০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৩:৫৩:৩১ পূর্বাহ্ন


হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ‘ধন্যবাদ’ পেলো বিএনপি
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১০-২০২৩
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ‘ধন্যবাদ’ পেলো বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ


বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও এর নেতৃত্বাধীন ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ঐক্যমোর্চা নেতৃবৃন্দের ধন্যবাদ পেলে বিএনপি। ঐক্য পরিষদের আহ্বানে আগামী শারদীয় দুর্গাপূজার সময়কালে ২০-২৪ অক্টোবর কোনোপ্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রদান থেকে বিরত থাকায় বিএনপি’র প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। 

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও এর নেতৃত্বাধীন ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ঐক্যমোর্চা উদ্যোগে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি’র প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে। 

এদিকে সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী ৬ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আয়োজনের পূর্বতন সিদ্ধান্ত বাতিলক্রমে আগামী ৪ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার বেলা ২টায় একই স্থানে মহাসমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়। একই সাথে এই সংবাদ সম্মেলন থেকে আরো ঘোষণা করা হয় যে, আগামী ৬ অক্টোবর ২০২৩ শুক্রবার বিকেল ৪টায় সারাদেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় তা অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে।  সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ঐক্যমোর্চার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত। 

অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে অর্থে সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র তিন মাস বাকি। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ আজ পরাশক্তিসমূহের কূটনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হওয়ায় এদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিদারুণ উদ্বিগ্ন। কোনো কোনো সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তির বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের মতো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে মদতদান ও পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা শঙ্কিত। এ ব্যাপারে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণের সচেতন দৃষ্টি কামনা করছি। আমরা আশা করি, আমাদের দেশের সকল রাজনৈতিক দল দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার তাগিদে অধিকতর দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসবেন।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, জগন্নাথ হল এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি বরুণ চন্দ্র সরকার, শারদাঞ্জলি ফোরামের সভাপতি রতন চন্দ্র পাল, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা স্বপ্না বিশ্বাস, এ্যাড. অপূর্ব ভট্টাচার্য্য, সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য, সুবীর দত্ত, বাপ্পাদিত্য বসু, মঞ্জু রাণী প্রামাণিক প্রমুখ।

শেয়ার করুন