মঙ্গলবার থেকে তিন দিন, তথা ৭২ ঘন্টা সারাদেশে ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ কর্মসূচি করবে বিএনপিসহ সমমনাজোটগুলো। ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়া পল্টনের মহাসমাবেশে পুলিশি হামলা, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারসহ সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এই কর্মসূচি করবে তারা।
সোমবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ‘সর্বাত্মকভাবে’ অবরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য দেশবাসী ও দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘ আগামীকাল ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর এই তিনদিন যে অবরোধ কর্মসূচি আছে তা সাফল্যমন্ডিত করা জন্য আমি দেশবাসী ও দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি রেলপথ, রাজপথ, মহাসড়ক, সড়ক এবং নৌ পথে এই অবরোধ চলবে।”
‘‘এটা হবে সর্বাত্মক অবরোধ। সর্বাত্মক বলতে আপনারা জানেন, যেমন রাজধানীর সাথে জেলার পথগুলোতে সংযোগ রয়েছে, জেলা সাথে উপজেলা বা উপজেলার সাথে বিভিন্ন ইউনিয়নের যে পথগুলোতে সংযোগ রয়েছে মেইন পথগুলোতে অবরোধ হবে, রেলপথগুলোতে অবরোধ হবে, নৌপথ গুলোতে অবরোধ হবে।”
‘অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে’
রিজভী বলেন, ‘‘ এই তিনদিনের অবরোধে আওতামুক্ত থাকবে সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহনের গাড়ি।”
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি, এনডিএমসহ সরকার পদত্যাগের যুগপত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দলগুলো আলাদাভাবে অবরোধ কর্মসূচি করবে।
যুগপত আন্দোলনের বাইরে সোমবার দুপুরে জামায়াতে ইসলামীও তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সরকার পদত্যাগের এক দফার দাবিতে বিএনপি যুগপতভাবে বিভিন্ন দল ও জোটকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করে গত ১২ জুলাই।
এরপর থেকে টানা তিন মাসে তারা ঢাকাসহ সারাদেশে রোড মার্চ, পদযাত্রা, গণমিছিল, কালো পতাকা মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি, সমাবেশ-বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি করে। এরপর গত ২৮ জুলাই তারা ঢাকায় মহাসমাবেশ করে পরদিন ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি করেছে। সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনসহ ৯টি স্থানে মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপিসহ সমমনারা। কিন্তু বিএনপির সমাবেশ শুরুর দেড় ঘন্টার মধ্যে পুলিশ হামলা চালিয়ে পন্ড দেয়।
