১৮ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৩:০৭:১৬ অপরাহ্ন


জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিট
বীর বাঙালির বিজয় নিশান বাংলাদেশ স্ট্রিট
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৩-২০২৩
বীর বাঙালির বিজয় নিশান বাংলাদেশ স্ট্রিট বাংলাদেশ স্ট্রিটের উদ্বোধনীতে বাংলাদেশিরা


নিউইয়র্কে যতগুলো বাংলাদেশি অধ্যুষিত বরো রয়েছে তার কুইন্স বরোতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশি। আর কুইন্স বরোর জ্যাকসন হাইটস হলো লিটল বাংলাদেশ। এই জ্যাকসন হাইটসকে ঘিরেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাসি-কান্না-আনন্দ-উল্লাস-উচ্ছ্বাস। নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের জয়গান শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। সেই জয়গানের সূত্র ধরেই বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে একে একে বাংলাদেশকে ঘিরেই নামকরণ করা হচ্ছে। তার সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটে বাংলাদেশ স্ট্রিট নামকরণের মধ্য দিয়ে। নতুন ইতিহাস রচনার এই দিনটি ছিল গত ২৬ মার্চ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিন। এই ২৬ মার্চে বাঙালির আরেক বিজয় পতাকা উড়লো জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটে। সেটাকে বলা যায় বীর বাঙালির বিজয় নিশান জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশ স্ট্রিট। জ্যাকসন হাইটসকে নিয়ে বাঙালিরা এমনিতেই গর্ব করতে পারতো। কারণ জ্যাকসন হাইটস মানেই মিনি বাংলাদেশ। জ্যাকসন হাইটসের আকাশে-বাতাসেই যেন বাংলাদেশের মাটির গন্ধের ছোঁয়া মিলে। শান্তির পরশ পাওয়া যায়। সেই শান্তি বাঙালির খাদ্যের, সেই শান্তি বাঙালির শরীরের সুগন্ধে, সেই শান্তি বাঙালির আচার-আচরণে, সেই শান্তি বাঙালির আড্ডায়, সেই শান্তি বাঙালির সভা-সমাবেশে, সেই শান্তি বাঙালির ঝগড়ায়। দীর্ঘদিন জ্যাকসন হাইটসবাসী অলিখিত বাংলাদেশ পেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলম্যান শেখ কৃষ্ণানের বদান্যতায় এবং ফাহাদ সোলায়মানের দৃঢ়তায় স্বপ্নের বাংলাদেশের লিখিত এবং স্বীকৃত বাংলাদেশ পাওয়া গেল। সঙ্গে ছিল জেবিবিএ ও জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী। বাংলাদেশ স্ট্রিটে সাইনবোর্ড লাগানোর পর ভিন্নচিত্র পরিলক্ষিত হয়। গর্বে-আনন্দে মনের অজান্তেই বেরিয়ে এলো-‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর, তোরা সব জয়ধ্বনি কর।’ বুকে উঠে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা, হৃদয় হয়ে ওঠে ৩২ ইঞ্চি চওড়া। ঈদের চাঁদ আকাশে উঠলে যেভাবে আঙুল দিয়ে দেখানো হয়, ঐ দেখা যায় চাঁদ, ঠিক যেন সেভাবেই দেখানো হলো- ঐ দেখো বাংলাদেশ। আহা কি খুশি আজ আকাশে- বাতাসে। ঈদের খুশির মতো এই খুশিকেও বিলিয়ে দেয়া হয় দল-মত-নির্বিশেষে সব বাঙালিকে। জ্যাকসন হাইটসে রচিত হলো বাঙালির আরেক ইতিহাস। ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া যায়নি বাংলাদেশের কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে। কেন তারা আসেননি-এমন প্রশ্ন অনেকের।


রাজনৈতিক, অর্থের প্রাধান্য এবং নেতৃত্বের ভাগাভাগির কারণে এই অনুষ্ঠানকে দুই ভাবে ভাগ করা হয়। কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান ছাড়তে চাননি তার নেতৃত্ব। মন রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন সবার। যে কারণে একটি পর্ব তার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। আরেক পর্ব ফাহাদ সোলায়মানের নেতৃত্বে করে জেবিবিএ। করা হয় একটি আহ্বায়ক কমিটি। সেই আহ্বায়ক কমিটির প্রধান ছিলেন জেবিবিএর কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিটু চৌধুরী। সদস্য সচিব করা হয় মোহাম্মদ চিশতিকে।

প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মিলন রহমান। তার পরিচালায় এই পর্বে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং, অ্যাসেম্বলি উইমেন ক্যাটালিনা ক্রুজ, অ্যাসেম্বলি উইমেন জেসিকা গঞ্জালেস রোহাস ও অ্যাসেম্বলিম্যান স্টিবেন রাগাব।

কুইন্স বরোর ২৫ ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল মেম্বার ও নিউইয়র্ক শহরের সড়ক নামকরণ কমিটির চেয়ারম্যান, শেখর কৃষ্ণান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে কত ত্যাগ ও সংগ্রাম করেছে আমরা জানি। এটি এমন একটি দেশ যারা নিজেদের ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছে। যারা নিজের দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ভাষাকে কেন্দ্র করে আমেরিকায় গড়ে তুলেছে এক বিশাল জনসমাজ। যারা অবদান রাখছে আমেরিকার প্রশাসন, নিরাপত্তা যানবাহন, রেস্টুরেন্টেসহ বিভিন্ন সেক্টরে। বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবসে তাদের সবার প্রতি সম্মান জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।’ তিনি আরো বলেন, এই এলাকার কাউন্সিল মেম্বার হিসেবে আমার দায়িত্ব এবং প্রতিশ্রুতি ছিল বাংলাদেশ স্ট্রিট করার। সেটি আমি করেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্ট্রিট নামকরণ নিয়ে অনেকেই ভিন্নমত দিয়েছেন। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাঙালির সম্পাদক কৌশিক আহমেদ আমাকে বলেছিলেন, বাংলাদেশ স্ট্রিট না করে বাঙালি ওয়ে করার জন্য। কিন্তু আমি তার প্রস্তাব গ্রহণ করিনি। আমি বাংলাদেশ স্ট্রিটই রেখেছি।

কংগ্রেস উইমেন গ্রেস মেং বলেন, ‘আমেরিকায় বাংলাদেশিরা দ্রুত বেড়ে ওঠা সমৃদ্ধ অভিবাসী সমাজের অন্যতম। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প যেমন বিশ্বব্যাপী পরিচিত, তেমনি আমেরিকাতে বাংলাদেশিরা নানান ক্ষেত্রে অবদান রেখে সুপরিচিত হয়ে উঠছে। বাংলাদেশিরা কৃষি, শিক্ষা এবং হোম কেয়ারসহ রাষ্ট্রীয় উচ্চপদে থেকে আমেরিকার উন্নয়ন করছে।’ এ সময় তিনি বাংলাদেশ যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।

দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেবিবিএর সভাপতি হারুণ ভুইয়া, আহ্বায়ক লিটু চৌধুরী, সদস্য সচিব মোহাম্মদ চিশতি, জেবিবিএর অপর অংশের সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, এলাকাবাসীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা মীর নিজামুল হক, কুইন্স ডেমোক্রেটিক লিডার অ্যাট লার্জ ও বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, জেবিবিএর সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ পিয়ার, জেবিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এবং মূলধারার রাজনীতিবিদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সরওয়ার খান বাবু, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, শাখাওয়াত বিশ্বাস, ইঞ্জিনিয়ার সোবহান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, সিনিয়র সহসভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, মাহবুবুর রহমান টুকু, জেবিবিএর কর্মকর্তা রুহুল আমিন সরকার, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, আইবিটিভির প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া মাসুদ জিকো, লায়ন্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান জিলানী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও হক অ্যান্ড সন্সের প্রেসিডেন্ট এ কে এম ফজলুল হক, মূলধারার রাজনীতিবিদ মোর্শেদ আলম, গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ,  আহনাফ আলম, কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাদেক, ড. রফিক আহমেদ, জেবিবিএর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, মনির হোসেন, মোর্শেদা জামান, কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হুমায়ুন, শিল্পী আফতাব জনি, সৈয়দ রাব্বী, কামরুল ইসলাম হীরা, সানম্যান এক্সপ্রেসের প্রেসিডেন্ট মাসুদ রানা তপন, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাজী আজহারুল হক মিলন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, জেবিবিএ’র কর্মকর্তা হোসেন রানা, মোহাম্মদ কিবরিয়া, জেড এ জয়, জাহাঙ্গীর জয়, মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, শেখ আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা মনিকা রায়, নাঈমা খান, ইভান খান, শিল্পী সবিতা দাস, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মমতাজ শাহনাজ, শিল্পী শামীম সিদ্দিকী, কৃষ্ণাতিথি, শাহ মাহবুব, চন্দ্রা রায়, কামরুজ্জামান বকুল, শাহানারা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী, মূলধারার রাজনীতিবিদ দীলিপ নাথ, আমিন খান জাকির, জেবিবিএ’র কোষাধ্যক্ষ সেলিম হারুণ, আব্দুল মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী, জোসী চৌধুরী, শ্রমিকলীগ সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নূরুজ্জমান সর্দার, শিবলি সাদিক, মোহাম্মদ হাসান, কাজী কাইয়্যুম, কোকো স্মৃতি পরিষদের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রাজু, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি রাফেল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, কামাল আহমেদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এ এফ মিসবাউজ্জামান, রূপসী বাংলা টিভি এবং শাহ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শাহ জে চৌধুরী প্রমুখ।

হারুণ ভূইয়া বলেন, এক সময় এখানে আমাদের টিকে থাকা কষ্টসাধ্য ছিল। আমার ফাইট করে আজকের এই অবস্থানে এসেছি। তিনি বলেন, এই সংগ্রাম আমাদের অনেক আগে থেকেই ছিল। তিনি বাংলাদেশ স্ট্রিট নামকরণের জন্য ফাহাদ সোলায়মানকে ধন্যবাদ জানান।

পিয়ার মোহাম্মদ সৈয়দ রহমান মান্নানকে স্মরণ করে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিলাম, আজকে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

গিয়াস আহমেদ শেখর কৃষ্ণানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের মাসে আমরা আরেকটি স্বাধীনতা পেয়েছি।

মীর নিজামুল হক বলেন, এটা আমাদের স্বপ্ন ছিল, এলাকাবাসীর স্বপ্ন ছিল। আজকে জ্যাকসন হাইটস এমন ছিল না, এর জন্য আমাদের লড়াই করতে হয়েছে। তিনি ফাহাদ সোলায়মানকে ধন্যবাদ জানান।

জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর শেখর কৃষ্ণান তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। বিশ্বের বাণিজ্যিক রাজধানী নিউইয়র্ক শহরের একটি সড়কের নাম বাংলাদেশের নামে, ভাবতেই গর্ব হয়। আমাদের পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, আর আমরা নতুন প্রজন্ম সেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’ তিনি আরো বলেন, আজকে আমরা উচ্চারণ করতে পারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম এবং ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার রহমানের নাম। বিতর্ক করে আমরা বিভক্ত হতে চাই না। যার যার অবদান তাকে দিতে হবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকে জেবিবিএসহ জ্যাকসন হাইটসের বিভিন্ন দাবি ছিল এই এলাকায় স্থায়ী শহিদ মিনারের। তাদের সেই স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। যদিও এই দাবিতে এখন কেউ আর সোচ্চার নয়। তারপর চেষ্টা করা হয়েছিল এই এলাকার নামকরণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমানের নামে করার। কিন্তু রাজনৈতিক বিভক্তির কারণে সেই দাবিও আলোর মুখ দেখিনি। বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকায় ইতিমধ্যে একটি স্ট্রিটকে বাংলাদেশ অ্যাভিনিউ করা হয়েছে। ব্রঙ্কসের স্টারলিং অ্যাভিনিউকে বাংলাবাজার অ্যাভিনিউ করা হয়েছে। ওজনপার্কের ফরভাল স্ট্রিটকে মিজানুর রহমান ওয়ে করা হয়েছে। যদিও এই এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হয়েছিলেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান। শিকাগোতে মুজিব ওয়ে এবং জিয়া ওয়ে রয়েছে। এ ছাড়াও আমেরিকার বাংলাদেশি অধ্যুষিত স্টেটগুলোর মধ্যে কোনো কোনো স্ট্রিট বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করে করা হয়েছে। সেখানে জ্যাকসন হাইটস ছিল অনেকটা অবহেলিত। জ্যাকসন হাইটসে আগে নামকরণের কথা থাকলেও তা হয়ে ওঠেনি।

মূলত জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটকে বাংলাদেশ স্ট্রিট করার প্রস্তাব আসে গত সিটি কাউন্সিল নির্বাচনের সময়। সেই সময় জেবিবিএর সাধারণ সম্পাদক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফাহাদ সোলায়মান দাবিটি তুলেছিলেন জ্যাকসন হাইটসের কাউন্সিলম্যান প্রার্থী শেখর কৃষ্ণানের কাছে। শেখর কৃষ্ণান সেই সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচিত হলে জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটকে বাংলাদেশ স্ট্রিট নামকরণের চেষ্টা করবেন। নির্বাচনের শেখর কৃষ্ণান কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হন। অন্যদিকে ফাহাদ সোলায়মানও শেখর কৃষ্ণানের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন এবং শেখর কৃষ্ণানকে সিটি কাউন্সিলে বিল উত্থাপনে অনুরাধ করেন। কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান অবশেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সিটি কাউন্সিলে বিলটি উপস্থান করেন। বিলটি সর্বসম্মতিক্রমে ৪৭-০ ভোটে পাস হয়।

শেয়ার করুন