২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ১১:০৮:৩২ অপরাহ্ন


স্টেট বিএনপির অনুষ্ঠানে জিল্লুর রহমান জিল্লু
বাংলাদেশিদের জাতির পিতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৯-২০২৩
বাংলাদেশিদের জাতির পিতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ


শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হচ্ছে বাংলাদেশিদের জাতির পিতা। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হচ্ছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশি। গত ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি আয়োজিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু।

নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির আহ্বায়ক মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব আশরাফ হোসেন ও রিয়াজ মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সদস্য সচিব বদিউল আলম, বরিশাল জাতীয়তাবাদী ফোরামের আহ্বায়ক ডা. আব্দুস সবুর, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সদস্য সচিব সাঈদুর রহমান সাঈদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা আব্দুস সবুর, মোশাররফ হোসেন সবুজ, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক এম শহিদুল ইসলাম শিকদার, নাসিম আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাক আহমে;, যুবদল নেতা মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভিপি জসীম, মোতাহার হোসেন, দেওয়ান কাওসার, কয়েস আহমেদ, বদরুল হক আজাদ, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, ইমরান শাহ রন, শাহ আলম, রিপন মিয়া প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিল্লুর রহমান জিল্লু অনুষ্ঠানের শুরুতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধার সাখে স্মরণ করে বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হচ্ছে বাংলাদেশিদের জাতির পিতা। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হচ্ছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশি। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা আবোল তাবোল বলা শুরু করেছেন, তার অর্থ হচ্ছে এটা তার পতনের আলামত। তিনি আরো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল কাদেরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, আমরা কাউকে মারবো না। আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো। আইনের মধ্যে থেকেই বিচার করা হবে।

প্রধান বক্তা মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়া শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনপ্রিয়তার কারণেই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরক অবস্থা খুবই খারাপ। আপনারা উনার জন্য দোয়া করবেন। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনার পতনে নিশ্চিত করতে না পারলে বাংলাদেশি পরাধীন হয়ে যাবে, বেগম খালেদা জিয়া জেল মুক্ত হতে পারবে না, আবার তারেক রহমানও দেশে যেতে পারবেন না। তিনি সবাইকে জাতিসংঘের সামনে অনুষ্ঠিত্য বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

জসীম ভুইয়া বলেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনভাবেই বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান ছাড়া হবে না।

ঘাবিবুর রহমান সেলিম রেজা বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। হাসিনার পতন নিশ্চিত করেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো এবং তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেবো।

মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান অনুষ্ঠানকে সফল ও সার্থক করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনে জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানের অতিথিরা কেক কাটেন।

শেয়ার করুন