২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১১:৩৬:৬ পূর্বাহ্ন


জ্যাকসন হাইটসে আ.লীগ-বিএনপির মধ্যে হাতাহাতি ধাক্কাধাক্কি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৯-২০২৩
জ্যাকসন হাইটসে আ.লীগ-বিএনপির মধ্যে হাতাহাতি ধাক্কাধাক্কি জ্যাকসন হাইটসে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি


গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে প্রতিবাদ জানাতে এয়ারপোর্টে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং বিএনপির স্টেট ও মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ। যেহেতু শান্তি সমাবেশ এবং বিক্ষোভ সমাবেশের সময়সূচি ছিল রাত ৮টা পর্যন্ত সেহেতু সবাই নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের তীর্থস্থান জ্যাকসন হাইটসে চলে আসেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাটকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত করায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং তারা জ্যাকসন হাইটসে অবস্থান নেন। আগেগ থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্টিটের নবান্ন এবং অবকাশ স্টোরের সামনে অবস্থান নেয়। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দ অবস্থান নেন জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ এভিনিউ এবং কথা রেস্টুরেন্টের সামনে। এক সময় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া, নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আহবাব চৌধুরী খোকন, সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরী, যুব দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীরা ৭৩ স্ট্রিট দিয়ে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে ব্রডওয়ের দিকে চলে যায়। বিএনপির নেতাকর্মীদের স্লোগান দেখে যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগ এবয় যুব লীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা স্লোগান শুরু করে। আবারো ৭৩ স্ট্রিট দিয়ে যখন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দ স্লোগান নিয়ে ৩৭ এভিনিউর দিতে যেতে থাকে তখন উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ছাত্র লীগ ও যুবলীগের অবস্থান থেকে বিএনপির মিছিলেন উপর পানির বোতল ছোড়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই উত্তেজনা শুরু হয়। এক পক্ষ আরেক পক্ষের দিকে তেড়ে যায়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি এবং হাতিহাতি। এ দিকে উভয় দলের শীর্ষ নেতারা এবং জ্যাকসন হাইটসের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ দুই দলের মাঝখানে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে কবীর টাওয়ারের উপর থেকে পানির বোতল এবং কোকাকোলার বোতল ছোড়া হয়। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়। মারামারির ঘটনা না ঘটলে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দরে মধ্যে হাতাহাতি এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা চলে প্রায় ৪০ মিনিটের মত। আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে মহিউদ্দিন দেওয়ান, দরুদ মিয়া রনেল, শাখাওয়াত বিশ্বাস, চঞ্চল, সেবুল মিয়া, ফরিদ আলম এবং বিএনপির নেতাদের মধ্যে জিল্লুর রহমান জিল্লু, মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া, আবু সাঈদ আহমেদ, আমানত হোসেন আমান এবং জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর মীর নিজামসহ অনেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন এবং উভয় পক্ষেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। এক সময় বিএনপির নেতৃবৃন্দ একটু পেছনে গেলে সাইডওয়ার্কে থাকা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রাস্তায় নেমে আসে। উভয় পক্ষ তখন মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এইভাবে প্রায় আধাঘন্টার মত ধাক্কাধাক্কি চলতে থাকে। এক পক্ষ আরেক পক্ষের দিকে তেড়ে যায়। কে কারা পুলিশ কল করলে প্রথমে দুইজন পুলিশ আসে। অবস্থা বেগতিক দেখে পরে কয়েক প্লাটুন পুলিশ আসে। পুলিশ এসে দুই পক্ষকে দুই সরিয়ে দেয়। যদিও পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বড় কোন অঘটন ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ জয়নাল আবেদীন, মহিউদ্দিন দেওয়ান, হাজী এনাম, আব্দুল মালেক, মহানগর আওয়ামী লীগের (একাংশের সভাপতি রফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, নূরুল আমীন বাবু, সাইকুল ইসলাম, দরুদ মিয়া রনেল, সেবুল মিয়া, রহিমুজ্জামার সুমন, হাসান জিলানী, শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, আর আমিন, মাসুদ সিরাজি, নূরুজ্জামান সর্দার, শাখাওয়াত বিশ্বাস প্রমুখ।

বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, মিজানুর রহমান ভূইয়া (মিল্টন ভূইয়া), উত্তরের আহ্বায়ক আহবাব চৌধুরী খোকন, সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরীর, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর খান হারুণ, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, যুব দলের সাবেক সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন, যুব দল নেতা আতিকুল হক আহাদ, মিজানুর রহমান, দেওয়ান কাওসার, মাজহারুল ইসলাম জনি, উত্তম বনিক, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর এম আলম, কয়েস আহমেদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন