০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৩:২৩:১৮ অপরাহ্ন


ব্যারিকেড ও পুলিশ পাহারা সরানো হলো বিএনপির কার্যালয় থেকে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১১-২০২৩
ব্যারিকেড ও পুলিশ পাহারা সরানো হলো বিএনপির কার্যালয় থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়


বিএনপি কার্যালয়ের দুই পাশের কাটাতারের ব্যারিকেড ও পাহারা সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। গত ১৩ নভেম্বর সোমবার দুপুরের পর পুলিশ সদস্যরা কার্যালয়ে সামনে যেভাবে অবস্থান করছিলো সেটি ১৪ নভেস্বর মঙ্গলবার এখন আর নেই। পুলিশ সদস্যরা কার্যালয়ের লাগোয়া ভিক্টোরিয়া হোটেলের পাশে বসে আছে।

গত ২৮ অক্টোবর রাত থেকে বিএনপির নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্ত্র হাতে সারিবদ্ধভাবে পুলিশ সদস্যরা পাহারায় থাকতো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে কাটাতারের ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়া হয়। ওইসব ব্যারিকেড এখন মতিঝিল মডেল থানার কাছে রাখা হয়েছে। অফিসের সামেন পুলিশ পাহারা সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে নেই, দূরে পুলিশ সরিয়ে নিয়েছে। সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অগ্নিদদ্ধ আহতের দেখার পর সাংবাদিক কাছে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ তালা দেয়নি, বিএনপি নেতারাই তালা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ তালা মারেনি, তারা নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে এবং তারা এখন সেখানে আসে না। কেন আসে না- সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের পুলিশ সেখানে সবসময়ই থাকে নিরাপত্তার জন্য। মাসের ৩০ দিনই সেখানে পুলিশ প্রহরায় থাকে, একইভাবে এখনও সেখানে পুলিশ আছে।’

কার্যালয়ের সামনে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, উপরে নির্দেশে আমরা আর অফিসে সামনে পাহারা রাখছি না।  

গত ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ বিকল তিনটার দিকে নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে পণ্ড হওয়ার পর সেখান পুলিশ অবস্থান নেয়। পরদিন গোয়েন্দা পুলিশ সিআইডির ক্রাইস সিন ইউনিট কার্যালয়ের সামনে স্টিকার দিয়ে ঘেরা করে তদন্ত চালায়। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট কার্যালয়ের চার পাশ থেকে ১১টি আলামত সংগ্রহ করে তার কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে পাঠায়। এরপর দুইদিন পর কার্যালয়ের দুই পাশে কাটাতারের ব্যারিকেড বসায় পুলিশ। কার্যালয়ের সামনের ফুটপাত দিয়েও সাধারণ মানুষজনের চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পথচারীদের পুলিশ রাস্তার পাশ দিয়ে ঘুরে যেতে বলতো।

সেখানে কোনো নেতা-কর্মীকেও আসতে দেয়া হয়নি। ওই সময়ে কার্যালয়ের কাছ থেকে উলামা দলের মহানগর নেতা নজরুল ইসলামসহ ২ জন কর্মীকে পুলিশ আটক করে দিয়ে যায়। তবে মঙ্গলবার দুপুর থেকে পুলিশ পাহারা সরিয়ে নিলে ফুটপাত দিয়ে মানুষ চলাচল উন্মুক্ত হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাসিবল গেইট বাইর দিয়ে তালা দেয়া।

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ’ মহাসমাবেশ পুলিশ পন্ড করে দেয়ার পর থেকে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ‘কঠোর’ কর্মসূচিতে যায়। ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর দিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। প্রথম দফা ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘন্টা, তৃতীয় দফা ৮ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা ও সর্বশেষ চতুর্থ দফায় ১২ নভেম্বর থেকে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় যা মঙ্গলবার ভোর ৬টায় এই কর্মসূচি শেষ হয়।

শেয়ার করুন