২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৫:৪৪:২৯ পূর্বাহ্ন


শোচনীয় পরাজয়ের দায় কার ?
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৯-২০২৩
শোচনীয় পরাজয়ের দায় কার ? দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মাঝে ক্যাপ্টেনেরও বড় দ্বায়িত্ব। কিন্তু তিনিও আ্উট ৫ রান করেই/ছবি সংগৃহীত


যে দল নিয়ে অনেকেই বিশ্ব কাপ জয়ের স্বপ্ন দেখেছে, সেই দলটি এশিয়া কাপ মিশনে প্রথম খেলায় শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ৫ উইকেটের বিশাল ব্যাবধানে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে টুর্নামেন্ট থেকেই ছেড়ে পরার উপক্রম।  কার পরিকল্পনায় ,কার কৌশলে বিশ্বমানের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের নানা ফন্দি ফিকির করে দল থেকে ছেটে ফেলে আনকোরা নবীনদের নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে। এটা কী তার কোচিং ক্যারিয়ারের পরীক্ষা নীরিক্ষা নাকি বাংলাদেশের বৃহৎ স্বার্থে সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে। কী কৌশল ছিল তার। সেটা কিভাবে ব্যর্থ হলো। নাকি এখনও তার বাক্য হবে সুদুর ভবিষ্যতে তিনি অনেক কিছু ফাইন্ড আউট করতে সক্ষম হয়েছেন! 

কারন দলে অভিজ্ঞরা যখন আর পারফর্ম করতে পারবেন না, তাদেরকে তখন বাদ দিতে হবে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত নবীনদের তাদের সঙ্গে রেখে অভিজ্ঞতা সঞ্চারের সুবিধা করে দেয়ারই রীতি। উন্নত ক্রিকেট বিশ্বের দলগুলো এভাবেই নিজেদের শক্তি অটুট রেখে আরো বৃদ্ধি করে। বাংলাদেশ সেখানে কী করছে? কার প্রতিহিংসা না দুরভিন্ধিমুলক কোনো কর্মকান্ডের শিকার টিম বাংলাদেশ এ প্রশ্ন উঠছে জনমনে। 

বাংলাদেশ চাকুরী রক্ষার তাগিদে মেরুদন্ড বিহীন নির্বাচক মন্ডলী ভুল স্কোয়াড নির্বাচন করে অজুহাত খোঁজে টিম মানাজেমেন্টে , পরিচালক ( টিম অপারেশন) স্কোয়াড বিষয়ে দায়িত্ব নিতে চায় না। প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত কথা বলে সংকটের সৃষ্টি করে বিসিবি সভাপতি। অনেক নাটক ,অনেক বিতর্কের পর নির্বাচিত স্কোয়াড থেকে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যে একাদশ খেলানো হলো, সেখানে টপ অর্ডার বিশেষত ওপেনিং পার্টনারশিপ সফল হবার সুযোগ ছিল না। মোহাম্মদ নাঈম অনেক সুযোগেও সফল হয়নি, তানজিদ তামিম আনকোরা নবীন। শ্রীলংকা দলে মাহেশ থাকসিনা থাকা সত্ত্বেও কেন টপ অর্ডারে পর পর চারজন বাম হাতিকে খেলানো হলো? মাহমুদুল্লাহ দলে না থাকায় প্রথম বিকল্প হিসাবে খেলানো উচিত ছিল আফিফকে। প্রয়োজনে আফিফকে প্রমোট করে উপরে খেলানো যেত।  কি লাভ হয়েছে শেখ মাহেদিকে খেলিয়ে? বলছি না এগুলো ঠিক হলেই সব কিছু পাল্টে যেত।

 কেন দ্বিতীয় দফায় আসার পর স্বেচ্ছাচারী হেড কোচকে একের পর এক বিতর্কিত পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ দেয়া হলো ? কি রহস্য লুকিয়ে ছিল মিডিয়াকে আড়াল করে কয়েকদিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরে? ভেবে দেখুন কাল যখন করছিলো নাজমুল হোসেন শান্ত তখন ৭ নম্বরে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ থাকলে দল ৫০ ওভার হয়তো খেলতো ,হয়তো শান্তর শত রান হত, দলের সংগ্রহ ২২০-২৩০ হতেও  পারতো। আর তাহলে  অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হতেও পারতো। 

দু দিন বাদেই আফগানিস্তানের সাথে ডুর অর ডাই ম্যাচ। হেরে গেলেই শুন্য হাতে ফিরবে বাংলাদেশ ব্যার্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে। এবং সেটাই পসিবল দেখা যাচ্ছে। কারন আফগানরা বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ জিতে গেছে। আর যদি এটাই হয় তাহণে ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্নভঙ্গ হবে। কিছুই হবে না মূল্যবান হেড কোচ পরদেশী  হাতুরাসিংহের। নির্লজ্জের হাসি হাসবে নির্বাচকমণ্ডলী। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘরে দিবে বিসিবি  প্রধান। যিনি দলের সাফল্যে নিজের সাফল্য হিসেবে উপস্থান করতে অভ্যস্ত, ব্যর্থতায় অজুহাত খুজের কার ঘাড়ে চাপানো যায়! 

অন্য ফরম্যাটে যাই হোক, ওয়ানডেতে দীর্ঘদিন একটা সেট দল ছিল। দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে আসছিল দলটি। সর্বশেষ ম্যাচ দেখে মনে হলো সব ওলট পালট বিশ্বকাপের মত একটা মেগা আসরের প্রাক্কালে। আফসোস! 


শেয়ার করুন