কনস্যুলেটে স্মারকলিপি প্রদান
ন্যায় ও ইনসাফের পক্ষে এক অপ্রতিরোধ্য কণ্ঠস্বর ও চব্বিশের জুলাইয়ের অন্যতম আপসহীন নায়ক ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ও তার রুহের মাগফিরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ (এইচআরডিবি) ব্যানারে ১৯ ডিসেম্বর বাদ জুমা জ্যাকসন হাইটসে মসজিদ নামিরাহ (মুনা সেন্টার) গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পওে বেলা ৩টায় নিউইয়র্ক কনস্যুলেট অফিসে এইচআরডিবি অন্যতম পরিচালক মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। নিউইয়র্কস্থ কনস্যুলেট অফিসের ফার্স্ট সেক্রেটারি কনসাল আরিফুর রহমান ও কামরুন নাহার স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এছাড়া কনস্যুলেট অফিস এইচআরডিবির নেতৃবৃন্দের দাবিগুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন। এ সময়ে এইচআরডিবি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নঈম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন আহমেদ, হামিমুর রহমান হামিম, মোহাম্মদ সাঈদ, আব্দুস সবুর, আবুল কালাম, জহির উদ্দিন, মিজানুর রহমান ভূঁইয়াসহ অনেকে।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মসজিদ নামিরাহর সভাপতি ও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার মরহুম শহিদ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, একটি গুলির বিপরীতে সপ্তাহব্যাপী লড়াই শেষে রেখে গেলেন সাহস, প্রতিবাদ ও বিদ্রোহের মতো কিছু শব্দ, যার প্রতিচ্ছবি ছিলেন হাদি নিজেই। শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন এক সাহসী, দেশপ্রেমিক ও আপসহীন রাজনৈতিক কর্মী। তিনি আজীবন অন্যায়, অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে নির্ভীক কণ্ঠস্বর হিসেবে সংগ্রাম করে গেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে তিনি জুলাইযোদ্ধাদের ন্যায্য অধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা এবং জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার চিন্তা, বক্তব্য ও অবস্থান সমাজে ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য ছিল। গায়েবানা জানাজার নামাজের ইমামতি করেন হাফিজ হাসান আব্দুল্লাহ।