৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:১৫:২৮ অপরাহ্ন


নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির জিয়ার শাহাদতবার্ষিকী পালিত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৬-২০২৫
নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির জিয়ার শাহাদতবার্ষিকী পালিত অনুষ্ঠানে দোয়া মাহফিল


ব্যাপক আয়োজনে গত ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন করেছে নিউইয়র্ক মহানগর (উত্তর) বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে সংগঠনের উদ্যোগে স্মরণ সভা, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, বেগম খালেদা জিয়ার প্রাক্তন এপিএস ড. জিয়াউল ইসলাম মুন্না, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূইয়া, যুবদলের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাইফুর খান হারুন, বিএনপি নেতা জাফর তালুকদার ও মোস্তফা কামাল পাশা মওদুদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেবি নাজনিন বলেন, শহিদ জিয়া বাংলাদেশের একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। তিনি ১৯৭১ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেমনি স্বাধীনতাযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন তেমনি ক্রান্তিলগ্নে দেশের হাল ধরে দেশকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ উন্নতির শিখরে আরোহণ করেছিল। অথচ ৮১ সালে দেশি-বিদেশি ষডযন্ত্রে তাকে হত্যা করা হয়। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান ৩০ মে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান। সভাপতির বক্তব্যে আহবাব চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষের হৃদয়ে খোদাই করা একটি নাম। এই নাম কখনো মোছা যাবে না। তিনি মাত্র সাড়ে চার বছর এ দেশের ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু এই সাড়ে চার বছরে এতো জনহিতকর কাজ করেন যে, বাংলাদেশের কোনো সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান আজ অবধি তাকে অতিক্রম করতে পারেনি। আর তাই মৃত্যুর ৪৪ বছর পরে দেশবাসী তাকে মনে রেখেছে।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহিদ এবং সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ জি এম জাহাঙ্গীর হাসাইন, আব্দুর রহিম সোয়েব আহমেদ, সেবুল খান মাহবুব, লিয়াকত আলী, মোহাম্মদ আলী রাজা, বেলাল চৌধুরী, আনোয়ারুল আলম ভূইয়া, সুলতান খান, আতিকুর রহমান সাবু, মমতাজ উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ সিদ্দিকী ফারুক কবির, দুলাল রহমান, আক্তারুল ইসলাম নান্নু, খন্দোকার আব্দুল বাকী, বেগ হোসাইন ইসলাম মিঠু, মো. সুজা উদ্দিন, মো. মুস্তাফিজুর রহমান (প্রিন্স), মোক্তাদীর, আসাদুজ্জামান আসাদ, নজরুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, শামীম হোসেন, আসিফ, জিয়াউল হক জামিল, আশিকুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আব্দুল আহাদ হেলাল, দেলোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ, আশফাক চৌধুরী, রুহেল আহমেদ, হোসাইন রুবেল, তানিম চৌধুরী, মো. মিলন আলী, আবুল কালাম আজাদ, মিরাজ মাহমুদ সিদ্দিক, রাজ্জাক মুন্না, ফকরুল ইসলাম, শেক্সপিয়ার আহমেদ।

অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা এবাদুর রহমান চৌধুরী। অনুষ্ঠান শেষে কয়েক শতাধিক লোকের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন