২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৯:৩৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনে জবাবদিহিতার বিকল্প নেই
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৯-২০২২
রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনে জবাবদিহিতার বিকল্প নেই শহিদুল ইসলাম


আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ও সমাদৃত আলোকচিত্রশিল্পী শহিদুল আলম বলেছেন, রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনের জন্য জবাবদিহিতার বিকল্প নেই। সুষ্ঠু ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আমরা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারি। বেঙ্গল শিল্পালয়ে অনুষ্ঠিত হলো সম্প্রতি জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিদ্যাপীঠ বৈঠকী অন্তরঙ্গ আলাপে গুণীজনের ৬ষ্ঠ পর্ব। আর এবারে অতিথি হিসেবে ছিলেন আলোকচিত্রশিল্পী শহিদুল আলম এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে শহিদুল আলম বলেন, সব আমলে সরকার আমাকে শত্রু মনে করে। অন্যদিকে বিরোধীদল বন্ধু মনে করে। আমি আসলে নিজেকে সাহসী মনে করি না, বরং নীরবতার মধ্যে কথা বলছি বলে আওয়াজটি এভাবে চোখে পড়ে। 

শহিদুল আলম বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে আলোকচিত্রের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত করতে তিনি ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক ছবি মেলার আয়োজন করেন। শ্রমিক, রিকশাওয়ালাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে গ্যালারির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে তিনি ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর সূচনা করেন। একইভাবে তিনি গ্রামের মানুষের চিত্রও তুলে আনতে দৃক নিউজের উদ্যোগ নেন বলে জানান। 

শহিদুল আলম মূল আলাপে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক আলোকচিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে নিজের জীবনের বিচিত্র দিক উন্মোচন করেন। এতে তিনি বলেন, আলোকচিত্র দিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক এমনকি পারিবারিক জীবনেও পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। এজন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল করতে আমি আলোকচিত্র ব্যবহার করেছি। দুর্ভিক্ষ, বন্যা ইত্যাদি চিত্র আমার আলোকচিত্রে উঠে এসেছে। আলোকচিত্রের মধ্য দিয়ে আমি কৃষকদের তুলে আনার চেষ্টা করেছি। অথচ আমাদের গণমাধ্যমগুলো প্রধানত পুরুষ, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা প্রতিনিধিত্ব করে। 

অনুষ্ঠানে এক শ্রোতার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার সংজ্ঞা আমাদের বদলাতে হবে। পরিবর্তনের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা, পদ্ধতির পরিমার্জন দরকার। ব্রিজ নিশ্চয় উন্নয়নের অংশ। একইভাবে  আত্মমর্যাদা, স্বাধীনতাও উন্নয়নের অংশ। ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক প্রফেসর ইমেরিটাস আহরার আহমদের স্বাগত আলাপের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এতে তিনি অতিথির বহুধা বিস্তৃত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ও কীর্তিগুলো তুলে ধরেন। আলাপকালে তিনি বলেন, শহিদুল আলমের প্রতিভার ব্যাপ্তি স্পষ্ট, উজ্জ্বল এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। একদিকে যেমন লেখক হিসেবে, গবেষক হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে, সংগঠক হিসেবে বিভিন্ন সম্মান, স্বীকৃতি ও পুরস্কার লাভ করেছে; তেমনি বাংলাদেশে আলোকচিত্র শিল্প হিসেবে বিশ্বের দরবারে শুধু হাজির নয়, রীতিমতো সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন।

শেয়ার করুন