২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৪:৫১:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


বাইডেনের মেমোরেন্ডামের উদ্দেশ্য সুপরিকল্পিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১১-২০২৩
বাইডেনের মেমোরেন্ডামের উদ্দেশ্য সুপরিকল্পিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন


শ্রমিকদের সঙ্গে প্রদ্ধতিগতভাবে যুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে শ্রমিকদের অধিকার ও মানসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিতের নামে একটি সুদূরপ্রসারী আগ্রাসী-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাইডেন প্রশাসন যে প্রেসিডেন্টশিয়াল মেমোরেন্ডাম সই করেছেন সেটির উদ্দেশ্য সুপরিকল্পিত বলে মনে করেন বাংলাদেশের একটি সংগঠনের শ্রমিক নেতারা। বাইডেনের এই মেমোরেন্ডামকে সন্দেহের চোখে দেখছে বাংলাদেশের জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন) আসল উদ্দেশ্য সুপরিকল্পিত, যা বাংলাদেশসহ দেশে দেশে তাদের আগ্রসন ও দখল নিশ্চিতে সুবিধা হয়। 

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির এই অঙ্গ সংগঠনটির কার্যকরি সভাপতি কামরূল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন গত ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার এক বিবৃতি দেন। এতে আরো বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি শ্রমিক, শ্রমিক অধিকার নীতি নিয়ে ভাল ভালো কথা বলছেন, এই শ্রমিক অধিকারের নামে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক অবরোধ দেয়ার পায়তারা। যা আসলে বাণিজ্যে বা রপ্তানিমুখী শিল্প বন্ধের কৌশল, এর ফলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হবে আর রপ্তানিমুখী বাণিজ্য বন্ধ হলে দেশ ও দেশের শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পুরো বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে তা পুরোটাই এখানে তুলে ধরা হলো। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন শ্রমিকদের সঙ্গে প্রদ্ধতিগতভাবে যুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে শ্রমিকদের অধিকার ও মানসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিতের নামে একটি সুদূরপ্রসারী আগ্রাসী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাইডেন প্রশাসন প্রেসিডেন্টশিয়াল মেমোরেন্ডাম সই করেছেন। এই মেমোরেন্ডাম স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আনেন। মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি শ্রমিক, শ্রমিক অধিকার নীতি নিয়ে ভাল ভালো কথা বলছেন, তাদের আসল উদ্দেশ্য সুপরিকল্পিত, যা বাংলাদেশসহ দেশে দেশে তাদের আগ্রসন ও দখল নিশ্চিতে সুবিধা হয়। এই শ্রমিক অধিকারের নামে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক অবরোধ দেয়ার পায়তারা। যা আসলে বাণিজ্যে বা রপ্তানিমুখী শিল্প বন্ধের কৌশল, এর ফলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হবে আর রপ্তনিমুখী বাণিজ্য বন্ধ হলে দেশ ও দেশের শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ আমাদের শ্রম আইন ও আইএলও কনভেনশনের মধ্য দিয়ে শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব না হলে নতুন আইন করা যেতে পারে, তাই বলে মার্কিন সবক গ্রহণযোগ্য নয়। আসলে যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের আগ্রাসন ও মোড়লীপানা পাকাপোক্ত করতে এই প্রেসিডেন্টশিয়াল মেমোরেন্ডামের নামে প্রচ্ছন্ন হুমকি যার মূল উদেশ্যে হচ্ছে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে যুক্ত করার অর্থনৈতিক চাপ। বাংলাদেশের শ্রমিকদের মার্কিনীদের এহেন অসৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরি সভাপতি কামরুল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন।

শেয়ার করুন