০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:৫০:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিরুদ্ধে ১০ মিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৭-২০২৫
মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিরুদ্ধে ১০ মিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা (বামে থেকে) সাবেক এনওয়াইপিডি কমিশনার থমাস ডনলন, মেয়র এরিক অ্যাডামস এবং সাবেক এনওয়াইপিডি মুখপাত্র তারিক শেপার্ড


সাবেক এনওয়াইপিডি অন্তর্বর্তী কমিশনার থমাস ডনলন নিউইয়র্ক সিটি এবং মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিরুদ্ধে ১০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা দায়ের করেছেন। তার দাবি, অ্যাডামস এবং সিটির সাবেক এনওয়াইপিডি মুখপাত্র তারিক শেপার্ড তাকে মানসিকভাবে অযোগ্য বলে উল্লেখ করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন। সাবেক অন্তর্বর্তী এনওয়াইপিডি কমিশনার থমাস ডনলন ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে ম্যানহাটনের ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে (সদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক) একটি ২৫১ পাতার মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় তিনি মেয়র এরিক অ্যাডামস এবং এনওয়াইপিডির সাবেক মুখপাত্র তারিক শেপার্ডের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনেছেন। ডনলনের দাবি, তারা তার মানসিক অযোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন প্রচারণা চালিয়ে তার সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন। এছাড়াও তিনি মামলা করেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে। মামলাটি দায়েরের আগে ডনলন নিউইয়র্ক সিটি কম্পট্রোলারের কাছে ১০ মিলিয়ন ডলারের নোটিশ অব ক্লেইম জমা দিয়েছিলেন যা একটি বাধ্যতামূলক আইনগত প্রক্রিয়া।

৭১ বছর বয়সী ডনলন গত ১৪ জুলাই নিউইয়র্ক সিটি কম্পট্রোলারের দফতরে একটি ১০ মিলিয়ন ডলারের নোটিশ অব ক্লেইম দাখিল করেন এবং এরপর ১৬ জুলাই বুধবার ম্যানহাটনের ফেডারেল কোর্টে ২৫১ পাতার একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডনলনের অভিযোগ, অ্যাডামস এবং এনওয়াইপিডির শীর্ষ কর্মকর্তারা একটি অপরাধমূলক চক্র পরিচালনা করছিলেন। মামলার পরদিন শেপার্ড দাবি করেন, ডনলন মানসিক সমস্যা ভুগছিলেন এবং এফবিআই তার ফোন জব্দ করেছিল। পরবর্তী সময়ে মেয়র অ্যাডামসও অভিযোগ করেন, ডনলন মানসিকভাবে উপযুক্ত ছিলেন না এবং তিনি একটি মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানান। তবে ডনলনের আইনজীবী জন স্কোলা এই অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং মানহানিকর বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এ অভিযোগগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে একজন হুইসেলব্লোয়ারকে চুপ করাতে এবং প্রশাসনের দুর্নীতি থেকে দৃষ্টি সরাতে দেয়া হয়েছে।

স্কোলার দাবি, ডনলনের ফোন কখনোই জব্দ করা হয়নি, তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো অনুরোধও করা হয়নি। বরং তাকে কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সিটি হলে পাবলিক সেফটি বিষয়ক সিনিয়র অ্যাডভাইজার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যা শহর কর্তৃপক্ষের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মেয়র অ্যাডামস পরে ডনলনের মামলা নিয়ে মন্তব্য করেন, মামলাটিতে অনেক বানান ভুল ও টাইপোগ্রাফিক ত্রুটি রয়েছে এবং এটি হঠাৎ করে প্রস্তুত করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে স্কোলা এর জবাবে বলেন, এটি ব্যাকরণ নয়, দুর্নীতির প্রশ্ন।

ডনলন বলেন, আমি প্রতিদিন মাঠে ছিলাম, ছুটির দিনেও কাজ করতাম। আমি কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন ছিলাম না। আর এফবিআই কখনোই আমার ফোন নেয়নি। ডনলনের দাবি, তার বিরুদ্ধে কোনো মানসিক অস্থিরতার অভিযোগ ছিল না যতক্ষণ না তিনি মেয়র অ্যাডামস ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এপ্রিলে তাকে জানানো হয় তার সিটি হলের পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং মে মাসে তিনি সরকার থেকে বিদায় নেন। এনওয়াইপিডির পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

শেয়ার করুন