২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৮:৫২:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


দেশকে কাজী জাফরউল্লাহ
আমরা তো এগুলো পাত্তাও দেই না...
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০২-২০২৪
আমরা তো এগুলো পাত্তাও দেই না... কাজী জাফরউল্লাহ


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেছেন, আমরা তো এগুলো পাত্তাও দেই না..। আপনারাই ভয় পাচ্ছেন..। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ 

১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরেই জাফরউল্লাহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তিনি। আওয়ামী লীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা, গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারক এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। কাজী জাফরউল্লাহ শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত নেতাদের মধ্যে অন্যতম। অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব শেখ হাসিনা কাজী জাফরউল্লাহর হাতেই অর্পন করেন এবং তাঁকে বিশ্বাস করেন। বলা হয়ে থাকে শেখ হাসিনার প্রশ্নে তিনি কখনো আপস করেননি। সবসময় শেখ হাসিনার আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন এবং তাঁর সঙ্গে কখনো শেখ হাসিনার দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছিল দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহকে।

দেশ: গত বছর ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। গ্রেপ্তারের সাড়ে তিন মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। মুক্তি পেয়েই বলেছেন, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নেতাকর্মীর হতাশার কিছু নেই। ৭ জানুয়ারির একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি। এবিষয়টি কিভাবে দেখেন? তার এমন বক্তব্য পরপ্রেক্ষিতে আপনাদের মতামত কি?

কাজী জাফরউল্লাহ: (হাসি দিয়ে..) এখানে-তো কিছুই আমাদের দেখার নেই। বিএনপি মহাসচিব হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব। উনি উনার মতামত দিয়েছেন। আমরা মনে করি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটার টার্নআউটও ভালোই হয়েছে। সে দিক থেকে বা প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে তো বলা যাবে সবই ঠিক আছে। আমারতো এমন কিছু জানা নেই যে উনি কেনো এমন কথা বলছেন। 

দেশ: কিন্তু বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন জনগণের প্রত্যাশা ছিল- দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে আসবে। দেশে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা জনগণের মধ্যে ছিল, তা পূরণ হয়নি। এধরনের বক্তব্যে কি অপনারা ভয় পাচ্ছেন বা আতঙ্কিত?

কাজী জাফরউল্লাহ: এটা তো আপনি বুঝতে পারবেন? আমরা তো এগুলো পাত্তাও দেই না..। আপনারাই ভয় পাচ্ছেন..। কারণ আপনারা আমেরিকায় থাকেনতো (প্রশ্নকারী সাংবাদিক আমেরিকায় থেকে কথা বলছেন ভেবে)। আমরা তো দেশে মানে বাংলাদেশে থাকি..। এখানে রোজই মারামারি, রোজই যুদ্ধ করে এখানে বাঁচতে হয়। আমরা এগুলোতে ভয় পাই না। 

দেশ: আপনি একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ। বলা হয় আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ। বিএনপি’র ব্যাপারে আপনাদের পরামর্শ কি?

কাজী জাফরউল্লাহ: তারা কি বলে তাতো আপনাকে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে হবে মি. মোর্শেদ (সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে)। আমরা তো তাদের কথা বলতে পারি না..তাদের মনে কি আছে? আমরা আমাদের দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যা ভাবি তা বলতে পারি। এখন সারা পৃথিবীতিতে একটা যুদ্ধ- রাশিয়া ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ। সারা বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে ধস নামছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের মতো গরিব দেশের অনেক সমস্যা। সেগুলি সমাধান করে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমরা যেনো মূল্যস্ফীতিটা কমাতে পারি। দ্রব্যমূল্য যেন মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে চলে আসে। যেটুকু আয় তার মধ্যে যেনো তারা ভালোভাবে চলতে পারে। এগুলোই হচ্ছে আমাদের প্রায়রিটি।

শেয়ার করুন