১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০২:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন


দুটি সেতুই উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মধুমতি সেতু ও তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর উদ্ধোধন
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১০-২০২২
মধুমতি সেতু ও তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর উদ্ধোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মধুমতি বা কালনা সেতু উদ্ধোধন করেন/ছবি সংগৃহীত


দেশের প্রথম ৬ লেনের সেতু উদ্ধোধন করা হয়েছে। নড়াইলে সে মধুমতি সেতু উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিনে নারায়নঞ্জ তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুরই উদ্ধোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুদুটি উদ্ধোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, এ সেতু ভ্রমণের সময় কমিয়ে সড়ক যোগাযোগকে আরো সহজ,দ্রুত এবং সহজলভ্য করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সহায়তা করবে। 

মধুমতি বা কালনা সেতু 

জাইকার অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর উপর ৬৯০ মিটার দীর্ঘ মধুমতি সেতু নির্মিত হয়েছে যা স্থানীয়ভাবে কালনা সেতু নামে পরিচিত। এ সেতু নড়াইল, গোপালগঞ্জ,খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা,চুয়াডাঙ্গা,যশোর এবং ঝিনাইদহ জেলাকে ওই অঞ্চলে সংযুক্ত করেছে। 

২৭ দশমিক ১ মিটার চওড়া সেতুটিতে চারটি উচ্চ গতির লেন ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং দুটি সার্ভিস লেনসহ ৬টি লেন রয়েছে। 



তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু 

এদিকে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুটি ১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। সেতুটি দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলগামী যানবাহন এবং একইভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহন যানজট এড়াতে এবং সময় বাচাতে নারায়ণগঞ্জ  শহরকে বাইপাস করতে সক্ষম করবে।  

সেতুটির সঙ্গে নতুন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে, পদ্মা সেতু থেকে জনগণ সর্বোচ্চ সুবিধা পাবে ।  সেতু প্রকল্প ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদিত হলেও ২০১৮ সালে কাজ শুরু হয়।  সেতু নির্মাণে ৬০৮ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৬৩ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে এবং ৩৪৫ দশমিক ২০ কোটি টাকা সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) থেকে এসেছে।

ওয়াকওয়েসহ সেতুটিতে ৩৮টি স্প্যান রয়েছে। পাঁচটি নদীতে এবং ৩৩টি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে। হাঁটার পথসহ সেতুটির প্রস্থ ২২ দশমিক ১৫ মিটার। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আল দুহাইলান ও বক্তৃতা করেন। 


শেয়ার করুন