২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:২৮:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


রেকর্ড টার্গেট তাড়া করে পাকিস্তানের জয়
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১০-২০২৩
রেকর্ড টার্গেট তাড়া করে পাকিস্তানের জয় পাহাড়সম স্কোর গড়েও বোলাররা পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের থামাতে। পথিরানার কষ্ট সম্ভবত সেখানেই/ছবি সংগৃহীত


হায়দ্রাবাদে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের জন্য পয়মন্ত প্রমাণিত হলো। ২০২৩ বিশ্বকাপ মিশনে নেদারল্যান্ডস দলের  প্রথম ম্যাচ জয় প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু কাল শ্রীলংকা পাকিস্তানের কিছুটা অবিন্যস্ত বোলিং ভালো ভাবে মোকাবিলা করে ৩৪৪/৯ রানের বিশাল টার্গেট ছুড়ে দিয়েছিলো। জবাবে সুচনায় তরুণ আব্দুল্লাহ শফিক (১১৩) এবং মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ১৩১ রানে ভর করে ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। দুই ম্যাচে দুই জয়ে পাকিস্তান এখনো কক্ষ পথে। শুধু এখানেই শেষ নয়। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও এখন পাকিস্তানের দখলে। অপরদিকে  দুটি ম্যাচে ৩০০ + স্কোরেও পরাজিত শ্রীলংকা এখন সংকটে।


কাল টসে জিতে শ্রীলংকা শুরুতেই ৫ রানে কুশল পেরেরার উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দারুন ভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নিঃশঙ্কা আর মেন্ডিস পাকিস্তানের ছন্দহীন বোলিং এবং দুর্বল ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে ১০২ রান জুড়ে দেয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মেন্ডিস এবং সামারাবিক্রমা ১১১ রান যোগ করলে শ্রীলংকার বড় রান করার ভিত্তি গড়ে ওঠে। মেন্ডিস মাত্র ৭৭ বলে ১৪ চার আর ৬ টি দর্শনীয় ছয়ে ১২২ রান করে। সামারাভিক্রামা ১১ চার এবং ২ ছয়ে ৮৯ বলে ১০৮। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৩৪৪/৯ করে শ্রীলংকা মোটামুটি নিশ্চিত ছিল ম্যাচ জয়ের। পাকিস্তানের হয়ে হাসান আলী ৪/৭১ এবং হারিস রউফ ২/৬৪ ছিল সফল বলার। তুরুপের তাস শাহীন আফ্রিদি কিন্তু এখনো রয়েছে ছন্দ হারা।  শাদাব খান বা মোহাম্মদ নাওয়াজ সুবিধা করতে পারছে না। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভারত, অস্ট্রেলিয়া , নিউজিল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বোলিং আরো ক্ষুরধার হতে হবে।


বিশাল রান তাড়ায় পাকিস্তান শুরুতেই ইমাম উল হক এবং বাবর আজমকে হারিয়ে সংকটে পড়েছিল। কিন্তু দেয়ালে পিঠ রেখাকে দারুন ব্যাটিং করে অফ ফোমে থাকা ফখর জামানের পরিবর্তে খেলা তরুণ আব্দুল্লাহ শফিক ( ১০৩ বলে ১১৩) এবং পাকিস্তানের নির্ভর যোগ্য ব্যাটসম্যান রিজওয়ান (১২১ বলে অপরাজিত ১৩১) । আব্দুল্লাহ শফিকের সংযোজন হয়তো পাকিস্তানের ওপেনিং দুর্ভাবনা কিছুটা কমিয়েছে। কিন্তু ইমাম উল  হক এবং বাবর আজমের দীর্ঘ রান খরা পাকিস্তানের মাথা ব্যাথায় পরিণত হয়েছে। যাহোক রিজওয়ান কাল যেভাবে শ্রীলংকান বোলারদের প্রতি আক্রমণ করে এক পর্যায়ে মাংস পেশির ক্রাম নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় সেটি ছিল অতুলনীয়। এই যাত্রা পথে আব্দুল্লাহ শফিক ছাড়াও সাউদ শাকিল (৩১) এবং ইফতিখার (২২*) রিজওয়ানকে যোগ্য সাঙ্গ দিয়েছে। ১০ বল হাতে রেখে ৩৪৫/৪ করে ৬ উইকেটে জয় পে পাকিস্তান। এটি আবার পাকিস্তানের ওডিআই ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান করে জয়।

শ্রীলংকা দুটি ম্যাচ খেলে দুটি হেরেছে। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৪২৮/৫ করেছিল। শ্রীলঙ্কা জবাবে করেছিল ৩২৬। কাল ৩৪৪/৯ করেও জয় পেলো না। বোলিং ফিল্ডিং অনেক উন্নত করা না হলে ওদের বিশ্ব কাপ মিশন এবারে সফল হবে না। পাকিস্তান দুটি ম্যাচে জয় পেলেও বড় দল গুলোর বিরুদ্ধে বাবর আজম ,শাহীন আফ্রিদিকে ফর্মে ফিরতে হবে, ফিল্ডিং তুখোড় হতে হবে।

শেয়ার করুন