০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৬:৫৮:৪০ অপরাহ্ন


বাইডেনের কি বার্তা পেলেন শেখ হাসিনা?
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১০-২০২২
বাইডেনের কি বার্তা পেলেন শেখ হাসিনা?


আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে বিএনপি’তে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বেড়েছে। দীর্ঘ সফরে প্রধানমন্ত্রী কি পেলেন এবং দেশে ফিরে কি ব্যবস্থা নেবেন এবং এর পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে কি চেহারা প্রকাশ পাবে তার অপেক্ষায় তারা। এব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে দেশে বিদেশে তৎপর বিএনপি’র হাইকমান্ড।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে  ১৮ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করে রাতে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে দেশে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট গত ৩ অক্টোবর সোমবার রাত একটার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন থেকে দেশে ফেরার পথে লন্ডনে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেন।  




কি কি করলেন সফরকালে

শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডন যান। যেখানে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া এবং রাজা চার্লস তৃতীয় কর্তৃক আয়োজিত  অভ্যর্থনায়  যোগ দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর, তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে তিনি তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের সাধারণ আলোচনায় বরাবরের মতো এবারও বাংলা ভাষায় ১৯ তম ভাষণ দেন।

এর পাশাপাশি বিভিন্ন অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপক্ষীয় ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করেতে তৎপর থাকেন তিনি। তার এমন কর্মতৎপরতা দেশের স্বার্থসংশ্লিট বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের হাই-লেভেল উইক চলাকালে তিনি মোট ৮টি উচ্চপর্যায়ের সভা ও সাইড ইভেন্টে অংশ নেন। 

এ ছাড়া রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ১২টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থানকে তুলে ধরেন। জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনের সভাপতি সাবা করোসির আমন্ত্রণে বিশ্বের নারী নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নারীদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। এ ছাড়া লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে একটি উচ্চপর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ করেন। এ সভায় জাতিসংঘ মহাসচিব, জার্মানির চ্যান্সেলর, সেনেগালের রাষ্ট্রপতি, বারবাডোসের প্রধানমন্ত্রী, ইন্দোনেশিয়া ও ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে মতবিনিময় করেন। এছাড়াও সেখানে অবস্থানরত রাজনৈতিক ও আর্ন্তজাতিক এবং পাশাপাশি আমেরিকায় প্রভাব রাখতে পারেন এমন সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির সঙ্গে একান্তে কথা বলেন তিনি।  এরা আমেরিকাসহ অনেক দেশে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখতে পারেন এমন বাংলাদেশী।


আবার এমন বাংলাদেশীদের সাথে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের সাথে শক্তিশালি সম্পর্ক আছে বলেও মনে করা হয়। যারা বর্তমানে বাইডেন প্রশাসনের খুবই আস্থাভাজন। এরা বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় অবস্থানকে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও শোনা যায়। এদের ভূমিকাকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আপদকালীন সময়ে কিভাবে ব্যবহার করা যায় তার দিক নির্দেশনাও প্রধানমন্ত্রী তাদের দিয়ে আসেন বলে জানা গেছে। এছাড়া আমেরিকা ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রজন্মকে তার সরকার ও দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতেও নানান ধরনের পরামর্শ দিয়ে এসেছেন। তাদেরকে বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন।


এবং বিদেশের মাটিতে বিএনপি-জামায়াতের কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভূমিকা রাখার আহবান জানান। যদিও বিএনপি এখন স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতের সাথে সর্ম্পক নেই বলে যাচ্ছে। এমনকি তারা অভিযোগ করছে আওয়ামী লীগের সাথেই এখন জামায়াতের সবচেয়ে মজবুত সর্ম্পক স্থাপন করছে। 





উদ্বিগ্ন বিএনপি

এদিকে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর এমন কার্যক্রমে বিচলিত হয়ে পড়েছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক তৎপরতায় বলা যায় দেশে বিদেশ বিএনপি একধরনের কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। কেননা আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরে বিএনপি বাংলাদেশ ও বিদেশের মাটিতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে। জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দলীয় নেতা নূরে আলম ও আবদুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ২২ আগস্ট থেকে সারা দেশে বিএনপির যে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে তা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত রাখে। 

কিন্তু এরপরেও বিএনপি তাদের কর্মসূচি টেনে নিয়ে যায়। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণে দলের ঘোষিত ১৬টির মধ্যে ১৪টি সমাবেশ করেছে বিএনপি। তবে মিরপুরের পল্লবীর সমাবেশ শুরুর আগে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় পন্ড হয় এবং লালবাগের সমাবেশ স্থগিত করা হয়। এর আগে ২২ আগস্ট থেকে থানা, উপজেলা, পৌর, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও অন্যান্য সব মহানগর ২৯ ও ৩০ জুলাই এবং সব জেলা পর্যায়ে ৩১ জুলাই বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপি। দেখা গেছে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএনপি টানা বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছে। কারণ এসব কর্মসূচি সরকার বাধা দেয় কি-না তা যেমন পরখ করতে চেয়েছে তেমনি আর্ন্তজাতিক অঙ্গনেও দলটি তাদের শক্ত অবস্থান জানান দিতে ভূমিকা রেখেছে। আর এসব কর্মসূচি চলাকালে প্রধানমন্ত্রীও দীর্ঘ সময়ে বিদেশের মাটিতে রাষ্ট্রীয় সফরেই ব্যস্ত ছিলেন। এসব কর্মসূচি যখন চলছিল তখন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের সফর ছিল সেপ্টেম্বরে। 



ছিল প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনারও ভারত সফর। এর পরই প্রধানমন্ত্রী অবস্থান করছিলেন যুক্তরাজ্য ও নিউইয়র্কে। আর এসব উপলক্ষ্যকে টার্গেট করেই বিএনপি এসব কর্মসূচি দিয়েছে। আর এতে অবশ্য বিএনপি একধরনের রাজনৈতিক সুযোগ নিয়ে নিয়েছে। এসব কর্মসূচি করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। যার রাজনৈতিক ক্যাশ বিএনপি তুলে নিয়েছে বলেই এতোদিন মনে করা হয়েছে। কিন্তু এরই ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী ও তার দলও যে বসে ছিল না তার ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিএনপি’র নেতাদের কাছে। যার কারণে বিএনপি আরো বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তাদের এমন উদ্বেগের কারণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন থেকে আসলে কি বার্তা নিয়ে গেলেন। বিএনপি’র একটি প্রভাবশালি নেতা এই প্রতিনিধি জানান, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর সর্ম্পকে একটা ধারণা পেয়েছেন।



এবং ধরে নিয়েছেন বিএনপি’র নেতারা যে, আওয়ামী লীগ এবার ভারতের জোড়ালো সমর্থন পাচ্ছে না। একধরনের খালি হাতেই ফিরেছে আওয়ামী লীগ।  কিন্তু আমেরিকা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে একেবারে খালি হাতে ফেরেননি তা তারা বিভিন্নভাবে খবর পেয়েছেন। আর একারণে বিএনপি’র হাই কমান্ড বড়ই উদ্বিগ্ন। তবে অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, আমেরিকা থেকেও শেখ হাসিনার অর্জন অনেকটা শূন্য। প্রধানমন্ত্রী ৯দিন ওয়াশিংটনে থাকলেও বাইডেন প্রশাসনের কোন শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে তার বৈঠক হয়নি। প্রাপ্তি বলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রীর সাথে ফটো শেসন।





ব্রিটিশ হাইকমিশনারে বক্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ

মাত্র কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশে কাজ করা বিশ্বের সব দেশের রাষ্ট্রদূত মিলে বললেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে না। ঠিক তারই কয়েদিন পর গত সোমবার  ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, বাংলাদেশের সুন্দর একটি সংবিধান রয়েছে, এর আলোকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। সোমবার বিকেলে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। এ সময় তিনি আরো বলেন, বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে আমরা বলতে পারি, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশকে আরো উন্নয়ন এনে দিতে পারে। বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ অতি দ্রুত আরো উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। এ ছাড়া প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে যে সময়-সীমা বেঁধে দিয়েছে তার জন্য হলেও গ্রহণযোগ্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি। রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের এমন বক্তব্য বেশ আলোড়ন তুলেছে। এটাও সরকারের একধরনের কুটনৈতিক সাফল্য বলেই মনে করেন অনেকে। 





শেষ কথা

৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ প্রধানদের তৃতীয় সম্মেলন ছিল। এর পরপরই ছিল জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের বাংলাদেশ সফর। ছিল প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার ভারত সফর। এরপর হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে  ১৮ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর। এসব সফরে প্রধানমন্ত্রী তার বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন তা বুঝতে দক্ষ কূটনীতিক লাগার কথা না।

কারণ দীর্ঘ সময়ে ধরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। দেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে তিনটি দেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন রাজনৈতিক নেতৃত্ব খালি হাতে ফিরবেন তা কেউ মনে করেন না বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। তাছাড়া নিজ নিজ এলাকার সিনেটর-কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণের স্বার্থে তা ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদাত্ত আহবানও অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।


এর আগে তিনি কখনো এমন আহবান জানননি। কোন পরিস্থিতিতে এমন আহবান জানান তা নিয়ে বিশ্লেষণ হতে পারে। অন্য একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট বাইডেন বা তার প্রশাসনের কোন কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী যখন ওয়াশিংটনে তখন রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাস বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন, সুশাসনের কথা বলেছেন, গণতন্ত্রের কথা বলেছেন। রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাসের বার্তাই শেখ হাসিনার জন্য বাইডেন প্রশাসনের বার্তা। শেখ হাসিনার প্রাপ্তি বলতে থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সাথে তার বৈঠক। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কি করবে এটি বোঝা যাবে খুবই সহসা তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এধরনের  পরিস্থিতি বুঝে বিএনপি কতটা রাজনৈতিক দক্ষতা দেখাতে পারবে তা সময় বলে দেবে। 

শেয়ার করুন