২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৭:৫৭:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


দ্বিপক্ষীয় উন্নতি ধারা অব্যাহত রাখার দৃঢ়তা প্রণয় ভার্মার
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০১-২০২৪
দ্বিপক্ষীয় উন্নতি ধারা অব্যাহত রাখার দৃঢ়তা প্রণয় ভার্মার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনারের বৈঠক


বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো উন্নত হবে বলে আশাবাদ রেখেছেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি জানিয়েছেন, গত এক দশকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের যে ‘অভাবনীয় উন্নতি’ শেখ হাসিনার নতুন সরকারের সময়ে তা আরো এগিয়ে যাবে। গত ১৫ জানুয়ারি সোমবার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার। 

এ সময় ভার্মা বলেন, আমরা আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী যে, বর্তমান সরকারের নতুন মেয়াদে আমাদের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব আগের চেয়ে বেশি গতি পাবে। আমাদের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব যাতে আমাদের জাতীয় উন্নয়নে আরো বিস্তৃতভাবে অবদান রাখতে পারে, তা করতে আমরা সক্ষম হবো। প্রণয় ভার্মা বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি, বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তায়, স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে ভারত সব সময় প্রস্তুত থাকবে। আর সেটা হবে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক দ্বারা পরিচালিত এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অভিন্ন ত্যাগ দ্বারা অনুপ্রাণিত। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের বহুমুখী সম্পর্কের পর্যালোচনা করার কথা জানিয়ে প্রণয় ভার্মা বলেন, কীভাবে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করতে পারি এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। 

আলাদাভাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নিয়েও তার আলোচনা হয়েছে। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে ছিল, এখনও আছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল, ভারতবর্ষ আমাদের পাশে ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনকেও বিতর্কিত করা, সেই নির্বাচন নিয়েও অনেক প্রশ্নের উপস্থাপন করা হয়েছিল। ভারতবর্ষ আমাদের পাশে ছিল এবং এবারও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে, আপনারাই জানেন, ভারতের অবস্থানটা কী ছিল, আছে। তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছিল। পেট্রলবোমা মেরে একটি পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যেটি স্পষ্টতই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, মানুষকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। সবকিছু ছাপিয়ে দেশে মানুষের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার মধ্যে এসব কিছু ঢাকা পড়ে গেছে, দেশে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিদেশি পর্যবেক্ষকরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘ভালো ও সুন্দর’ বলেছেন দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে ভারত আমাদের পাশে ছিল, আছে-এ বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ভারতকে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নিকটতম প্রতিবেশী’ হিসেবে বর্ণনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। দু’দেশের মানুষের মাঝে যোগাযোগ (কানেকটিভিটি) ও বাণিজ্যের প্রসারে আন্তঃদেশীয় রেল ও সড়ক সংযোগ স্থাপনে চলমান কাজ দ্রুত সমাপ্তির জন্য আমরা চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রার ওপর নির্ভরতা কমাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্থানীয় মুদ্রা, অর্থাৎ বাংলাদেশের টাকা ও ভারতের রুপি ব্যবহারের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এতে করে উভয় দেশই উপকৃত হবে।

শেয়ার করুন