊনবাঙাল বইমেলা ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০২-২০২৫
তিন দিনব্যাপী ঊনবাঙাল বইমেলা ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে বক্তব্য রাখছেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম


আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঊনবাঙালের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী বই মেলা শুরু হচ্ছে। এই প্রথমবারের মত বই মেলায় কোন প্রকাশকের স্টল থাকবে না, মেলার স্টল থাকবে কবি ও লেখকদের হাতে। প্রথমবারের মত এই মেলায় বেশ কিছু বই’র স্টল থাকবে। তবে আগামীতে আরো বৃহৎ আকারে এই মেলার আয়োজন করা হবে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। বই মেলার আহবায়ক ফখরুল আলমের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব আহসান হাবিব এবং লেখক রওশন হক। আরো উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মাকসুদুল ইসলাম টুটুল, ফজলুর রহমান, কাজী আজহারুল হক মিলন, আবু নাসের, কাজী ফৌজিয়া, শামীম।

লিখিত বক্তব্যে কবি কাজী জহিরুল ইসলাম বলেন, শুদ্ধ শিল্পের নিবিড় চর্চা- এই স্লোগান সামনে রেখে গত এক দশকের অধিক সময় ধরে নিউইয়র্কে শিল্প-সাহিত্যের চর্চা করছে ঊনবাঙাল। এবার ঊনবাঙাল উদ্যোগ নিয়েছে অমর একুশের চেতনাকে ধারণ করে ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ দিনব্যাপী একটি বইমেলা আয়োজনের। এই লক্ষ্যে ফখরুল আলমকে আহ্বায়ক এবং আহসান হাবিবকে সদস্য সচিব করে ৮৩ সদস্যের একটি মেলা উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৩ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটিও করা হয়েছে যার সভাপতি এবং বইমেলার উদ্বোধক বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক মনজুর আহমদ। বইমেলার উদ্বোধন করা হবে ২১ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টায়, এর আগে সাড়ে চারটায় র‍্যালি হবে ১৬৮ স্ট্রিট জ্যামাইকে থেকে মেলার ভেন্যু পর্যন্ত। ২২ এবং ২৩ তারিখ সকাল ১১ টায় মেলা শুরু হবে, চলবে প্রতিদিন রাত দশটা পর্যন্ত। পুরো তিনদিনই মঞ্চে কবিতা পাঠ, বই নিয়ে আলোচনা, পুঁথিপাঠ, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, দেশের গান, শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন আয়োজন, চিরায়ত বাংলা গান ইত্যাদি চলবে। তিনি আরো বলেন, এই মেলার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্টল নেবেন লেখকেরা, প্রকাশক বা বই বিক্রেতা ব্যবসায়ীরা নয়। ফলে লেখকের সঙ্গে পাঠকের একটা সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে। তবে স্টল যারা নেবেন তারা ছাড়াও যে কোনো লেখকের বই স্টলে রাখা যাবে। 

তিনি বলেন, ঊনবাঙাল আয়োজিত একুশে’র বইমেলার লক্ষ্য হবে নিউইয়র্কের সর্বস্তরের বাঙালি বইপ্রেমী, সংস্কৃতি প্রেমী মানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজনটি করার কারণে বড়ো একটি জায়গা পাওয়া যায়নি। জ্যামাইকার প্রাইভেট স্কুল ইলহাম একাডেমির নির্বাহী প্রধান মো: শহীদুল্লাহ তাদের স্কুলটি মেলার জন্য দিয়েছেন। ঊনবাঙাল ইলহাম একাডেমির প্রতি কৃতজ্ঞ। বড় জায়গা না পেলেও আমরা নিউইয়র্কে বসবাসকারী সর্বস্তরের মানুষের বিপুল সাড়া পেয়েছি, মানুষের হৃদয়ের এক সুবিশাল প্রান্তরের খোঁজ আমরা পেয়েছি, যা আমাদের আশান্বিত করেছে, সামনের বছরগুলোতে আরো ব্যাপকভাবে এই আয়োজন আমরা করতে পারবো। দর্শনের দিক থেকে এই বইমেলা রাজনীতি ও ধর্ম নিরপেক্ষ একটি উন্মুক্ত মঞ্চ। 

তিনি বলেন, সুন্দর প্রতীমাকে অন্ধকারে বসিয়ে রাখলে যেমন কোনো লাভ হয় না তেমনি আমরা যত ভালো কাজই করি না কেন তা যদি মিডিয়ার মাধ্যমে আলোতে না আসে তাহলে আমাদের আয়োজন কিছুতেই সফল হবে না। আমরা সকলে মিলে একটি টিম হিসেবে একত্রে কাজ করতে পারলে সাফল্য আসবেই। এবারের মেলার স্লোগান হচ্ছে-পৃথিবী জুড়ে বাঙালি, বাঙালির পৃথিবী।

সংবাদ সম্মেলনে সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আমাদের সাথে কারো প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা প্রতিযোগিতা নেই। আমরা সবাইকে নিয়েই বই মেলা করতে চাই। তারা বলেন, এই মেলায় আমরা মুক্তধারাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আবার আমরাও মুক্তধারার বইমেলায় অংশগ্রহণ করবো। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে আমাদের বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা স্থানীয় কবি এবং লেখকদের গুরুত্ব দিয়েই বই মেলার আয়োজন করছি।

শেয়ার করুন