২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ৬:৬:৪১ অপরাহ্ন


ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ/ নয়া পল্টনে সরকারের বাধা
সোহরাওয়ার্দী তুরাগ তীর ব্যতিত ঢাকায় ভিন্ন ভেনু চায় বিএনপি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১২-২০২২
সোহরাওয়ার্দী  তুরাগ তীর ব্যতিত ঢাকায়  ভিন্ন ভেনু চায় বিএনপি আজ রোববার দুপুরে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন/ছবি সংগৃহীত


ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ডিএমপির বারবার ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের স্থান নয়া পল্টন দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখে যে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি সেটাতে পরিবর্তনের জন্য অবিরাম চাপ দেওয়ায় বিএনপির অবশেষে বিকল্প ভেন্যু দেয়ার প্রস্তাব করেছে। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, তুরাগ নদীর তীরে ব্যাতিত রাজধানীতে অন্যকোনো বিকল্প প্রস্তাব দিলে, সেটা বিবেচনা করবে বিএনপি। 

মির্জা ফখরুল বলেন, যেকোনো স্থানে সমাবেশ করবো এটা আমার সাংবাদিক সাংবিধানিক অধিকার। এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। সেখানে আগ বাড়িয়ে নাশকতা হবে বলে- আমার সাংবিধানিক অধিকারকে আপনারা লঙ্ঘন করছেন। কেড়ে নিয়েছেন। আমরা ঢাকা বিভাগীয় সম্মেলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে চাই। 

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করছেন। দয়াকরে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরী করবেন না। আমরা যে নয়টি (সারাদেশে) সমাবেশের সম্পন্ন করেছি, ঠিক একইভাবে ঢাকা সমাবেশ সম্পন্ন করব। মির্জা ফখরুল বলেন, ডিসেম্বরের ১০ তারিখে বিএনপির সমাবেশকে উদ্দেশ্য করে সরকার  সর্বনাশা প্রতিশোধ স্পৃহায় মেতে উঠেছে। সমাবেশকে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য একের পর এক চক্রান্ত জাল বিস্তার করে চলেছে।  আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে কখনই গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকেনি। এদের ইতিহাস ঐতিহ্য রয়েছে গণতন্ত্রে বিনাশ ঘটিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন এর উত্থান ঘটানোর। 

ঢাকা গণসমাবেশে বানচাল করার জন্য সরকারের নানামুখী দমননীতি এখন সর্ব সাধারণের নিকট পরিষ্কার হয়ে গেছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসার সামনে বালির ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড দেয়ার কায়দায় চেকপোস্ট, বেরিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি দেশনেত্রী ওপর নিপীড়নের আরেকটি নতুন মাত্রা।  আমি সরকারের এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একজন জনপ্রিয় নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়ে কারারুদ্ধ রেখে চিকিৎসার সকল পথ রুদ্ধ করে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়েছে সরকার।  তার বাসভবন অবরোধ করে এবং জেলে পাঠানো হুমকি দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার চরমভাবে মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে থেকে অবিলম্বে চেকপোষ্ট তুলে নেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।

 বিএনপি মহাসচিব,আইজিপির বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, পুলিশের আইজি বলেছেন ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই। তাহলে কেন এই নাটক। অভিযান। সরকার এক সুদূরপ্রসারি প্ল্যান এর পথে হাঁটছে। এগুলো জনগণের নিকট স্পষ্ট হয়েছে যে, সরকার একটি নাশকতামূলক পরিস্থিতি তৈরী করতে চায়। কিন্তু সরকারের এতে কোনো লাভ হবে না। জনগণ দিবালোকের মতোই সবকিছু অবলোকন করছে। 

 মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের পিছনে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে সরকার দাবি করে তিনি বলেন, অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশে পুলিশ গ্রেপ্তার ও হয়রানি করেছে। পথে পথে বাধা দিয়েছে। যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহিংস রক্তাক্ত আক্রমণ চালিয়েছে। তারপরও জনতার স্রোত রুখতে পারেনি। সরকার জঙ্গিবাদের কথা বলে জঙ্গি

সৃষ্টি করতে চায়। অগ্নি সন্ত্রাসের কথা বলে অগ্নি সন্ত্রাস করতে চায় বলেন মির্জা ফখরুল।  তিনি বলেন, দেশব্যাপী গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 




শেয়ার করুন