নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারিতে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করেছিলেন। যে কারণে আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের যে কোন প্রয়োজনে আমি পাশে থাকবো। গত ৬ সেপ্টেম্বর ব্রুকলীনের একটি পার্কে ড্রাম বিটসের ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি এই কথা বলেন। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে জোহরান মামদানি বলেন, আমার নির্বাচনে বাংলাদেশীদের অসামান্য ভূমিকা ছিলো। জ্যামাইকায় এক র্যালিতে আমাকে নিয়ে স্লোগান দেয়া হয়- তোমার মেয়র, আমার মেয়র, মামদানি, মামদানি।
এদিকে সর্বশেষ এক জরিপ অনুযায়ী মামদানিকে (৪৬) সমর্থন প্রদানের কথা জানিয়েছেন। নিউইয়র্ক স্টেটের সাবেক গভর্ণর এ্যান্ড্রু ক্যুমো (৬৭) ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে মাঠে নেমেছেন। তাকে সমর্থন দিয়েছেন মাত্র ২৪ শতাংশ ভোটার। এ নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীর প্রতি সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছেন মাত্র ১৫ শতাংশ।
অপরদিকে, বর্তমান মেয়র এরিড এডামসকে ৯ শতাংশ সমর্থন দিয়েছেন। উল্লেখ্য, জোহরান মামদানিকে ধরাশায়ী করতে ট্রাম্পও নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ্যান্ড্রু ক্যুমোর বিজয় ত্বরান্বিত করার অভিপ্রায়ে ট্রাম্প এরিক এডামসকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ট্রাম্পের ধারণা এরিক সরে দাঁড়ালো ক্যুমোর বিজয়ের পথ সুগম হতে পারে।
উল্লেখ্য, ঘুষ-দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত মেয়র (ডেমোক্র্যাট) এরিক এডামস ইতিমধ্যেই ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন মামলা থেকে অব্যাহতির প্রত্যাশায়। তার সুফল এলেও পুনরায় মেয়র নির্বাচনের ময়দান থেকে সরে দাঁড়াতে সম্মত হননি। তিনিও স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এমনি অবস্থায় ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিয়েনা কলেজ’ চালালো এ জরিপ। জরিপ অনুযায়ী মেয়র নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রভাব যত বাড়ছে ততোই জনপ্রিয়তা বাড়ছে জোহরান মামদানির। নিউইয়র্ক স্টেট এ্যাসেম্বলীম্যান হিসেবে চার বছর আগে নির্বাচিত জোহরান ভারতীয় মা চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার এবং উগান্ডার বাবা মাহমুদ মামদানির সন্তান।
নিউইয়র্ক সিটিতে দক্ষিণ এশিয়ানদের রাজধানী হিসেবে পরিচিত কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন এস্টোরিয়া ও লং আইল্যান্ড সিটি নিয়ে গঠিত স্টেট এ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-৩৬ থেকে ২০২০ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথেও সখ্যতা বাড়িয়েছেন। সে সূত্রে তার মেয়র নির্বাচনেও বাংলাদেশিরা সরব হয়েছেন। যার প্রভাব দৃশ্যমান হলো গত শনিবার নিউইয়র্ক সিটির প্রসপেক্ট পার্কে ‘ড্রাম বিটস’ নামক একটি সংস্থার বনভোজন পার্টিতে। বৃষ্টি সত্ত্বেও শতশত প্রবাসীর সমাগমে হাজির হয়েছিলেন জোহরান মামদানি। মামদানিকে বিজয় প্রদানে সর্বাত্মক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রতিটি বাংলাদেশি ভোটারকে কেন্দ্রে গিয়ে ব্যালট যুদ্ধে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহবান জানান কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ। অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিলেন ড্রামের অর্গানাইজিং ডিরেক্টর কাজী ফৌজিয়া।