২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০১:২০:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে-মির্জা ফখরুল
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৩-২০২৪
আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে-মির্জা ফখরুল


সরকার হটাতে দলমত নির্বিশেষে ‘গণঐক্য’ গড়ার আহবান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘‘ আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে। সেই মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। আমরা একটা গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু সম্ভব নয় তার চেয়েও বেশি সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি। আমাদের এখন যেটা প্রয়োজন হবে জনগণের মধ্যে আমাদের সম্পর্কে ঐক্য সৃষ্টি করা…ইউনিট ফর অল দ্য ফোর্সেস… যারা গণতন্ত্র চায় এটা কোনে দল মত বন্ধন নয় সমস্ত বাংলাদেশের মানুষের সেই একাত্তর সালে যুদ্ধে যেমন বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো, ’৬৯ যেমন মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো, ’৯০ যেমন মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো সেই একইভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি করে… এর থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ তো একটাই এদেরকে পরাজিত করতে হবে… পরাজিত করতে না পারলে আমাদের মুক্তি আসবে না, এই নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না।”

সরকারে দমনপীড়নের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এই অবস্থা ভয়াবহ। সুতরাং আমাদের প্রথম লক্ষ্য হবে আমাদের নিজেদেরকে সংগঠিত করা, দ্বিতীয় লক্ষ্য হচ্ছে গোটা জাতিকে আবারো সংগঠিত করা। তারপরে বিদ্রোহ, প্রতিরোধ সৃষ্টি করে তাদের পরাজিত করা।”

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার সেল’ এর উদ্যোগে বিরোধী আন্দোলনে গুম-খুন-পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়।

‘আশা হারাবে না’

গুম-খুন হওয়া পরিবারের সদস্যদের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এখানে ভিক্টটিম যারা আছেন বিশেষ করে শিশু যারা আমি বলতে চাই, তোমরা কখনো আশাহারা হবে না, কখনো মনে করবে না যে, সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।”

‘‘ আমি অভিভাবকদের বলতে চাই, কেনো ভীরুতা, কোনো হতাশা তাদেরকে যেন গ্রাস না করে। সব সময় মনে রাখতে হবে যে, এই গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভোটের আন্দোলন, নিজের অন্ন-বস্ত্রের যে আন্দোলন সেই আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন। অবশ্যই সেই আন্দোলনে আমরা বিজয় হবো।”

‘শুভদিন আসবেই’

কবি ররীন্দ্র নাথ ঠাকুরের লেখা দূ:সময়’ কবিতার প্রথম কয়েকটি লাইন পড়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘  পাখা আর বন্ধ করা যাবে না। এই কথা সবাই মনে করি, সবাই আমরা সাহস সঞ্চয় করি। শুভ দিন আমাদের আসবেই।বিজয় হবেই।”

‘‘ কারণ অন্যায় কোনো দিন টিকে থাকতে পারে না, সত্যের জয় হবেই।”

গুম-খুন পরিবারের পাশে সবসময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্পৃক্ত থাকায় তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ  জানান মির্জা ফখরুল।

পরে গুম-খুন-পঙ্গুত্বে শিকার নেতা-কর্মীর ২০ পরিবারের সদস্যদের হাতে তারেক রহমানের ঈদ উপহার তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব।

সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ও নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর হেলাল, যুব দলের আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসিন আলী, ছাত্র দলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির, গুম-খুন হওয়া পরিবারের মধ্যে চৌধুরী আলমের ভাই খুরশীদ আলম মিন্টু, সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজীদা ইসলাম তুলি, নুরে আলমের স্ত্রী রিনা আলম, মাহবুবুর রহমান বাপ্পীর বোন ঝুমুর আক্তার, পারভেজ রেজার ছোট মেয়ে হৃদি প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন