২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৯:৪৪:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের স্মৃতি সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-১২-২০২২
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের স্মৃতি সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ


কালজয়ী গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত ৫ ডিসেম্বর গৌরীপ্রসন্নের জন্মদিনে নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। কনসাল জেনারেল ড. মো. মনিরুল ইসলামের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার স্মরণ সংসদের সদস্য সচিব গোপাল সান্যাল।

এ সময় কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম বলেন, গৌরীপ্রসন্ন মজুদার একজন বিশিষ্ট গীতিকার। তিনি বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি গানে গানে অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জুগিয়েছেন। যথানিয়মে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপিটি দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানান কনসাল জেনারেল।

গোপাল সান্যাল বলেন, পাবনা শহর থেকে যে দাবিটি উত্থাপিত হয়েছিল তা আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, সুচিত্রা সেনের বাড়িটি উদ্ধার হয়েছিল এ সরকারের আমলেই। তাই প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিলে কালজয়ী এ গীতিকারের স্মৃতিও রক্ষা করা সম্ভব।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় নিউইয়র্কের ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসান, ফার্স্ট সেক্রেটারি প্রসুণ চক্রবর্তী, ভাইস কনসাল আসিফ উদ্দিন আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আবদুল হামিদ, চিত্রশিল্পী জাহেদ শরীফ, অ্যাকটিভিস্ট শুভ রায়, সুখেন জোসেফ গমেজ, স্বাধীন মজুমদার ও সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকি উপস্থিত ছিলেন।

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার স্মরণ সংসদ তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণে পৈত্রিক বাড়িটিতে নির্মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নামকরণ, হাসপাতালের সামনে স্মৃতিফলক স্থাপন ও পরিত্যক্ত স্থানে জাদুঘর নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। প্রঙ্গত, গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যোগাতে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত একাধিক গানের রচয়িতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রনি’- এই কালজয়ী গানটির গীতিকার তিনি। এছাড়াও ‘মাগো ভাবনা কেন, আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে’, ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’-এর মতো অসংখ্য কালজয়ী গান লিখেছেন। গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ১৯২৫ সালের ৫ ডিসেম্বর পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা স্মারক’ (মরণোত্তর) এ ভূষিত করে। পাবনায় গৌরীপ্রসন্নের পৈতৃক বাড়িটি এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্মৃতিচিহ্ন বলতে আছে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি তালগাছ আর একটি ঘাট বাঁধানো পুকুর। মূল বাড়ির ধ্বংসাবশেষে এখন জঙ্গল আর ময়লার স্তূপ। ১৯৭৪-৭৫ সালে গোপালনগর মৌজায় মজুমদার এস্টেটের ৩৩ একর জমি সরকার অধিগ্রহণ করে সেখানে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে। ৫০ শয্যা হাসপাতালটি বর্তমানে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। তখন শেষবারের মতো পৈতৃক ভিটা দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। ভারতে চলে যাওয়ার সময় গোপালনগরে গৌরীপ্রসন্নের বিশাল উঠোনসহ তিনতলা বাড়ি ছিল। ১৯৮০-এর দশকে কিছু কিছু স্মৃতিচিহ্ন থাকলেও সেগুলোর কিছুই আর এখন অবশিষ্ট নেই। গোপালনগরে উপজেলা হাসপাতাল গৌরীপ্রসন্নের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হলেও সেখানে তাঁর কোনো স্মৃতিফলক পর্যন্ত নেই। হাসপাতালের পেছনেও অনেক জায়গা পড়ে আছে। তা রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।

শেয়ার করুন